কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দেশের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে শ্বেতপত্র দাবি করল সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিস্তারিত তথ্য এবং যুক্তি-সহ ওই দাবি পেশ করা হবে বলে এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত শনিবার জানান। তবে সংসদে ওই দাবি সিপিআই একা তুলবে নাকি বামেরা ঐক্যবদ্ধ হবে ওই বিষয়ে সরব হবে, তা স্পষ্ট করেননি গুরুদাসবাবু। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ঘরের কথা সব কেন বলব?”
শুক্রবার সংসদের অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছিল। ওই কমিটির সদস্য হিসাবে বৈঠকে গিয়ে গুরুদাসবাবু যে সব তথ্য জেনেছেন, তারই জেরে তাঁদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি। তিনি জানান, আর্থিক বিকাশের হার, কৃষি, শিল্প, পরিষেবা ক্ষেত্রে বিকাশের হার, বিনিয়োগ, পারিবারিক সঞ্চয় ভয়ানক ভাবে কমে গিয়েছে, তা সরকারের দেওয়া তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে।
মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যবৃদ্ধি একযোগে চেপে বসেছে। এই প্রত্যেকটি বিষয়ে সরকারের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে গুরুদাসবাবু বলেন, “দেশের আর্থিক সঙ্কটকে সরকারই অভূতপূর্ব আখ্যা দিচ্ছে। সরকারের উচিত লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং সামাজিক পরিকাঠামো তৈরি করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে এই আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করা। তা না করে তারা ব্যয়সঙ্কোচের নামে ভর্তুকি কমাতে চাইছে। তার ফলে কর্মসঙ্কোচন হবে। মন্দা বাড়বে।”
গুরুদাসবাবু আরও জানান, দিল্লিতে ১১টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর তালকাটোরা স্টেডিয়ামে দেশের তিন হাজার জন শ্রমিক প্রতিনিধিকে নিয়ে কনভেনশন হবে। কেন্দ্রের ‘জনবিরোধী’ নীতির প্রতিবাদে নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশ জোড়া আইন অমান্য এবং ফেব্রুয়ারিতে দু’ দিনের সাধারণ ধর্মঘট ডাকা যায় কিনা, তা নিয়ে কনভেনশনে আলোচনা হবে। |