|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডে জঙ্গি-এলাকায় নিজস্ব প্রকল্প সরকারের |
সঞ্জয় চক্রবর্তী • রাঁচি |
ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী প্রভাবিত অঞ্চলের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পগুলির পাশাপাশি গ্রামবাসীদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়নের কাজ শুরু করছে জেলা প্রশাসনও। যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখলেও, গ্রামাঞ্চলে মাওবাদী প্রভাব কাটাতে উন্নয়নকেই প্রধান হাতিয়ার হিসেবে দেখছে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন।
সরকারি সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী প্রভাবিত কয়েকটি জেলার কিছু ব্লকে গ্রামোন্নয়নের একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ তো চলছেই। এ বার ওই সব অঞ্চলে জেলা প্রশাসনও পরিকাঠামো থেকে শুরু করে পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা-সহ সার্বিক উন্নয়নের কাজ হাতে নিচ্ছে। কাজের ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের চাহিদা এবং পছন্দকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এই মুহূর্তে মাওবাদী প্রভাবিত বোকারো জেলার ঝুমরা পাহাড় লাগোয়া, গোমিয়া ব্লককে অগ্রাধিকার দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। ঝুমরা পাহাড়কে ঘিরে তৈরি হয়েছে মাওবাদী গড়। অনুন্নয়নের ক্ষোভ ছড়িয়ে রয়েছে ওই এলাকায়। তাই উন্নয়নের কাজ শুরুর ক্ষেত্রে প্রশাসনের অগ্রাধিকার-তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে গোমিয়া। ইতিমধ্যেই উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে। বোকারোর জেলাশাসক সুনীল কুমার বলেন, ‘‘জেলার গ্রামগুলির সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক দফা বৈঠকও হয়েছে।” জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, এলাকার পরিষেবা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি, সমস্ত রকমের সমস্যা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। উন্নয়নের কাজ হবে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের কর্তা এবং বিভিন্ন গ্রামের মুখিয়াদের চোখে ঝুমরা পাহাড় সংলগ্ন গ্রামগুলিতে অনুন্নয়নের ছবিটাই বড় হয়ে উঠেছে। এই ব্লকে কার্যত কোনও পরিকাঠামোই গড়ে ওঠেনি। সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। অনেক গ্রাম আছে যেখান থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ১০-১৫ কিলোমিটার। রোগী ভর্তি করানোর প্রয়োজন হলে তাকে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। রয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও লো-ভোল্টেজের কারণে রাতে বাল্ব জ্বলে না। অনুন্নয়নের সমস্যাকে পুঁজি করেই এখানে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত। |
|
|
|
|
|