ধান কেনার সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ১০৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫০ টাকা হচ্ছে বলে ফের জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই দরেই অক্টোবর থেকে ধান কিনবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে গিয়ে সাত জেলার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধায়কদের থেকে ২০টি করে নাম চান, যেখানে চালকল নেই। ওই সব জায়গায় বেড, কনফেড, নাফেড, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগম ধান কিনবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আজ, শুক্রবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলা মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও দার্জিলিঙের বিধায়কদের থেকেও তিনি একই ভাবে ২০টি জায়গার নাম চাইবেন বলে জানিয়েছেন। ওই সব জায়গায় টানা পাঁচ থেকে দশ দিন ধান কেনা চলবে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, গত ২৪ জুলাই পর্যন্ত রাজ্য সহায়ক মূল্যে ১৭ লক্ষ টন ধান কিনেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ লক্ষ টন। শুক্রবারের মধ্যে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যাবে বলেই খাদ্যমন্ত্রীর আশা। গত বার চালকল থেকে চাষিদের দেওয়া কিছু চেক বাউন্স করার প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, “প্রতারণার কারণে রাজ্যে ১৭টি চালকলকে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। বর্ধমানে এমন ৫টি চালকল রয়েছে।”
|
অকৃতকার্য ছাত্রদের বিক্ষোভের জেরে দূরশিক্ষা পাঠ্যক্রমের এমএ এবং এম কম পার্ট-১ পরীক্ষা পিছিয়ে দিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার নতুন পরীক্ষাসূচি ঘোষিত হয়েছে। জানানো হয়েছে, এমএ পার্ট-১ বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সংস্কৃতের বিভিন্ন পত্রের পরীক্ষা হবে যথাক্রমে ২৬ অগস্ট এবং ২, ৯ ও ১৬ সেপ্টেম্বর। এম কম পার্ট-১ নতুন পাঠ্যক্রমের পরীক্ষা হবে ২৬ অগস্ট এবং ২, ৯,১১, ১৩ ও ১৬ সেপ্টেম্বর। পুরনো পাঠ্যক্রমের পরীক্ষা হবে ২৬ অগস্ট এবং ২, ৯ ,১১ ও ১৬ সেপ্টেম্বর। ১৯ অগস্ট থেকে এই পরীক্ষাগুলি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেরিতে ফলপ্রকাশের পরে অকৃতকার্য ছাত্রেরা পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ভাঙচুর রুখতে পুলিশকে লাঠিও চালাতে হয়েছিল। শেষমেশ উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের নির্দেশে দূরশিক্ষা দফতর পরীক্ষা পিছিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। এ দিন ওই দফতরের এমএ এবং এম কম পার্ট-২ পরীক্ষার দিন ঘোষিত হয়েছে। আগে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে। তার বদলে ২৩ ও ৩০ সেপ্টেম্বর, ৭ ও ১৪ অক্টোবর এমএ পার্ট-২ পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের দিন ধার্য হয়েছে। এম কম পার্ট-২ পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৩ ও ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ৭, ১০, ১২, ১৪ অক্টোবর।
|
জেল থেকে ছাড়া পেলেন বর্ধমানের প্রণবানন্দ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন অধিকর্তা ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ প্রভাতকুমার অধিকারী পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভাস্করবাবুকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় বর্ধমানের সিজেএম আদালত। উল্লেখ্য, আমানতকারীদের অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে বর্ধমানের অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত বিশেষ আদালত। ১৮ জুন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। গত ১৯ জুন বর্ধমানের বংপুরের বাসিন্দা সৌরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন, প্রণবানন্দ সমবায় ব্যাঙ্কের বর্ধমান শাখায় তাঁর ২২৩০ টাকা জমা রয়েছে। ব্যাঙ্কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি টাকা তুলতে পারেননি। তাঁর সন্দেহ, ওই আমানত আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই অভিযোগ পেয়ে বর্ধমান থানা অর্থ তছরুপ ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন ভাস্করবাবুর বিরুদ্ধে। ২৭ জুন তাঁকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলাতেও জামিন পেয়েছেন ভাস্করবাবু।
|
খেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধি হল কালনা মহকুমার কালনা ১, কালনা ২ ও মন্তেশ্বর ব্লকে। এত দিন এই ব্লকগুলিতে খেতমজুরির হার ছিল দৈনিক ৬৭ থেকে ৮০ টাকা ও দু’কেজি করে চাল। বর্তমানে কালনা ১ ও ২ ব্লকে মজুরি বেড়ে দাঁড়াল ১০০ টাকা। আগের মতো দু’কেজি চালও বজায় রইল। তবে চাল না নিলে প্রতিদিন খেতমজুরেরা পাবেন ১৪০ টাকা। অন্য দিকে, মন্তেশ্বরে মজুরি বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা ও প্রতিদিন দু’কেজি করে চাল। সম্প্রতি মজুরি বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে মহকুমার এই তিন ব্লকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘেরাও, রাস্তা অবরোধ, পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠকের পরে পরের দিন ব্লক অফিসে একটি সর্বদলীয় বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
|
বর্ধমান সদর তৃতীয় ডিভিশন ফুটবলে ইছলাবাদ অ্যাথলেটিক ক্লাব ৩-১ গোলে হারাল বিবেকানন্দ সেবক সঙ্ঘকে। ইছলাবাদের সুবীরকুমার বসু হ্যাট্রিক করেন। বিবেকানন্দের অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবধান কমান। এছাড়া রতন স্মৃতি সঙ্ঘ ১-০ গোলে হারিয়েছে গুসকরা জোনাল ক্লাবকে। গোলটি করেন চন্দন কিস্কু। গলসি উদয়ন ও বড়নীলপুর উদয়ন সঙ্ঘের খেলা ২-২ গোলে অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়। |