চাঁদা তোলা নিয়ে বাস কর্মীদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে শনিবার থেকে সাঁইথিয়া ও বহরমপুরের মধ্যে বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। সাঁইথিয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতির তরফে দুলালকৃষ্ণ চন্দের অভিযোগ, “কান্দি বাসস্ট্যান্ডের চারটি শ্রমিক সংগঠন আমাদের বাস থেকে অতিরিক্ত চাঁদা চেয়ে জুলুম করছে। কান্দি থানায় অভিযোগও করা হয়। শুক্রবার ওরা আমাদের কয়েক জন কর্মীকে পেটায়।” প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই রুটে তাঁরা বাস বন্ধ করে দেন। কান্দি ও বহরমপুরের বেসরকারি বাসও এ দিন সাঁইথিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কান্দি বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি ফুলু মিয়ার দাবি, “বাইরের বাস থেকে চাঁদা নেব না এবং অন্যত্র চাঁদা দেব না বলে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্ত সাঁইথিয়ায় আমাদের বাস থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ হয়নি। তাই সম্প্রতি কান্দিতে ওদের থেকে চাঁদা নেওয়া শুরু হয়। শুক্রবার ধস্তাধস্তির বেশি কিছু হয়নি।’ বীরভূমের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “বিষয়টি দেখার জন্য অতিরিক্ত জেলাশাসককে (সাধারণ) বলব।”
|
‘ফেসবুক’-এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে লেখা একটি ‘ওয়াল পোস্ট’কে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়াল শনিবার রাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিতর্কের সূত্রপাত কসবার বাসিন্দা শতদ্রু রায় চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবকের লেখা একটি ‘পোস্ট’। শুক্রবার ফেসবুকে নিজের ‘ওয়াল’-এ ১০ লাইনের একটি লেখা ‘পোস্ট’ করেন শতদ্রু। নিজেকে ওই ‘পোস্ট’-এ টিএমসিপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলে উল্লেখ করে ওই যুবক শনিবারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। শতদ্রুর দাবি, তিনি বর্তমানে কংগ্রেস কর্মী। ‘পোস্ট’-এ কেন তিনি ওই সব কথা লিখেছেন, এই প্রশ্ন তুলে এ দিন বিকেলে তাঁর বাড়িতে যান কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ওই ‘পোস্ট’ লেখার জন্য সে সময় তাঁর মাকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ শতদ্রুর। এ ব্যাপারে স্থানীয় কসবা থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। |