|
|
|
|
গড়বেতায় উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, শালবনিতে মিলল হাড়গোড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যে পালাবদলের পর গত বছর জুন-জুলাই মাস জুড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় উদ্ধারের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সে সময়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিপিএম নেতা-কর্মীদের নামে বেআইনি অস্ত্র-মজুত এবং খুন ও লাশ গায়েবের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। এক বছরে অধিকাংশ মামলায় অগ্রগতি অবশ্য সামান্যই। তবে অস্ত্র ও হাড়গোড় উদ্ধারে এখনও পুরোপুরি যতি পড়েনি এই জেলায়। শনিবার সকালে গড়বেতার যাদববাটিতে একটি কুয়োর মধ্যে থেকে ছ’-ছ’টি বন্দুক উদ্ধার ঘিরে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ দিনই আবার শালবনির ভীমশোলে মাটি খুঁড়ে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে। দেহটি প্রায় দু’বছর ধরে নিখোঁজ বছর চল্লিশের এক সিপিএম কর্মীর বলে দাবি উঠেছে। তিনি মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ পরিজনেদের। আশপাশের এলাকা থেকে ৩টি ডিরেকশনাল মাইনও উদ্ধার হয়। সেগুলি দীর্ঘ দিন ধরে মাটিতে পোঁতা ছিল বলে পুলিশের বক্তব্য।
পুলিশ সূত্রের খবর, ভীমশোলের জঙ্গলে অস্ত্রশস্ত্র পোঁতা রয়েছেএমন খবর পেয়েই সেখানে তল্লাশি শুরু হয়েছিল। তল্লাশির সময়ে দেখা যায়, জঙ্গলের এক জায়গায় উঁচু ঢিবি রয়েছে। সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করেই পাওয়া যায় কিছু হাড়গোড়। একটি প্যান্ট ও চটিও উদ্ধার হয়। সেই সূত্রেই দু’বছর ধরে নিখোঁজ শালবনির মোহনপুরের সিপিএম কর্মী নির্মল চক্রবর্তীর পরিজনেরা দাবি করেন, দেহটি ওই সিপিএম কর্মীর। মাওবাদীরা তাঁকে অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর বক্তব্য, “উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিশ্চিত ভাবে শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গড়বেতার যাদববাটিতে কুয়ো থেকে ছ’-ছ’টি বন্দুক উদ্ধার প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, সেচের জন্য পাইপ লাগিয়ে কুয়ো থেকে জল তোলা হচ্ছিল। হঠাৎই পাইপে জল ওঠা বন্ধ হয়। তখন কুয়োয় নেমে স্থানীয় কয়েক জন দেখেন, পাইপের মুখে পলিথিনের একটি ব্যাগ আটকে গিয়েছে। দেখা যায়, ওই ব্যাগেই ৬টি একনলা বন্দুক রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বন্দুকগুলি উদ্ধার করে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে বন্দুকগুলি ওই কুয়োয় এলতার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
দাঁতনে তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের এক দলীয় কার্যালয় আগুন পুড়ে যাওয়া ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-২ ব্লকের সাবড়ায়। শুক্রবার গভীর রাতে কে বা কারা সাবড়ায় তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন লাগায়। তৃণমূলের অভিযোগ, এক সময়ে এলাকায় যারা সিপিএম করত, ইদানীং কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেতারাই আগুন ধরিয়েছে। সিপিএম এবং কংগ্রেসের নেতারা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “তদন্ত চলছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।” |
|
|
|
|
|