সাঁতার শিখতে গিয়ে ঝিলে ডুবে মৃত্যু হল দুই বালিকার। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির সন্তোষপুর অঞ্চলের সার্ভে পার্ক থানার রাজাপুর বি-ব্লক এলাকায়। মৃত ওই দুই বালিকার নাম মমতা নস্কর (১০) ও দোলা সরকার (১২)। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সাঁতারের প্রশিক্ষককে।
সকালে এই ঘটনার খবর যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। তিনি তখন নেতাজি ইন্ডোরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ও বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্তকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, “শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের দিকে সব সময়ে নজর রাখা উচিত।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে যাদবপুর কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঝিলে স্থানীয় বাসিন্দা, সাঁতারের প্রশিক্ষক প্রবীর মণ্ডল মমতা ও দোলাকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন। ওই সময়ে তারা প্রশিক্ষকের থেকে কিছুটা দূরে, প্রায় ঝিলের মাঝখানে চলে যায়। হঠাৎই জলে তলিয়ে যেতে থাকে মমতা। দোলা তাকে টেনে আনার চেষ্টা করলে দু’জন একসঙ্গে তলিয়ে যায়। ঘটনার কথা জানতে পেরে এলাকাবাসীরা সার্ভে পার্ক থানায় খবর দেন। কিন্তু পুলিশের ডুবুরি আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা জাল ফেলে ওই দু’জনের নিথর দেহ উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ ওই দু’জনকে বাঘা যতীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাঁতার প্রশিক্ষকের অসতর্কতার কারণেই ওই দুই বালিকার মৃত্যু হয়েছে। ওই দুই বালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রবীরবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ঘটনার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রবীরবাবু কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের মাঠে স্থানীয় কিশোর-কিশোরীদের জুডো ও ক্যারাটে শেখান। এ দিন ওই দুই বালিকা জুডো ও ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে প্রবীরবাবুর সঙ্গে সাঁতার শিখতে গিয়েছিল। তবে প্রবীরবাবুর জুডো-ক্যারাটে ও সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সার্টিফিকেট রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |