ডলফিনের দেহ মিলল মাছ বোঝাই ট্রাকে। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির পাইকারি মাছ বাজারের ঘটনা।
ডলফিনটির ওজন প্রায় ৫০ কেজি। উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৪ ফুট। প্রথমে বাজারের লোকজন সেটি চিনতে পারেননি। হইচই শুরু হতে পশুপ্রেমী সংস্থা ‘অ্যানিম্যাল লিঙ্ক’, হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) সদস্যরা সেখানে যান। তাঁরা ডলফিনের দেহটি নিয়ে ময়না তদন্ত করানোর জন্য শিলিগুড়ির পশু হাসপাতালে যান। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত তা নিয়ে টালবাহানা চলে। শেষ পর্যন্ত পরিকাঠামো অপর্যাপ্ত জানিয়ে দেহটি ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেন পশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বন দফতর দেহটি নিয়ে যায়। আজ, শুক্রবার বন দফতর ডলফিনের দেহটি জলপাইগুড়ি নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করানোর চেষ্টা করবে। |
শিলিগুড়ি মাছের বাজারে উদ্ধার হওয়া ডলফিনের দেহ। ছবি: কার্তিক দাস। |
ডলফিনের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে অ্যানিম্যাল লিঙ্ক-এর শ্যামা চৌধুরী ও ন্যাফ-এর অনিমেষ বসুর সন্দেহ সেটিকে খুঁচিয়ে মারা হয়েছে। শ্যামাবাবু প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, “একশ্রেণির ব্যবসায়ী মাছের আড়ালে ডলফিনও চালান করতে সক্রিয়। অন্য কোথাও পাঠানোর কথা থাকলেও ঘটনাচক্রে সেটি শিলিগুড়ি পৌঁছনোয় বিষয়টি সামনে এসেছে বলে মনে হচ্ছে।” অনিমেষবাবু বলেন, “বিলুপ্তপ্রায় ডলফিন মারা নিষিদ্ধ। নিয়মিত ডলফিন মেরে মাছের সঙ্গে দেশের নানা প্রান্তে পাচার হচ্ছে ভেবে আমরা চিন্তিত।” পাশাপাশি, শিলিগুড়িতে পশু হাসপাতালে কেন যে কোনও প্রাণীর দেহের ময়নাতদন্ত করানোর ব্যবস্থা হবে না, সেই প্রশ্নেও সরব তাঁরা। শিলিগুড়ি পশু হালপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর সজল ভুঁইয়া অবশ্য বলেন, “কেবল গৃহপালিত পশুপাখির চিকিৎসা ও পরীক্ষা করানোর পরিকাঠামো আমাদের আছে। ডলফিন জাতীয় প্রাণীর দেহ ময়নাতদন্ত করানোর জন্য জলপাইগুড়ি আঞ্চলিক পশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।”
বন্যপ্রাণী বিভাগের সুকনার এডিএফও রথীন্দ্রচন্দ্র রায় বলেন, “সাধারণত উপকূলবর্তী অঞ্চলে ডলফিন মিললেও কী ভাবে তা মাছের সঙ্গে মিশে শিলিগুড়িতে এল তা দেখা হচ্ছে।’’ |