প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের বেহাল নিকাশি ঢেলে সাজার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর। জল বার হওয়ার ব্যবস্থা না-থাকায় প্রতি বছর বর্ষায় শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার বেহাল হয়ে পড়ে। মাছ বাজারের পাশের নালা উপচে জল ঢুকে পড়ে বাজারে। ফল ও সবজি সংরক্ষণের জন্য তৈরি হিমঘরেও ঢুকে পড়ে জল। গত কয়েক বছর ধরেই এই সমস্যা চললেও এতদিন কেউই গা লাগাননি। সম্প্রতি কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে বিজ্ঞানসম্মত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নিয়ন্ত্রিত বাজার ঘুরে দেখেন। মহানন্দা নদীর সঙ্গে বাজারের ‘ওয়াটার লেবেল’ও দেখা হয়। রাজ্য নিয়ন্ত্রিত বাজার পর্ষদের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিক অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিকাশির নকশা এবং পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। সেটা হাতে এলে অন্যান্য পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া সেরে কাজে নামা হবে।” বাজারে নিকাশি নালা তৈরি করা হলেও জল বার হয় না। বাজারের পিছনে বিশাল লোকালয়। সামনে দিয়ে চলে গিয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রতিনিধি দলটি অবশ্য বাজারের সামনে দিয়েই নানা কেটে চম্পাসারি মোড় টপকে মহানন্দা নদীতে জল ফেলার পক্ষে সওয়াল করেছে। শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের সচিব গোপাল দে বলেন, “দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায়ের আগ্রহে নিয়ন্ত্রিত বাজার পর্ষদের তরফে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। আশা করছি, বর্ষার পরে দ্রুত কাজে নামা সম্ভব হবে।” কাজে নামার ক্ষেত্রে এখনও নানা বাধা রয়ে গিয়েছে। এর অন্যতম টাকার সংস্থান। যদিও দফতরের আধিকারিকদের দাবি, টাকা জোগাড়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। দফতর থেকে এই প্রকল্পে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মিলবে বলে আশ্বাস মিলেছে। আরও আড়াই কোটি টাকা দেবে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার কর্তৃপক্ষ। তার পরেও বাকি পাঁচ কোটি টাকা কোথা থেকে আসবে সেই প্রশ্ন রয়েছেই গিয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর এবং এসজেডিএ-র কাছ থেকে বাকি ৫ কোটি টাকা চাওয়ার পরিকল্পনা আছে।” নিয়ন্ত্রিত বাজারের নিকাশির জন্য অর্থ চাওয়া হলে তা বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন এসজেডিএর চেয়্যারমান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “নিয়ন্ত্রিত বাজারের উন্নয়নের পক্ষে আমরা। নিকাশির টাকা চেয়ে বাজার কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও চিঠি পাইনি। তেমন কিছু হলে অবশ্যই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
|
ব্যাঙ্কের হিসাবে গরমিল, গ্রেফতার দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
ব্যাঙ্কের হিসাবে গরমিল করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যাঙ্ক কর্মী এবং চা বিক্রেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম থানার কামাখ্যাগুড়ি কৃষি উন্নয়ন ব্যাঙ্কে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রামু যাদব ও সুজিত পাল। রামু যাদব ব্যাঙ্কের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। সুজিত পাল ব্যঙ্কের সামনে একটি চায়ের দোকান চালান। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বলেন, “গড়মিল ধরা পড়ার পর তদন্ত শুরু হয়। রামু যাদব এক আমানতকারীর অ্যাকাউন্টের লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।” আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।” |