যতক্ষণ না পরিচিত ওঝা এসে দেখছেন, সর্পদষ্টের দেহের ময়না-তদন্ত করতে দিলেন না পরিচিত-বন্ধুরা। অন্ধ-বিশ্বাসের জেরে শনিবার দিনভর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মর্গেই পড়ে রইল যুবকের দেহ। পেশায় সেলস্ম্যান অজিতপ্রসাদ মাহাতোর (২২) বাড়ি পুরুলিয়া সদর-ব্লকে। সপ্তাহখানেক আগে পেশার সূত্রেই মেদিনীপুরে আসেন। সহকর্মী মৃত্যুঞ্জয় মাহাতো ও কল্যাণ চালকের সঙ্গে ধেড়ুয়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। মেঝেয় ঘুমিয়ে থাকা অজিতের ডান হাতে শনিবার ভোরে বিষধর একটি সাপ দংশন করে। মৃত্যুঞ্জয়-কল্যাণরা তাঁকে সকাল সাতটা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আনলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা অজিতকে মৃত ঘোষণা করেন। দেহ পাঠানো হয় মর্গে। কিন্তু ময়না-তদন্তের ব্যাপারে বেঁকে বসেন মৃতের সহকর্মীরা। পুরুলিয়া থেকে তাঁদের পরিচিত দুই ওঝা এসে পৌঁছন বিকেলে। তাঁদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে জোর করেই ঢোকানো হয় মর্গে। বেরিয়ে এসে তাঁরাও ‘কিছু করার নেই’ জানানোর পরেই একমাত্র ময়না-তদন্তে রাজি হন মৃতের বন্ধুরা। মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণার পরেও দেহ নিয়ে দিনভরের টানাপোড়েন এই একবিংশ শতাব্দীতেও মফস্সল বাংলা কতটা পিছিয়ে, তারই ইঙ্গিত করছে।
|
মাছ ধরার সময়ে এক মহিলাকে টেনে নিয়ে গেল কুমির। শনিবার সকালে পাথরপ্রতিমার জগদ্দল নদীতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, কাঞ্চন বেজ (৩৫) নামে ওই মহিলার বাড়ি স্থানীয় শ্রীধরনগর গ্রামে। পরে শুধু তাঁর মুণ্ডটি পাওয়া যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ওই ঘটনার সময়ে পাশে অন্য মৎস্যজীবীরাও ছিলেন। কিন্তু কুমিরের হাত থেকে তাঁরা ওই মহিলাকে বাঁচাতে পারেননি। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে, ভাটার সময়ে নদীর চরে মহিলার মুণ্ডটি দেখতে পেয়ে মৎস্যজীবীরা পুলিশে খবর দেন। মহিলার স্বামী সুভাষ বেজ সেটি শনাক্ত করেন।
|
পশু ধরার ফাঁদে আটকে পড়া মানবশিশু-সদৃশ এই প্রাণীর ছবি নিয়ে নাগাল্যান্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেউ বলছে ‘মিসিং লিংক’-এর সন্ধান এত দিনে মিলল। তবে পুলিশ জানতে পেরেছে, পেরেন জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এক শিকারি সম্প্রতি জঙ্গলের গভীরে ফাঁদ পেতেছিলেন। তাঁর ফাঁদেই মৃত অবস্থায় এই প্রাণীটিকে আটকে থাকতে দেখা যায়। গ্রামপ্রধান জানান, মাঝবয়সী ওই ব্যক্তি শিকার করেই পেট চালান। ওই প্রাণীটি ফাঁদে বন্দি হওয়ায় পরে ১০ হাজার টাকায় এক ব্যক্তির কাছে প্রাণীটিকে বেচে দিয়েছিলেন ওই শিকারি। কিন্তু মোবাইলে তোলা ছবি প্রচার হতেই শিকারির সন্ধানে গ্রামে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে যায়। ভয় পেয়ে ওই শিকারি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। প্রাণীটির মৃতদেহ বা দেহাংশের সন্ধান এখনও মেলেনি।
|
শুক্রবার রাতে দাঁতালের হানায় ১০টি ঘর ভাঙল ডিমা চা বাগানে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানার রেঞ্জ অফিসার ভবেন ঋষি জানান, দাঁতালের হানায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হবে। |