শুধু একটি সংস্থা দরপত্র জমা দিল কেন, প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে একশো দিনের কাজের যাবতীয় তথ্য ই-গভর্ন্যান্সের আওতায় আনার বরাত দেওয়া হল দরপত্র পেশ করা সেই একমাত্র সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস-কে। সোমবার মহাকরণে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ওই কাজের বরাত পাওয়ার জন্য একমাত্র টিসিএস সংস্থাই কারিগরি ও আর্থিক দরপত্র জমা দিয়েছিল। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, টিসিএস-কে ওই বরাত দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কেবল একটি মাত্র সংস্থাই ওই কাজের জন্য দরপত্র জমা দিল কেন? অন্য কোনও সংস্থা কি ওই কাজের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি?
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তখন ব্যাখ্যা করে বলেন, অন্য কয়েকটি সংস্থা প্রথমে কাজ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহসূচক বার্তা (এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট) দাখিল করলেও চূড়ান্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সময় তারা এগিয়ে আসেনি। ফলে টিসিএস-কেই ওই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। দেশের মধ্যে একমাত্র অন্ধ্রপ্রদেশেই একশো দিনের কাজে বায়োমেট্রিক কার্ড চালু করা হয়েছে। চালু হয়েছে ই-গভর্ন্যান্স। সেখানেও ওই কাজ করেছে টিসিএস।
সুব্রতবাবু পরে বলেন, একাধিক সংস্থা যাতে ওই কাজ করতে চেয়ে দরপত্র দেয়, সেই জন্য তাঁরা দরপত্র জমা দেওয়ার শর্ত শিথিল করেছিলেন। সে-কথা এ দিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। একাধিক সংস্থা একজোট হয়ে ওই কাজের বরাত চাইলে তা বিবেচনা করার সুযোগও যে দেওয়া হয়েছিল, জানান সে-কথাও।
কিন্তু সেই সহজ শর্তেও সাড়া না-মেলায় শেষ পর্যন্ত অর্থ দফতরের অনুমতি নিয়ে একটি মাত্র সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতেই বরাত দেওয়া হয়। যে-হেতু একটি মাত্র দরপত্রের ভিত্তিতে বরাত দেওয়া হয়েছে, সেই জন্য পুরো বিষয়টি তিনি
রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পেশ করেন। |
পেনশন চাই, দরবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অর্থসাহায্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁদের যা দেয়, সেটা পেনশন নয়, নিতান্তই একটি ‘ভাতা’ বলে অভিযোগ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। কিন্তু তাঁরা ভাতা চান না, চান পেনশন। সোমবার মহাকরণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানালেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফ্রিডম ফাইটার্স অর্গানাইজেশন এবং অল ইন্ডিয়া ফ্রিডম ফাইটার্স সাকসেসরস অর্গানাইজেশনের সদস্যেরা। তাঁদের বক্তব্য, অধিকাংশ রাজ্যেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পেনশন দেওয়া হয় এবং সেটার পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গে প্রদেয় ‘ভাতা’র তুলনায় অনেক বেশি। এখন এ রাজ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামী বা তাঁদের স্ত্রীরা মাসে ৩২৫০ টাকা এবং তাঁদের বেকার অবিবাহিতা মেয়েরা মাসে ১৫০০ টাকা পান। অন্যান্য রাজ্যে আট হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হয়ে থাকে বলে স্বাধীনতা সংগ্রামী সংগঠনের দাবি। সংগঠনের সভাপতি পূর্ণেন্দুপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে প্রদেয় ভাতা গত পাঁচ বছরে আদৌ বাড়েনি। ফলে আমরা খুবই আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।” দ্রুত এর প্রতিকারের জন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। |