টিএমসিপি-র দখলে থাকা বর্ধমান রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল ওই সংগঠনেরই একাংশ। সোমবার ছাত্র সংসদের প্রায় ৪০ জন ক্লাস প্রতিনিধি লিখিত ভাবে অধ্যক্ষের কাছে এই অনাস্থা প্রস্তাব জামা দিয়েছেন। তাতে ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দী বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাব হাতে পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। প্রয়োজনে ভোটাভুটি হবে।”
এই অনাস্থা প্রস্তাবে ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক আসিফ আনোয়ার, কমন-রুম সম্পাদক শেখ আমানুল্লা, সহকারি কমন-রুম সম্পাদক মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সংসদের সহ-সম্পাদক রাহুল চৌধুরী, কার্যকরী সভাপতি পিন্টু ক্ষেত্রপাল-সহ বেশ কয়েক জন পদাধিকারীর সই রয়েছে। অনাস্থা আনা প্রতিনিধিদের অন্যতম সায়ন সেনের অভিযোগ, “ছাত্রছাত্রীরা বৃত্তির টাকা, হাফ বা ফুল ফ্রির সুবিধা পাচ্ছে না। মাঠ সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েও তা না করায় মাঠ জঙ্গলে ভরে গিয়েছে।” এই পক্ষের আর এক নেতা সোহন সেন অভিযোগ করেন, ‘‘বৃত্তির টাকা ছাত্রছাত্রীদের না দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কিছু পদাধিকারী।” অনাস্থা আনা সদস্যদের দাবি, মোট ক্লাস প্রতিনিধির অর্ধেকেরও কম জন অনাস্থা প্রস্তাবে সই করলেও ভোটাভুটি হলে অধিকাংশই তাঁদের পক্ষে থাকবেন।
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিজয় পালের পাল্টা দাবি, “সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও মনগড়া। আমাদের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় মারপিটের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তাই আমরা কলেজে ঢুকতে পারছি না। কাজ করব কী করে?” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, “যাঁরা অনাস্থা এনেছেন, তাঁদের দু’জন মহম্মদ আজিজ ও শুভায়ু সাহাকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, তাঁদের কার্যকলাপে যেন সংগঠনের ভাবমূর্তি কলুষিত না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। ভোটের মাধ্যমে অনাস্থার মীমাংসা হবে। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে যেন মারপিট না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।” |