শুভ জন্মদিন মিস্টার বি! ভুলবেন না, আমিই কিন্তু আপনাকে প্রথম শুভেচ্ছা জানালাম!
৩১ জুলাই/১ অগস্ট, ২০১২ তারিখের জনৈক সুপারস্টারের ব্লগ পোস্ট! তিরিশ বছর আগে এমন একটা দিনেই তাঁর প্রায় থমকে যাওয়া হৃদ্যন্ত্রটা ফের কাজ করতে শুরু করেছিল। ১৯৮২-র ২ অগস্ট দিনটাকে তাই তিনি মনে করেন তাঁর জন্মদিন। দ্বিতীয় জন্মদিন! ‘পুনর্জন্মের’ তিরিশ বছর পূর্তির প্রথম শুভেচ্ছাটা নিজেকে নিজে এ ভাবেই জানালেন ‘মিস্টার বি’। অমিতাভ বচ্চন!
নেপথ্যের কাহিনিটা অবশ্য কারও অজানা নয়। ১৯৮২-র ২৬ জুলাই ‘কুলি’ সিনেমার শু্যটিংয়ে সেই দুর্ঘটনার কথা আজও ভোলেননি তামাম দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা অমিতাভ-অনুরাগীরা। সহশিল্পী পুণিত ইসারের সঙ্গে একটি মারপিটের দৃশ্য শু্যট করছিলেন তিনি। লাফিয়ে একটি টেবিলের উপরে পড়ার বদলে পড়েন টেবিলের ধারে। |
তলপেটে মারাত্মক চোট, প্লীহা ফুটো হয়ে যায় তাঁর। রক্তাক্ত অমিতাভকে বেঙ্গালুরু থেকে উড়িয়ে আনা হয় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে।
পরের একটা সপ্তাহ কেটেছিল একেবারে আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে। জীবনের প্রায় কোনও লক্ষণই ছিল না অমিতাভের দেহে। সে সময়টা অমিতাভের অতি বড় অনুরাগীও ভাবেননি, তিনি বেঁচে ফিরবেন। ২ অগস্ট একটা মরিয়া চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। অ্যাড্রিনালিন ইঞ্জেকশন
দেওয়া হয় অমিতাভের হৃৎপিণ্ডে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী জয়া বচ্চন দেখেন, আঙুল নড়ছে অমিতাভের!
এই ঘটনার পর বেশ কয়েক মাস হাসপাতালে ছিলেন অমিতাভ। ১৯৮৩-র ১৪ নভেম্বর মুক্তি পায় ‘কুলি’। যে দৃশ্যটি শু্যট করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন, সিনেমার প্রত্যেক শো-এ সেই অংশটি থামিয়ে দেওয়া হত। পর্দায় ফুটে ওঠা এক বার্তা জানিয়ে দিত, ‘এই সেই মুহূর্ত।’
ওই জীবন-সংকটের সময়টা নিয়ে আজ অবধি কখনওই খুব বেশি কথাবার্তা বলতে শোনা যায়নি অমিতাভকে। তিরিশ বছরের পুনর্জন্মদিনে অবশ্য সেই নৈঃশব্দ কিছুটা হলেও ভাঙলেন তিনি। ব্লগে লিখেছেন, “এক বার কথা দিয়েছিলাম, এ বিষয়ে সবিস্তার জানাব। বলব। হয়তো সেটা অনৈতিক হবে। তবু কথা রাখব।”
শুভ জন্মদিন মিস্টার বি! অপেক্ষায় থাকবেন ভক্তেরা। |