গ্রামে প্রায় আট হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। সেখানকার অধিকাংশ মানুষই বিপিএল তালিকাভুক্ত। এতদিন গ্রামে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। অন্ধকারের সেই গ্রাম্যজীবন হঠাৎ করেই বদলে গিয়েছে। প্রধানের বহুদিনের চেষ্টায় অবশেষে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে ওই গ্রামে। বাড়িতে এই প্রথম আলো জ্বলতে দেখে স্বভাবতই উৎসবে মেতেছে হাড়োয়ার বকজুড়ি পঞ্চায়েতের সেই খাড়ুবালা গ্রাম।
কিন্তু এতদিন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না কেন?
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই দারিদ্র সীমার নীচে বাস করেন। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা খরচ করার সামর্থ্য তাঁদের ছিল না। সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধান আহমেদ আলি হাড়োয়ায় বিদ্যুৎ দফতরে গিয়েছিলেন। বাসিন্দাদের দুরবস্থার কথা শুনে হাড়োয়ার স্টেশন সুপার অশোক বিশ্বাস বিশেষ প্রকল্পে স্বল্প খরচায় গ্রামবাসীদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন। অশোকবাবু বলেন, “ওই বিশেষ প্রকল্পে বিপিএল তালিকাভুক্ত নাগরিকদের ৫ টাকা এবং এপিএল তালিকাভুক্ত নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৬৩৪ টাকা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ মেলে। এই কথা শুনে গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসেন। গত তিন দিনে প্রায় আড়াইশো পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে। রবিবার তাঁদের ঘরে আলো জ্বলেছে।”
অন্য দিকে, গ্রামে বিদ্যুৎ আসায় আর পাঁচজনের মতোই খুশি প্রধান আহমেদ আলিও। তিনি বলেন, “গ্রামের অধিকাংশ লোকই গরিব। আজ তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ জ্বলছে। এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে!” বাড়িতে বিদ্যুৎ পেয়ে উল্লসিত হাটখোলার নান্টু কাহার ও পাইকপাড়ার আশাদুল মোল্লা বলেন, “গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে, রাস্তায় আলো জ্বললো। খুব ভাল লাগছে। অন্ধকারের জন্য আর সাপখোপ বা দুষ্কৃতীদের ভয় থাকবে না। ছেলেমেয়েদের আর কষ্ট করে কেরোসিন তেল জোগাড় করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করতে হবে না।” |