নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
সাত সমুদ্র পার হয়ে সুদূর আমেরিকা থেকে এসেছে উপহারের বাক্স। কোনও উপহার বাক্সে পুতুল, কোনও বাক্সে বিদেশি খেলনা, চকোলেট। বৃহস্পতিবার রাখি পূর্ণিমার দিনে এমনই সব উপহার পেয়ে আনন্দে মেতে উঠল আলিপুরদুয়ারের সমাজ নগরের শিশুরা। এ দিন দুপুরে আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চ ও লিট্ল ফ্লক ফেলোশিপ সংগঠনের উদ্যোগে ওই উপহার তুলে দেওয়া হল নিষিদ্ধপল্লি এলাকার শিশুদের হাতে। মন্টি দে, প্রিয়াঙ্কা দে, সোনাই সিংহ, গৌরী রায়দের হাতে রাখি পরিয়ে তুলে দেওয়া হয় ওই উপহারের বাক্স। ওই শিশুদের কথায়, “এমনভাবে বিদেশি খেলনা, চকোলেটের বাক্স পাব স্বপ্নেও ভাবিনি। অনেক খেলনার নামও জানি না। খুব ভাল লাগছে। আনন্দ হচ্ছে। এ বারের রাখি সবসময় মনে থাকবে।” রাখি উৎসব উপলক্ষ্যে সমাজের মূলস্রোত থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন এই শিশুদের হাতে রাখি পরিয়ে আমেরিকা থেকে আসা উপহার তুলে দিতে পেরে খুশি উদ্যোক্তারা। লিট্ল ফ্লক ফেলোশিপের আলিপুরদুয়ারের দ্বায়িত্বে থাকা সত্যেন্দ্র বসুমাতা জানান, মূলত বড়দিনে আমেরিকার ‘ক্রিসমাস চাইল্ড’ বলে একটি সংস্থা আমেরিকার বিভিন্ন শহরের বাড়ি বাড়ি থেকে দুঃস্থ শিশুদের জন্য উপহারের বাক্স সংগ্রহ করে। তার পর ডিসেম্বর মাসে তা জাহাজে করে ভারতের দুঃস্থ শিশুদের জন্য পাঠানো হয়। নানা সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সেগুলি জুলাই মাসে এসে পৌঁছেছে।
সেখান থেকে কিছু উপহার এ দিন শিশুদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। বড়দিনেও ওই উপহার শিশুদের দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “প্রতি বাক্সে ৫ ডলার থেকে ১০ ডলার মূল্যের উপহার সামগ্রী থাকে। সাবান, চকোলেট, খাতা-পেন্সিল, টেডি বিয়ার-সহ নানা উপহার থাকে।” আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “আলিপুরদুয়ারের নিষিদ্ধপল্লি এলাকায় রাখি পূর্ণিমার অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে হয়েছে। সবমিলিয়ে ৩০ জন শিশুর মধ্যে বিদেশি উপহারের বাক্স বিলি করা হয়েছে। ওই শিশুদের মুখে কিছুক্ষণের জন্য হাসি ফোটাতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে। ” এলাকার দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির তরফে শিপ্রা পাল সিংহ জানান, শিশুরা উপহার পেয়ে খুব খুশি। কখনও ভাবিনি সুদূর আমেরিকার থেকে আসা উপহার এই এলাকার শিশুরা পাবে। |