টুকরো খবর
৫ দিন আটকে ‘অত্যাচার’ বধূকে
বধূ নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন। বছর ছ’য়েক আগে বীরভূমের মুরারই থানা এলাকার ডুমুর গ্রামের হালিমা বেওয়ার মেয়ে শুকতারার বিয়ে হয়েছিল ওই এলাকারই সুহুদিঘি গ্রামের সুখিনা বেওয়ার ছেলে বাদশা শেখের। বছর দু’য়েক পরে শুকতারা যখন প্রথমবার সন্তান-সম্ভবা হন। সে সময়ে নলহাটির আশ্রমপাড়ায় চলে আসে বাদশা শেখ। প্রথমে একটি মেয়ে ও পরে ছেলের জন্ম দিয়েছেন ওই বধূ। কিন্তু তারপরেও তাঁর উপরে পণের দাবিতে অত্যাচার চলত বলে জানিয়েছেন শুকতারা। তিনি বলেন, “শুধু পণের দাবিতে অত্যাচারই নয়, ইতিমধ্যেই আরও দু’টি বিয়ে করেছেন আমার স্বামী। শ্বশুরবাড়ির সকলে চাইছিল, আমাকে তাড়িয়ে দিতে অথবা মেরে ফেলতে।” ওই বধূর দাবি, চলতি মাসের ১৬ তারিখ তাঁর স্বামী, শ্বাশুরি, দুই ননদ (নুরজাহান ও লালবানু ) এবং দেওর শাহিদুল মিলে তাঁকে শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন। শুকতারাকে ন্যাড়া করে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় সারা শরীরে। টানা পাঁচ দিন ধরে চলে এই কাণ্ড। সে সময়ে এক দিন ওই বধূর মা আসেন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। উদ্ধার পান শুকতারা। গত ২০ জুলাই মা-মেয়ে নলহাটি থানায় শ্বশুরবাড়ির সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। শুকতারার শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি। বাকিরা কেউ ধরা পড়েনি।

‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’ স্কুল ভোটে হার তৃণমূলের
স্কুল পরিচালন সমিতির ভোটে সব ক’টি আসনে জয়ী হলেন বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থীরা। মহম্মদবাজারের কেদারপুর ভবানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই নির্বাচনে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। রবিবার নির্বাচনের ফলে দেখা যায় তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের হারিয়ে ৬টি আসনেই জয় পেয়েছেন বাম প্রার্থীরা। স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচালন সমিতি দীর্ঘদিন বাম দখলে থাকার পর গত নির্বাচনেই এখানে কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয় লাভ করেছিলেন। বাম প্রার্থীরা ফের ওই পরিচালন সমিতির ক্ষমতায় আসার পেছনে তৃণমূলেরই একটি অংশ নিজেদের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’কেই দোষ দিচ্ছেন। এ বারের নির্বাচনে তৃণমূলেরই দু’টি গোষ্ঠী আলাদা ভাবে প্রার্থী দেয় বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, বাম প্রার্থীদের মিলিত ভোটের থেকে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর প্রাপ্ত ভোট অনেক বেশি। তাই ভোট ভাগাভাগি না হলে সব ক’টি আসনেই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরাই জিততেন বলে তাঁদের দাবি। মহম্মদবাজারের তৃণমূল নেতা তাপস সিংহ (তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ) এবং মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জিতেন ভট্টার্চাযও (সিউড়ির বিধায়ক স্বপন ঘোষের ঘনিষ্ঠ) ওই স্কুলে হারের নেপথ্যে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন। অন্য দিকে, মহম্মদবাজারের বাসিন্দা তথা সাঁইথিয়ার বিধায়ক, সিপিএমের ধীরেন বাগদি ভোট ভাগাভাগির দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন এই পরিবর্তনের জ্বালা! এই নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করল, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এই অবস্থার পরিবর্তন চাইছেন।”

বজ্রপাতে মৃত্যু দুই স্কুলছাত্রীর, জখম আরও ৫
স্কুল সংলগ্ন মাঠে বজ্রপাতে মৃত্যু হল দুই স্কুল ছাত্রীর। পাশাপাশি আহত হয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলাকর্মী এবং চার ছাত্রী। সোমবার দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদবাজারের প্যাটেল নগরে। পুলিশ জানায়, মৃত ছাত্রীরা হল শিল্পা মণ্ডল (৭) ও সাবানা খাতুন (১৪)। অতুলভাবিনী প্রাইমারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিল্পার বাড়ি স্থানীয় খড়িয়া গ্রামে। অন্য দিকে, মহম্মদবাজারের বাসিন্দা সাবানা অতুলভাবিনী বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। আহত অন্যান্য ছাত্রীরা হল অষ্টম শ্রেণির রিয়া বাগদি, রিমি দাস, সাথী খাতুন। আহত হয়েছেন প্রতিমা বাগদি নামে প্রাইমারি স্কুলের এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রাঁধুনি। আহতদের প্যাটেল নগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অতুলভাবিনী বালিকা বিদ্যালয় ও প্রাইমারি স্কুল দু’টি পাশাপাশি অবস্থিত। অন্যান্য দিনের মতো এ দিন দুপুরে টিফিনের সময় স্কুল সংলগ্ন মাঠে খেলা করছিল ওই ছাত্রীরা। তার পাশেই স্থিত রান্নাঘরে ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের রাঁধুনি প্রতিমাদেবী। সে সময়ই বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কর্মকার বলেন, “আমরা সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে নিয়ে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা দুই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।”

বাস চালু করতে বৈঠক
বন্ধ হয়ে যাওয়া সাঁইথিয়া-বহরমপুর রুটে ফের বেসরকারি বাস চলাচল শুরু করার আশ্বাস দিল প্রশাসন। সোমবার দুপুরে জট কাটাতে সিউড়িতে নিজের দফতরে সাঁইথিয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসেন বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক শ্যামাশিস রায়। সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ দুলালকৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, “ওই রুটে বাস চালাতে গিয়ে আমাদের যে যে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। শ্যামাশিসবাবু দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” অন্য দিকে, অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “এ ব্যাপারে কান্দির এসডিও এবং পুরপ্রধানকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আশা করছি মঙ্গলবার থেকেই ওই রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।” প্রসঙ্গত, গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সাঁইথিয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতি। ওই সংগঠনের অভিযোগ, কান্দির কয়েকটি বাস শ্রমিক সংগঠন সাঁইথিয়ার বাসকর্মীদের কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করছেন। তা দিতে অস্বীকার করায় সাঁইথিয়ার কয়েকজন বাসকর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি প্রতিবাদে ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা।

পাঠভবন-কাণ্ডে মামলা উঠল আদালতে
পাঠভবনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ‘নির্যাতন’ এবং বিশ্বভারতীর সংরক্ষিত এলাকায় ‘বেআইনি অনুপ্রবেশে’র ঘটনায় সোমবার বোলপুর এসিজেএম আদালতে আগামী ৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হল। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী ও ছাত্রীর বাবা-মার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ জুলাই পুলিশ ছাত্রীর বাবা-মা ও অভিযুক্ত ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছিল। পরে বোলপুর এসিজেএম পীযূষ ঘোষ তাঁদের জামিন দেন। এ দিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন অভিযুক্ত দুই পক্ষই। সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “বোলপুরের এসিজেএম আদালতে মামলার পরবর্তী দিন ৮ নভেম্বর ধার্য হয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বভারতীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছাত্রীর বাবা-মা-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া মামলাটিরও ওই দিন শুনানি হবে।”

চোর সন্দেহে পিটুনি
চোর সন্দেহে এক যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল ক্ষিপ্ত জনতা। সোমবার সকালে তারাপীঠের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তারাপীঠ তিনমাথা এলাকার একটি লজে ঢুকে দর্শনার্থীদের টাকা ও মোবাইল চুরি করে পালাচ্ছিল ওই যুবক। হোটেলের মালিক চন্দ্রদেব রায়ের দাবি, “নীচের একটি ঘর থেকে চুরি করে পালায় ওই যুবক। স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে।” ওই যুবকের কাছ থেকে চুরি যাওয়া টাকা ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জনতা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাঁরা ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.