ব্রিটেনের বিখ্যাত কান্ট্রিসাইড। শান্ত প্রকৃতি, ড্যাফোডিল বিছানো মাঠ, লম্বা গাছের সারির ছায়ায় দিগন্ত চিরে যাওয়া রাস্তা। টলটল ঝিলের জলে মেঘের ছায়া আর রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি।
অলিম্পিকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পূর্ব লন্ডনের বুকে উঠে আসা এমনই এক টুকরো ব্রিটিশ কান্ট্রিসাইড, গ্রামীণ ব্রিটেনের আমেজে ডুব দেওয়ার আমন্ত্রণ থাকছে নাকি বাদবাকি বিশ্বের কাছে। মেজাজটা ষোলো আনা খাঁটি করে তুলতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে গরু, ভেড়া এমনকী কৃত্রিম মেঘেরও বন্দোবস্ত থাকছে! অলিম্পিক স্টেডিয়ামের এই ভোলবদল যাঁর কল্পনাপ্রসূত, তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে আছে ‘অস্কার বিজয়ী’ শব্দ দু’টো। আর কোথাও একটা জুড়ে আছে ভারতের নামও। তিনি, ‘স্লাম ডগ মিলিয়নেয়ার’ খাত ড্যানি বয়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে “আমরা ব্রিটিশরা দেশ হিসাবে নিজেদের ছবি দেখতে পাব।” |
প্রায় তিন কোটি পাউন্ড খরচ হচ্ছে শুধু উদ্বোধন অনুষ্ঠানেই। যা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে হাজির থাকবেন ৬২ হাজার দর্শক। টেলিভিশনের দর্শক সংখ্যা একশো কোটি ছাড়াবে। তবে অনুষ্ঠানের শিল্প নির্দেশক বয়েলের পরিকল্পনাকে কেউ কেউ ‘ছেলেমানুষি’ বলে তুলোধনা করে ‘টেলিটাবিস’ নামে এক কার্টুন শো-র সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাই বিতর্কও থাকছে।
তবে আয়োজকরা বিতর্ক নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। সমালোচকদের কথায় কান না দিয়ে তাঁরা পড়েছেন একটা অনেক বেশি বাস্তব সমস্যা নিয়েপরিবহণ। প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষ হবে রাত বারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে। কিন্তু এখন তাতে কিছুটা কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে মানুষ সরকারি পরিবহণে বাড়ি ফিরতে পারেন। যে অংশটা কাটছাঁট করা হচ্ছে তাতে মোটরবাইকের নানা রকম স্টান্ট ছিল। |