খানাকুলের ঘাসুয়া গ্রামের সিপিএম নেতা মুক্তারাম মাজি খুনের ঘটনায় বুধবার রাতে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম আশিস দলুই, হারু সামন্ত, অমিত বাগ, অনুপ দলুই এবং বিদ্যুৎ সামন্ত। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আরামবাগ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। খানাকুল-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতেরা সকলেই আমাদের কর্মী। মিথ্যা এবং পরিকল্পিত ভাবে ওই ঘটনায় তাঁরে নাম জড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম।” পক্ষান্তরে, সিপিএমের খানাকুল জোনাল কমিটির সদস্য ভজহরি ভুঁইয়া বলেন, “ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।” রবিবার রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুক্তারামবাবুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে মঙ্গলবার তিনি মারা যান। তাঁর স্ত্রী তৃণমূলের দুই নেতা-সহ ২৮ জনের নামে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়।
|
গুড়াপের হোমের আবাসিক গুড়িয়াকে যে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই লাঠিটি নিজেদের হেফাজতে নিতে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুশ্রী মণ্ডলের কাছে আবেদন করল সিআইডি। একই সঙ্গে ওই হোম সংক্রান্ত নথিপত্রও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় তারা। বিচারক অবশ্য এ দিন ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও নির্দেশ দেননি। এ দিন ওই হোমের সম্পাদক, ধৃত উদয়চাঁদ কুমার-সহ তিন জনকে আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের ১০ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। উদয়চাঁদের ‘ডান হাত’ ধৃত শ্যামল ঘোষের অভিযোগ ছিল, উদয়চাঁদই লাঠি দিয়ে মারধর করেন গুড়িয়াকে। তাতেই গুড়িয়ার মৃত্যু হয়। উদয়চাঁদ সেই অভিযোগ মানেননি। লাঠিটি কিছু দিন আগে উদ্ধার করে গুড়াপ থানা। হোম সংক্রান্ত যাবতীয় নথি রয়েছে জেলাশাসকের হেফাজতে। গত ১১ জুলাই হোমের পাঁচিলের পাশের একটি পুকুরের ধারের মাটি খুঁড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন আবাসিক গুড়িয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
|
হাওড়া বাগনান টাউন ক্লাব ও সংহতি ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে এবং উত্তম-স্মৃতি রক্ষা কমিটির পরিচালনায় হয়ে গেল ‘উত্তম-স্মরণ’ অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার বাগনান চিত্রবাণী সিনেমা হলের কাছে উত্তমকুমারের মূর্তির পাদদেশে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃতও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, আমতার বিধায়ক অমিত মিত্র প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মানস বসু ও বাপন সামন্ত।
|
বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। বন্যাপ্রবণ খানাকুলের নদীবাঁধগুলির অবস্থা বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করলেন হুগলির জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজন। কয়েকটি বাঁধ দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেন তিনি। খানাকুল-১ ও ২ ব্লকের বিডিওদের এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের আশ্বাসও জেলাশাসক দিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এ দিন খানাকুল-১ ব্লক এবং আরামবাগের আরাণ্ডি-১ পঞ্চায়েতে গিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত দু’টি প্রশিক্ষণ শিবিরও তিনি উদ্বোধন করেন। |