নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
অসমে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে শামুকতলার মোমিনপাড়া গ্রামে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা নিজেদের ভিটেয় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানালেন। অসমে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে কয়েকদিন ধরে শামুকতলার মোমিনপাড়া গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন নামনি অসমের প্রায় এক হাজার বাসিন্দা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছেও তাঁরা নিজেদের গ্রামে ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে তাঁদের অসমে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র জানিয়েছেন, ওই শরণার্থীদের অসমে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে অসমের কোকরাঝাড় ও ধুবরি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত সে রাজ্যের সরকার কোনও পদক্ষেপ করার কথা জানায়নি। তবে শরণার্থীরা নিজেরা ফিরে যেতে চাইলে জেলা প্রশাসন তাঁদের সাহায্য করবে। শিবিরে আশ্রয় নেওয়া অসমের সালাকাথি গ্রামের আসতার মোমিন বলেন, “আবাদি জমি, বাড়িঘর সবই ছিল। বড় মুদির দোকান ছিল। সবই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এখন আর শিবিরে থাকতে চাই না। ফিরে যেতে চাই। নিজের গ্রামে ফোন করে খোঁজ নিয়েছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা আর করাতে পারব কি না জানি না।” সেরফাংগুড়ির বুলবুলি খাতুন উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থী। তিনি বলেন, “গ্রামের ফিরতে না-পারলে আমার হয়তো আর পড়াই হবে না।” বৃহস্পতিবার মোমিনপাড়া শরণার্থী শিবিরে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে রাখী বন্ধন উৎসব পালিত হয়। তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী ওই শিবিরের শরণার্থীদের রাখী পরান। |