বিনোদন নিজের ‘কহানি’ বলে গেলেন ‘আনন্দ’
‘বাবুমশায়...’
কান্নাভেজা চোখে ঘুরে তাকালেন বাবুমশায়। টেপ রেকর্ডার থেকে ভেসে এসেছে শব্দগুলো।
’৭১ সাল। আনন্দের শেষ দৃশ্য।
শনিবার ফের এক বার শোনা গেল ‘আনন্দের’ গলা। অবিকল যেন সেই চল্লিশ বছর আগের ঘটনা। আনন্দের মতোই রাজেশ খন্না রেকর্ড করে গিয়েছেন তাঁর শেষ কথা।
শনিবার ‘চৌথা’ অনুষ্ঠানে শোনানো হল মৃত্যুর আগে রাজেশের রেকর্ড করে যাওয়া শেষ ইচ্ছে। সেখানে তিনি বলেছেন, “ভাই-বোন-বন্ধুরা, স্মৃতিতে ডুবে থাকা আমার অভ্যেসে নেই। ভবিষ্যতের কথা ভাবতেই হয়। যে দিন চলে গিয়েছে, সে কথা ভাবার কোনও অর্থ হয় না... কিন্তু অচেনা ভিড়ে যখন হঠাৎই চেনা মুখের দেখা মেলে, মুহূর্তের মধ্যে ফিরে আসে পুরনো স্মৃতি।”
‘আনন্দ’ ছবির সেই শেষ দৃশ্য।
রাজেশের প্রথম ছবি ১৯৬৬ সালে। গডফাদারের ছায়া ছাড়াই খ্যাতির চুড়োয় পৌঁছনোর কাহিনিও বলে গিয়েছেন নিজের মুখে। বলেছেন, “থিয়েটারের মঞ্চ থেকেই আমার যাত্রা শুরু। কোনও গডফাদার ছিল না, কোনও আত্মীয় বা পরিবারের কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। ‘ইউনাইটেড প্রোডিউসারস ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট কনটেস্ট’ থেকে আমার ছবির জগতে আসা।”
সেখানেই বিমল রায়, শক্তি সামন্তের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা। একটা লম্বা টেবিলের এক দিকে তিনি, উল্টো দিকে শক্তি সামন্ত। প্রশ্ন করলেন, “আমরা আপনাকে একটা সংলাপ বলছি, মুখস্থ করে বলতে পারবেন? বলে চলেছেন রাজেশ, “আমার মনে হচ্ছিল, যেন কোর্ট মার্শাল হয়েছে। এখনই আমায় গুলি করে মারবে।” সে দিনের সেই সংলাপটাও বলে গিয়েছেন তিনি “মুঝকো ইয়ারো মাফ করনা... হাঁ ম্যায়ঁ কলাকার হু, হাঁ ম্যায়ঁ কলাকার হু, কেয়া করোগে মেরি কহানি সুন কর...।”
যাওয়ার আগে অবশ্য নিজের ‘কহানি’ সবাইকে বলে গেলেন তিনি, “আমি আপনাদেরই এক জন। আমাকে এতটা সময় দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ...। থ্যাঙ্ক ইউ, থ্যাঙ্ক ইউ... মাই সালাম টু ইউ।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.