চার বছর আগে বেজিং থেকে ভারতের জন্য সব থেকে বড় সম্মানটা জিতে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনব বিন্দ্রার কাছে অলিম্পিক সোনা এখন নিছকই অতীত। লন্ডন পুরোপুরি এক নতুন যুদ্ধ এবং সেই যুদ্ধে নামার আগে বিন্দ্রা বলছেন, “পিছনে ফিরে তাকানোর কোনও মানে হয় না। চার বছর আগে দু’ঘণ্টার শু্যটিংয়ে আমি সোনা জিতেছিলাম। কিন্তু সে সব এখন অতীত। লন্ডনে নতুন লড়াইয়ে নামার জন্য তৈরি আমি।”
সরকারি ভাবে শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে লন্ডন অলিম্পিক। আর এত দিন চুপচাপ থাকার পর এ বার মুখ খুললেন ভারতের একমাত্র ব্যক্তিগত অলিম্পিক সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ। শু্যটিং রেঞ্জে তাঁর পরীক্ষা আগামী ৩০ তারিখ। তার আগে এ দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল বিন্দ্রাকে। লন্ডন অলিম্পিকে যখন নামবেন, সোনা জয়ের একটা চাপ আপনার উপর থাকবে না? আপনাকে নিয়ে গোটা দেশের প্রত্যাশা তো আকাশচুম্বী? বিন্দ্রা কিন্তু চাপের কথা প্রথমেই উড়িয়ে দিচ্ছেন, “বেজিংয়ে সোনা জিতেছি বলে এখানে কেন চাপে থাকব? এখানে তো আমার হাত খালি। আমার কিছুই হারানোর নেই। তা হলে চাপে থাকব কেন?”
আগামী ৩০ জুলাই পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্ট, ফাইনালও একই দিনে। বেজিংয়ে ইতিহাসকে ছুঁয়েছিলেন, এ বার সেই ইতিহাসকেও ছাপিয়ে যেতে পারেন কি না, তা দেখতে উন্মুখ হয়ে থাকবে গোটা দেশ। কিন্তু সেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে কি আপনি সত্যিই এতটা নির্লিপ্ত? না, চাপ সামলানোর নিছকই একটা কৌশল এটা? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে বিন্দ্রা বলছেন, “আমি সত্যি তথ্যগুলোই দিলাম। আপনাদের কোনও সন্দেহ আছে নাকি এই নিয়ে? বেজিং সত্যিই ভুলে গিয়েছি।’’
নিজের অলিম্পিক অভিজ্ঞতা নিয়ে বিন্দ্রা বলছেন, “দেখুন, এটা আমার চতুর্থ অলিম্পিক। আমার চুল এখন পেকে যাচ্ছে। যাই হোক, ২০০০ সালে সিডনিতে আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম। ২০০৪ আথেন্সে আমি অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙে দিই এবং পদক জেতার খুব কাছে চলে এসেছিলাম। আর চার বছর আগে বেজিংয়ে বোধহয় খুব খারাপ পারফরম্যান্স করিনি! এ বার দেখা যাক লন্ডনে কী হয়।”
এখন পর্যন্ত নিজের কেরিয়ার যে ভাবে এগিয়েছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট বিন্দ্রা। সন্তুষ্ট নিজের অলিম্পিক প্রস্তুতি নিয়েও। রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী শোনায় যখন বলেন, “সবাই সব সময় উন্নতি করতে চায়। আমি এক সময় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। তার পরেও চেষ্টা করেছি নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এ বারের অলিম্পিকে নামার আগে এটা বলতে পারি, আমার প্রস্তুতি ঠিকঠাক আছে। এখন দেখা যাক কী হয়।” |