সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই একের পর এক কংগ্রেস কর্মীকে খুন করছে। তারপর ‘রাজনৈতিক জামা’ বদলে আশ্রয় নিচ্ছে ‘সরকারি’ শিবিরে। তৃণমূল নেতাদের প্রশ্রয়ে পুলিশের কাছে তাদের কেউ কেউ আত্মসমর্পণও করছে। কিন্তু আসল খুনিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এমনই অভিযোগ, বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর।
মুর্শিদাবাদ জুড়ে একাধিক কংগ্রেস কর্মী খুনের পিছনে শনিবার নবগ্রামের শিবপুরের বিলবাড়ির স্কুল ময়দানে সভা করে এ ভাবেই ‘এক ঢিলে’ শরিক তৃণমূল এবং বিরোধী সিপিএম, ‘দুই পাখি’-কে বিঁধলেন অধীর। তিনি বলেন, “কংগ্রেস কর্মী খুনে প্রকৃত দোষী এক জনকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উল্টে কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতার করে তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে।” তারই প্রতিবাদে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করলেও অধীর বলেন, “রাজ্যে খুন-সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের ঢেঁড়া পেটাচ্ছেন। ইমামদের ভাতা দিচ্ছেন। আমি ভাতা দেওয়ার বিপক্ষে নই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ইমামরা মিশকিন নন। গ্রামের সমাজ ইমামদের মাসোহারাও দিয়ে থাকে।” একই ভাবে নসিপুর রেল সেতু সংক্রান্ত বিষয়েও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “নসিপুর রেল সেতু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও জমি জটিতলায় তা আটকে রয়েছে। তৃণমূলের হাতেই রেল দফতর অথচ সমস্যা তারা মেটাতে পারছে না।” |