বিকাশ শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক মহিলাকে মারধর করিয়াছেন, তাঁহার সম্মানহানি ঘটাইয়াছেন। অভিযোগ দায়ের হইবার পনেরো ঘণ্টা পরেও বিকাশ শাহকে পুলিশ ধরিতে পারে নাই। অবশেষে তিনি নিজেই বেলা দ্বিপ্রহরে বিচারবিভাগীয় মাজিস্ট্রেটের আদালতে আসিয়া ধরা দেন এবং কিছু ক্ষণ পর জামিন লইয়া বাহির হইয়া যান। অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ বিকাশ শাহ অটো রিকশ চালান। কলিকাতায় যাঁহারা অটো রিকশ চালান পুলিশ তাঁহাদের কেশাগ্র স্পর্শ করিতে পারিবেন, এমন আশা নাগরিকরা আদিগঙ্গায় বিসর্জন দিয়াছেন। যাত্রীরা তাঁহাদের দয়া এবং দাক্ষিণ্যের উপর ভরসা করিয়া যাতায়াত করিয়া থাকেন। অন্য যানের চালকরা তাঁহাদের উপদ্রবে সতত তটস্থ, সমস্ত নিয়ম ভাঙিয়া কখন কোথা হইতে অটো রিকশ ঢুকিয়া পড়িবে তাহার কোনও নিশ্চয়তা নাই। এই দাপট অতীতেও ছিল, তবে অধুনা তাঁহারা সত্যই ‘পরিবর্তন’-এর স্বাদ পাইয়াছেন, হয়তো স্বাধীনতার নূতন স্বর্গে পৌঁছাইয়াছেন। পুলিশের ঘাড়ে কতগুলি মাথা যে অটো-চালককে ধরিবার চেষ্টা করিবে? আর, ধরিয়াই বা লাভ কী? দ্রুত মুক্তি যখন তাহার মিলিবেই, তখন না ধরাই বুদ্ধিমানের কাজ। পরিশ্রম বাঁচে। মানও বাঁচে। |