ফি-বছরই অরণ্য-সপ্তাহে হাজার হাজার চারাগাছ পোঁতা হয় সরকারি উদ্যোগে। পরে দেখা যায় পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অধিকাংশ গাছই নষ্ট হয়েছে। এ বার একশো দিনের প্রকল্পে বৃক্ষরোপণের পর বেড়া দেওয়া-সহ পরিচর্যার কাজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ জন্য গাছ-প্রতি ২৫০ টাকাও ধার্য হয়েছে। চন্দ্রকোনা-২ ব্লক প্রশাসন অবশ্য গাছ-প্রতি ৪০ টাকায় ঘুরুঞ্চি (এক প্রকার বেড়া) দিয়ে গাছ বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বিডিও সৈকত হাজরা বলেন, “এতে বেড়ার জন্য অল্প টাকা খরচ হচ্ছে। বাকি টাকায় বেশি গাছ লাগানো যাচ্ছে। ঘুরুঞ্চি তৈরির সঙ্গে যুক্ত মানুষজনও খুবই উপকৃত হচ্ছেন।” ব্লক সূত্রের খবর, এ বার ব্লকে মোট ৩৫ হাজার চারা-গাছ লাগানোর পরিকল্পনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়েত এলাকা জুড়েই চলবে এই বৃক্ষরোপণ। এলাকার বিভিন্ন এলাকা যথা রাস্তায়, খেলার মাঠের চারদিকে, নদী-খালের পাড়ে এবং সরকারি খাস জমিতে আকাশমণি, শিশু, কৃষ্ণচূড়া, গামার, আমলকি, বেল, নিম-সহ বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হচ্ছে। কাজ করছে বিভিন্ন স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী।
|
শিল্পশহর-সংলগ্ন এলাকায় দূষণ-নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ (এইচডিএ)। বৃহস্পতিবার মহিষাদলের কাপাসএড়্যায় হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ‘বৃক্ষরোপণ’ অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এইচডিএ-র উদ্যোগে। এইচডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচে হলদিয়ার রানিচক থেকে নন্দকুমার পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ধারে চারাগাছ লাগানো হবে। গাছ লাগানো ও পরিচর্যার জন্য তিন বছরের চুক্তিতে বরাত পেয়েছে দু’টি নার্সারি। এ দিন সকালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এইচডিএ’র চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্য-নির্বাহী আধিকারিক পি উলগানাথন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উজ্জ্বল ভৌমিক, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা মিশ্র প্রমুখ।
|
রাজ্য সরকারের নিষেধের তোয়াক্কা না করে সৈকতকেন্দ্র মন্দারমণিতে অবাধে নির্মাণ-কাজ চলছে বলে ফের অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু হোটেল ও লজের কর্তৃপক্ষ অবৈধ নির্মাণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে বুধবার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল এবং রামনগর ২-এর বিডিও সুকান্ত সাহা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে অভিযান চালান। বেশ কিছু নির্মাণ-কাজ বন্ধও করেন তাঁরা। বিডিও জানান, যারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক নোটিস পাঠানো হচ্ছে। জবাব পাওয়ার পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
কর্মরত অবস্থায় সাপের ছোবলে মারা গেলেন এক খনিকর্মী। বৃহস্পতিবার সাতগ্রাম ইনক্লাইনের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবীচন্দ্র মাজি (৪৮)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় জবা উপর পাড়ায়।
|
সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে আলোকলতা দাস (৯) নামে এক বালিকার। বাড়ি বড়ঞার সাহোড়ায়। বুধবার কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো সেখানেই তার মৃত্যু হয়। |