বছর পাঁচেক আগে মানবাজারের রাধামাধব বিদ্যায়তনে বিদ্যাসাগর হল নির্মাণের জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা মিলেছিল। ওই টাকায় হল নির্মাণ সম্পূর্ণ তো হয়নি, উল্টে নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। ফের ওই হল নির্মাণ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে। পঞ্চায়েতের তরফে দাবি করা হয়েছে, অসমাপ্ত হল নির্মাণের জন্য বিধায়ক তহবিলের পাঁচ লক্ষ টাকা পঞ্চায়েত প্রধানের তহবিলে জমা রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্মাণ সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে যেন শীঘ্রই যোগাযোগ করেন। রাধামাধব বিদ্যায়তনের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “২০১১ সালের অক্টোবরে মানবাজার পঞ্চায়েতের কাছ থেকে এমন চিঠি পাওয়ার পর কয়েক বার স্কুলের পক্ষ থেকে ওই টাকা পাওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ অবধি প্রধান চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার বা স্কুল উন্নয়নের টাকা নিয়ে কোন আলোচনায় বসেননি। আমরা ফের চিঠি দিয়ে চূড়ান্ত মত জানতে চাইব।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক চণ্ডীদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মাত্র সাত মাস আগে ক্ষমতায় এসেছি। এর আগে দীর্ঘকাল সিপিএম এই স্কুলের পরিচালন সমিতিতে ছিল। ক্ষমতায় আসার পরে স্কুল উন্নয়নের টাকা নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করি।” মানবাজার পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের অনুরূপা সেন বলেন, “আমাদের চিঠি নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। অসমাপ্ত বিদ্যাসাগর হল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ যোগাযোগ করতে বলেছিলাম। বিধায়ক তহবিল থেকে যাতে পাঁচ লক্ষ টাকা পেতে পারে তার চেষ্টা করব বলেছিলাম।” প্রধান শিক্ষক বলেন, “চিঠিতে স্কুল উন্নয়নে বিধায়ক তহবিলের পাঁচ লক্ষ টাকা প্রধানের নিকট জমা রয়েছে বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।” বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা জেলা আধিকারিক সন্দীপ টুডু বলেন, “মানবাজার রাধামাধব বিদ্যায়তনের বিদ্যাসাগর হল নির্মাণের জন্য ওই সময় কোন টাকা মঞ্জুর হয়নি। প্রধান কেন এমন কথা বলেছেন উনিই জানেন।” |