রামপুরহাট হাসপাতালে শিশু বদলের অভিযোগের তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের একটি কমিটি। গত শুক্রবার এই কমিটি গঠন হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে ওই কমিটি রিপোর্ট দেবে বলে হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে হাসপাতালের নার্সিং সুপার প্রতিভা মিত্র, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ মানস রায়, শিশু চিকিৎসক কাজলকান্তি দাসএই তিন জনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই হাসপাতালে শিশু বদলের অভিযোগ জমা পড়েছিল। রামপুরহাটের দখলবাটি গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ মাল অভিযোগ করেছিলেন, ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে লেখা আছে, তাঁদের শিশুপুত্র হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কন্যাসন্তান দেওয়া হয়েছে। ওই কন্যাসন্তান তাঁদের কাছেই আছে। এ দিকে, শিশু বদলের অভিযোগে ‘ডিএনএ’ পরীক্ষার দাবিতে শনিবার হাসপাতাল সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয় রামপুরহাট শহর কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা সেলিম শেখ, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রশ্ন, “ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে লিখতে ভুল হয়েছে ধরে নিলেও এক্ষেত্রে যে সব কর্মীরা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?”
রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “ডিএনএ পরীক্ষা করতে গেলে ওই পরিবারকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, কোথাও একটা ভুল হয়েছে। তবে যে সব কর্মীরা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতাল সুপার আরও জানিয়েছেন, কাল মঙ্গলবার তদন্তকারী দল অভিযোগকারী ওই শিশুর বাবা-মাকে হাসপাতালে ডেকে পাঠিয়েছে। প্রদীপ মাল অবশ্য বলেন, “ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাব।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিসকুমার মল্লিক বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। দেখা যাক রিপোর্টে কী পাওয়া যায়।” |