সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আশির দশক পর্যন্ত বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কিছু লিটল ম্যাগাজিন বের হত। পুজো মানে শারদ উৎসব এলেই পত্রিকা ছাপাতে ছাপাখানা বুকিংয়ের জন্য বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক বা গোষ্ঠীর দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়ে যেত। সেই সব লিটল ম্যাগাজিনের অধিকাংশেরই প্রকাশ এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবু ওই সময়কার কয়েকটি পত্রিকা এখনও বছরে একটি বা দু’টি সংখ্যা প্রকাশ করে চলেছে। ওই পত্রিকাগুলিতে লেখালেখি করার সুবাদে স্থানীয় ভাবে কিছু লেখক গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল। তাঁরা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালাতেন।
যেমন হেতমপুর থেকে ১৯৭৬ সালে সৈয়দ সাইফুদ্দিনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হত লোকসংস্কৃতি গবেষণামূলক পত্রিকা প্রতিদ্বন্দ্বি সাহিত্য। প্রথমে পত্রিকাটি ত্রৈমাসিক হলেও এখন বছরে একটি মাত্র সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ওই পত্রিকায় বীরভূম তথা রাঢ় বাংলার প্রচুর সংবাদ, প্রবচন প্রকাশিত হয়েছে। সে সব পাঠ করে পাঠক তো বটেই, গবেষকদেরও ভাল লাগত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে শুরু জয়দেব সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত ওই পত্রিকা গোষ্ঠী ১৯৭৭ সালে নজরুল সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠা করে। ওই সংস্থা বছরে ৩টি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখনও আয়োজন করে আসছে।
|
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়। ছবিগুলি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত ও সব্যসাচী ইসলাম।
|
আশির দশকে রাজ্যের বহু জায়গায় তিন বছরের ছোট্ট মেয়ের নাচ অনেকেরই নজর কেড়েছিল। সে সময় কোনও রকম প্রশিক্ষণ না নিয়েই টেপ রেকর্ডারে গান শুনে নিজেই নাচের কোরিওগ্রাফি করতো সেই মেয়ে। বড় হয়ে সেই ছোট্ট মেয়ে রামপুরহাটের তমসা রায় (দত্ত) বিয়ে করেন বাদ্যযন্ত্রশিল্পী শুভাশিস রায়কে। তাঁরা দু’জনে মিলে গড়ে তোলেন নিজেদের নাচের স্কুল ‘তমসা ডান্স আকাডেমি’। সেখানে ৩ থেকে ১০ বছরের ছেলে মেয়েদের নাচ শেখানোই এখন তমসাদেবীর ব্রত। সম্প্রতি তাঁর নাচের স্কুলের ৮৫ জন শিক্ষার্থী স্থানীয় রক্তকরবী পুরমঞ্চে প্রশিক্ষণে একটি নৃত্যানুষ্ঠানও পরিবেশন করল। |