বলরামপুর থানার খুনটাঁড় গ্রামের জোড়া খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রমকে বৃহস্পতিবার নিজেদের হেফাজতে নিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বিনয়কুমার পাঠক ওই নির্দেশ দেন। বিক্রমের আইনজীবী সাগর মণ্ডল বলেন, “ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতের কাছে বিক্রমকে জেরা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। বিশেষ অনুমতি নিয়ে গত ২৪ জুলাই পুরুলিয়ায় সিআইডি বিক্রমকে জেরা করে। তারপরই তদন্তের জন্য সিআইডি গত বুধবার পুরুলিয়া আদালতে আমার মক্কেলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। বিচারকের নির্দেশ মেনে সিআইডি অর্ণব দামকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে।” এর আগে গত মঙ্গলবার পুরুলিয়া আদালতের বিচারক আগামী ৩১ জুলাই বিক্রমকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাগরবাবু বলেন, “এ ক্ষেত্রে অন্য মামলায় যেহেতু তাঁকে ফের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হল, তাই ওই দিন এই বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে।” গত ১৪ নভেম্বর অযোধ্যা পাহাড়তলির গ্রাম খুনটাঁড়ে হানা দিয়ে গ্রামের তৃণমূল কর্মী রাজেন সিংহ সর্দারকে না পেয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর বাবা অজিত সিংহ সর্দার ও ছোট ভাই রমেশ সিংহ সর্দার ওরফে বাকুকে গুলি করে খুন করে। ওই খুনে মাওবাদীরাই যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমানে সিআইডি ওই খুনের তদন্ত করছে। এ দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি বিক্রমকে ভবানীভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
|
শিশুকন্যা-সহ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক শিবকান্ত প্রসাদ তালড্যাংরার নাচনা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জীব পানকে এই সাজা দিয়েছেন। তালড্যাংরার নাচনা গ্রামে ২০০১ সালের ১০ মার্চ অগ্নিদগ্ধ হন চায়না ওরফে দীপালি পান নামে ওই বধূ। ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যায় তাঁর ১৯ দিনের এক শিশুকন্যা। ২৭ মার্চ ওই বধূরও মৃত্যু হয়। ১১ মার্চ চায়না ও তাঁর শিশুকন্যার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগানো হয়েছে বলে সঞ্জীব পান-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী রীনা চক্রবর্তী বলেন, “শিশুকন্যা-সহ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অপরাধে মৃতার স্বামী সঞ্জীব পানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়। শ্বশুর কালিপদ পান, শাশুড়ি ভক্তিবালা পান ও বড় ননদ রুপালী পানকে দু’বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। জেলা আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক শিবকান্ত প্রসাদ হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় বিচার করে বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছেন।”
|
পাড়ার লোকেরা তাদের বিয়ে ঠিক করেছিলেন। খবর পৌঁছতে তাতে বাধা দেয় প্রশাসন। ঘটনাটি পুরুলিয়ার হুড়া থানা এলাকার। পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক (সদর) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “বুধবার আমার কাছে খবর আসে ওই এলাকায় একটি গ্রামে একজোড়া বিয়ের আসর বসছে। কিন্তু দু’টি মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তখন বিডিওকে দেখতে বলি। বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত বলেন, “চারজনই একই গ্রামের। গ্রামবাসীরা জানান, ওদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে গিয়েছে। তাই শাস্তি স্বরুপ ওদের বিয়ে দেওয়াই ঠিক করেছেন সবাই মিলে। ওদের বোঝানো হয়েছে। পাত্র-পাত্রী দুই পক্ষই মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছে, এখনই এই বিয়ে হবে না।”
|
বাড়ির ছাদ থেকে খসে পড়া চাঙড়ের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল পূজা গুপ্ত (৩৫) নামে এক বধূর। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহরে আশ্রমপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
|
বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ পড়শি দুই দম্পতিকে গ্রেফতার করল। বড়জোড়ার ফৌজদারপাড়ার ঘটনা। মৃতের নাম সোনালি সিংহ (২৭)। মঙ্গলবার বধূকে বড়জোড়া বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর স্বামী লালজি সিংহের অভিযোগ, “গত রবিবার স্ত্রী পড়শি রঞ্জিত মিটের বাড়িতে গিয়েছিল। পরে রঞ্জিতের স্ত্রী চম্পা দাবি করে, তার একটা সোনার হার চুরি হয়েছে। সোনালিই হার চুরি করেছে বলে তারা মিথ্যা অপবাদ দেয়।” বুধবার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ হয় রঞ্জিত মিট ও তাঁর চম্পাদেবী এবং পরেশ মিট ও তাঁর স্ত্রী মিনুদেবীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার তাদের ১৪ দিন জেলহাজত হয়।
|
বাড়ি ফেরার পথে মোটর বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ধীরেন মাহালি (৫০)। পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার কলবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা ধীরেনবাবু জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী। বুধবার সন্ধে নাগাদ রাঘবপুর-রামডি রাস্তায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। |