বিশ্বের তামাম পুরুষকুল তাঁর ভক্ত। জীবন থেকে মৃত্যু, তাঁর সবটাই রহস্যে ঢাকা। মৃত্যুর ৫০ বছর পরেও তাঁকে নিয়ে হইচই থামেনি। মেরিলিন মনরো এ বার আবার শিরোনামে, একটি বইয়ের সুবাদে। মেরিলিনকে নিয়ে লেখা সদ্য প্রকাশিত বইটিতে দাবি করা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তোলা মনরো নাকি সমকামী ছিলেন। ‘মেরিলিন মনরো: মাই লিটল সিক্রেট’-এ টনি জেরিস লিখেছেন, জেন লরেন্স নামে এক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মনরো। জেন নিজেই তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বলে টনির দাবি। সময়টা পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি। জেন তখন ১২ বছরের কিশোরী। মনরো তাঁর থেকে বয়সে ১৪ বছরের বড়। একই অনাথ আশ্রমে মানুষ হয়েছিলেন মনরো আর জেন। দু’জনের শৈশবের গল্পে মিল ছিল অনেকটাই। কেউই জানতেন না তাঁদের বাবার পরিচয়। দু’জনের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশই বাড়তে থাকে। মনরো নাকি জেনকে ‘মাই লিট্ল সিক্রেট’ বলে ডাকতেন। টনি জেরিস নিজের বইয়ে সেই নামটিই ব্যবহার করেছেন। টনির দাবি, মনরোর সঙ্গে কাটানো কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বিবরণও জেন তাঁকে জানিয়েছেন। জেন একা নন। মনরোর সঙ্গে জড়িয়েছিল বহু অভিনেত্রীর নামও। তালিকায় রয়েছেন জোন ক্রফোর্ড, বারবারা স্ট্যানউইক, মারলিন ডিয়েট্রিশ, এমনকী এলিজাবেথ টেলরও। মনরোকে তবে কি সমকামীই বলা উচিত? জেন লরেন্স নিজে কী বলছেন? তাঁর একটাই কথা, “মনরো ছিলেন এক মুক্ত আত্মা। খুব খোলা মনের মানুষ।”
|
নভেম্বর মাসে গুরু নানকের জন্মদিবস। ওই সময়েই পাকিস্তানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে মনমোহন সিংহকে চিঠি লিখলেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। মনমোহনকে তাঁর জন্মশহর পাক পঞ্জাবের গাহ্ শহরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন জারদারি। তিনি লিখেছেন, ভারত-পাক ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পর্যালোচনা’র জন্য এটা বড় সুযোগ। এপ্রিলে পুত্র বিলাবলকে সঙ্গে নিয়ে অজমেঢ় শরিফ দর্শন করে গিয়েছেন জারদারি। তার পরও পাক জঙ্গি আবু হামজার গ্রেফতারি, সর্বজিৎ সিংহের মুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি দু’দেশের সম্পর্কে নতুন ছায়া ফেলেছে। এ বার প্রধানমন্ত্রী মনমোহনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বরফ গলাতে উদ্যোগী হলেন পাক প্রেসিডেন্ট।
|
ঝোঁকের মাথায় নয়, রীতিমতো পরিকল্পনা করে ঠান্ডা মাথায় ভারতীয় ছাত্র অনুজ বিদভেকে খুন করেছিল কিয়ারান স্টেপলটন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন ‘বিকৃত মস্তিস্ক’ যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন ব্রিটিশ আদালতের বিচারক। একই সঙ্গে তিনি জানান, অন্তত ৩০ বছর পর স্টেপলটন প্যারোলে ছাড়া পেতে পারে, তা-ও যদি আদালত মনে করে সে বেরোলে সমাজের কোনও ক্ষতি হবে না। ২৬ ডিসেম্বর ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনুজ বিদভেকে খুন করে স্টেপলটন। পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা মামলার শুনানিতে স্টেপলটন ঘটনাকে ‘অপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেছিল। শুনানির সময়ও তার মধ্যে অনুতাপ দেখেননি বিচারক টিমোথি কিং। আজ বিচারক ঘোষণা করেন, পরিকল্পনা করে অনুজকে খুন করেছে স্টেপলটন। অনুজের দেহের সামনে দাঁড়িয়ে হাসাহাসিও করেছিল। |
সৌরপরিবারের মতো সন্ধান আর এক জগতের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মহাকাশের বুকে যেন সৌরজগতেরই প্রতিবিম্ব। পৃথিবী থেকে হাজার আলোকবর্ষ দূরে এমনই এক জগতের সন্ধান পেল নাসার বিশেষ দূরবীক্ষণ যন্ত্র ‘কেপলার’। সৌরজগতের বাইরে কোথাও প্রাণের চিহ্ন রয়েছে কি না, নিরন্তর তারই খোঁজ করে চলেছে কেপলার। এই খোঁজ করতে করতেই ধরা পড়ে কেপলার ৩০-র পরিবারে নক্ষত্রের মধ্যরেখা বরাবর এক তলে বিভিন্ন কক্ষপথে ঘুরছে গ্রহেরা। সৌরজগতের বাইরে এমন এক পরিবারের সন্ধান মিলল এই প্রথম। ‘নেচার’ পত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। কেপলারের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানান, কেপলার ৩০ অনেকটা সূর্যের মতোই। আকারে প্রায় সূর্যের সমান। ঔজ্জ্বল্যও একই রকম। তাঁরা আরও দেখেন, নক্ষত্রটি নিজের লম্বালম্বি অক্ষ বরাবর পাক খাচ্ছে। এবং আমাদের সৌরজগতের মতোই এর গ্রহগুলি একই তলে থেকে প্রদক্ষিণ করছে কেপলার ৩০-কে। এই পরিবারের হালহকিকত থেকে পৃথিবীর জন্ম-মুহূর্তের অনেক অজানা খবরই জানা যাবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।
|
ঢাকা সফরে মনমোহনের ‘দূত’ রমেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আগামী ৫ অগস্ট দু’দিনের সফরে বাংলাদেশ যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। ঢাকায় মহিলাদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে যোগ দেবেন তিনি। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণির সঙ্গে কথা হবে তাঁর। বৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও। সরকারি সূত্রের খবর, আলোচনাচক্র উপলক্ষ, প্রধানমন্ত্রী কার্যত কূটনৈতিক দূত হিসেবেই রমেশকে ঢাকা পাঠাচ্ছেন। সীমান্ত থেকে তিস্তা চুক্তি, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে গত এক বছরে নানা বিষয় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিল্লি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক মঞ্চে বারবার এই বার্তা দেয় যে, তারা একান্ত ভাবেই তিস্তা চুক্তির রূপায়ণ চায়। অভ্যন্তরীণ ঐকমত্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দিল্লিতে দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ের আলোচনার পর বাংলাদেশের বিদেশসচিব জানিয়েছিলেন, দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত বিষয়ক চুক্তি হয়েছে। তা সত্ত্বেও যদি এই চুক্তি রূপায়ণ না করা হয়, তা হলে ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। মন্ত্রক সূত্রের খবর, ঢাকা সফরে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার বার্তাটিই বাংলাদেশ নেতৃত্বকে জানাবেন জয়রাম রমেশ। এ ব্যাপারে আরও কিছুটা সময় বাংলাদেশের কাছ থেকে চাইবে দিল্লি। |