খেয়াল রাখুন
 
প্রশিক্ষণ দিতে গাঁটছড়া
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (আই আই এস ডব্লিউ বি এম) এবং ক্যালকাটা মিডিয়া ইনস্টিটিউট (সি এম আই)-এর যৌথ উদ্যোগে স্নাতকদের জন্য চালু হল দু’টি পাঠ্যক্রম। এক বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স ইন ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং কমিউনিকেশন ম্যানেজমেন্ট এবং এক বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স ইন টেলিভিশন ম্যানেজমেন্ট। সিএমআই-এর অধিকর্তা অমিতাভ দত্তের মতে, দু’টি পাঠ্যক্রমেই পুঁথিগত শিক্ষার সঙ্গে আছে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা। পড়ুয়াদের শিল্পমহলের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করার জন্যই তাঁরা এই ধরনের পাঠ্যক্রম চালু করতে উদ্যোগী হলেন বলেও দাবি তাঁর। যোগাযোগ করুন-
১) আইআইএসডব্লিউবিএম, ম্যানেজমেন্ট হাউজ, কলেজ স্কোয়ারে (পশ্চিম)। ফোন নম্বর- ২২৪১ ৩৭৫৬। দেখুন www.iiswbm.edu ওয়েবসাইট।
২) ক্যালকাটা মিডিয়া ইনস্টিটিউট, এলগিন চেম্বার (৫ম তল), ১এ, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রোড-এ। ফোন নম্বর: ৯৮৩১২ ৩০৯৮৮। দেখুন www.cmi.net.in ওয়েবসাইট।

ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের উপর ‘আইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট স্পেশ্যালিস্ট’ (আইটিআইএম) কোর্সটি চালু করল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জব ট্রেনিং (আইআইজেটি)। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বিভিন্ন বিভাগে দৈনিক বিপুল পরিসংখ্যান সামলানোর উপযুক্ত পেশাদার গড়তেই তৈরি হয়েছে পাঠ্যক্রমটি। মেয়াদ ৪১৬ ঘন্টা। করানো হবে ১০ মাস ধরে। ১০+২ উত্তীর্ণদের এ+ এবং নেটওয়ার্ক+ সার্টিফিকেশন থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে মাইক্রোসফট সার্টিফায়েড আইটি প্রফেশনাল (এমসিআইটিপি), রেড হ্যাট সার্টিফায়েড সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (আরএইচসিএসএ), রেড হ্যাট সার্টিফায়েড ইঞ্জিনিয়ার (আরএইচসিই) হলে বা সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এক বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কোর্সটি করার পর ডেটা ম্যানেজমেন্ট ও স্টোরেজ ম্যানেজমেন্টের মতো ক্ষেত্রে কাজ করা যাবে, দাবি আইআইজেটি-র। বিস্তারিত জানতে ফোন করে নিতে পারেন ১৮০০২৬৬৬৭৭৭ নম্বরে। দেখে নিতে পারেন www.iijt.net ওয়েবসাইটটি।

প্রবেশিকার প্রস্তুতি
রাজ্যের বিভিন্ন নার্সিং কলেজে বি এসসি পড়তে ‘জেনপার’ ও পলিটেকনিক কলেজে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ‘জেক্সপো’ প্রবেশিকার প্রস্তুতি পাঠ্যক্রম শুরু হচ্ছে বালিগঞ্জের মাস্টারজি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। ৭ অগস্ট থেকে ক্লাস। ফোন নম্বর- ৯১৬৩২-৯৮৫৬৬।

ন্যানো সায়েন্সের পাঠ
কল্যাণীর জেআইএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চালু হচ্ছে এম টেক ইন ন্যানো সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। দু’বছরের কোর্সে ভর্তি হতে পারেন এম এসসি ডিগ্রিধারী এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিই বা বি টেক উত্তীর্ণরা। ফোন নম্বর ৯৪৩২০-১১৪৯০।

তুলনামূলক সাহিত্য
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এম এ ইন কম্পারেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচারে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র চাইছে। কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের দোতলায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদনপত্র জমা দিন।
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর
প্রশ্ন: বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছি। পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানালে ভাল হয়। কোথায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, খরচ কত পড়তে পারে, যোগ্যতার মাপকাঠিই বা কী, এই সমস্ত কিছু জানতে চাই।

উত্তর: কমার্শিয়াল পাইলট বা বিমানচালক হওয়ার জন্য ন্যূনতম ১০+২ পাশ করতে হয়। বিষয় হিসেবে থাকতে হবে ফিজিক্স এবং ম্যাথমেটিক্স। তবে বহু ক্ষেত্রেই যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিভিন্ন বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চাহিদা আলাদা আলাদা হতে পারে। যেমন, কোথাও বলা হয়, দ্বাদশে ইংরেজি থাকতেই হবে। কোথাও আবার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ১০+২ পর্যায়ে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট নম্বর পেতে হয়।
তবে এটা মনে রাখবেন, স্বীকৃত ফ্লাইং ক্লাব বা ফ্লাইং স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ না-নিলে, চাকরি পাওয়া যাবে না। আর এই স্বীকৃতি দেয় ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। ডিজিসিএ প্রত্যেকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিকাঠামো, শিক্ষকমণ্ডলী, পঠন-পাঠন পদ্ধতির উপর নিয়মিত নজরদারি করে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অনুমোদন দিয়ে থাকে। আবার সংশ্লিষ্ট স্কুল ওই সব বিষয়ে তাদের নির্দেশিত নিয়ম ঠিকঠাক মানছে না দেখলে অনুমোদন বাতিলও করে দিতে পারে তারা। কাজেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
আকাশছোঁয়ার লক্ষ্য। পা ফেলুন সতর্ক হয়ে।
এখনও পর্যন্ত দেশে ৪৩টি ফ্লাইং ক্লাব বা বিমানচালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে ডিজিসিএ ১৪টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করেছে। তাই ভর্তির আগে www.dgca.gov.in ওয়েবসাইট থেকে অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ডিজিসিএ অনুমোদিত কি না। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হল ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমি (রায়বেরিলি), বনস্থলী বিদ্যাপীঠ গ্লাইডিং অ্যান্ড ফ্লাইং ক্লাব (রাজস্থান), বিহার ফ্লাইং ক্লাব (পটনা), গভর্নমেন্ট অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ভুবনেশ্বর), রাজীব গাঁধী অ্যাকাডেমি ফর অ্যাভিয়েশন টেকনোলজি (তিরুঅনন্তপুরম), মধ্যপ্রদেশ ফ্লাইং ক্লাব (ভোপাল), অ্যালকেমিস্ট অ্যাভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড (জামশেদপুর), ফ্লাইটেক অ্যাভিয়েশন আকাদেমি (হায়দরাবাদ), ওরিয়েন্ট ফ্লাইট স্কুল (চেন্নাই)।
বিমানচালনার প্রশিক্ষণ যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে খরচ অবশ্য আলাদা। যেমন, ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমিতে কমার্শিয়াল পাইলট-এ খরচ ৩০ লক্ষ টাকার মতো। আবার, বনস্থলী বিদ্যাপীঠ গ্লাইডিং অ্যান্ড ফ্লাইং ক্লাব-এ একই কোর্স করতে পড়ে প্রায় ১৭ লক্ষ। বহু ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মোট সময়কে ভাগ করে ঘন্টা পিছু ফি-ও নেওয়া হয়।
প্রশ্ন: স্নাতক (সাম্মানিক) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। মাসকমিউনিকেশনে স্নাতকোত্তর পড়তে চাই। রাজ্যে ও রাজ্যের বাইরে এ নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা কোথায় আছে, কী ভাবে ভর্তি হওয়া যায়?

উত্তর: যে কোনও বিষয়ের ছাত্রছাত্রীরাই মাসকমিউনিকেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা করতে পারেন। তবে সাধারণত প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানেই ভর্তির জন্য আলাদা প্রবেশিকা দিতে হয়।
যেমন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসকমিউনিকেশনের তিনটি পাঠ্যক্রম আছে। এম এ ইন মাসকমিউনিকেশন, পি জি ডিপ্লোমা ইন মাসকমিউনিকেশন এবং পি জি ডিপ্লোমা ইন মিডিয়া স্টাডিজ। প্রতিটির জন্য পৃথক প্রবেশিকা হয়। তবে যোগ্যতা হিসেবে শুধু এম এ পাঠ্যক্রমের জন্যই সাম্মানিক স্নাতক চাওয়া হয়। অন্যান্য কোর্সগুলি করতে পারেন সাধারণ স্নাতকরাও।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন মাসকমিউনিকেশন। ভর্তির জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নেই। যে কোনও বিষয়ে স্নাতকরা আবেদন করতে পারেন।
কলকাতা বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজ্যের যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে মাসকমিউনিকেশনে এম এ ডিগ্রি চালু রয়েছে সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রত্যেকটি পাঠ্যক্রমের প্রবেশিকা পরীক্ষাই দিতে পারেন যে কোনও বিষয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
রাজ্যের বাইরে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাসকমিউনিকেশন নিয়ে পড়ার জন্য অবশ্য কোনও ক্ষেত্রেই সাম্মানিক (অনার্স) স্নাতক না হলেও চলে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাসকমিউনিকেশন ( আইআইএমসি) -র এখন পাঁচটি শাখা। এখানে সাংবাদিকতায় পি জি ডিপ্লোমা করানো হয়। এ ছাড়াও নয়াদিল্লির আইআইএমসি-তে চালু রয়েছে পি জি ডিপ্লোমা ইন রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন জার্নালিজম এবং পি জি ডিপ্লোমা ইন অ্যাডভার্টাইজিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স। এই প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীন। প্রসঙ্গত, এখানেও প্রত্যেকটি পাঠ্যক্রমের জন্য আলাদা প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। আইআইএমসি ছাড়া চেন্নাইয়ের এশিয়ান কলেজ অফ জার্নালিজম, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, সিমবায়োসিস ইনস্টিটিউট অফ মাসকমিউনিকেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি-ডিপ্লোমা চালু রয়েছে।


Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.