নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ সীমান্ত ঘেঁষা বিজয়পুরে মাথাভাঙার চর জেগেছিল বেশ কিছুদিন। বসতি গনে উঠতেও সময় লাগেনি। নিজেদের মতো করে জমির সীমানা নির্ধারণ করে সেই চরে চলছিল চাষাবাদ। সেই ফসলের অধিকারেই দাঁড়ি টেনে দিল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কেন? বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চরের অধিকার নিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্প্রতি বিবাদ বেধেছে। তার জেরেই ওই নিষেধাজ্ঞা। স্থানীয় কৃষকদের চরে চাষাবাদ নিয়ে বিএসএফ-এর কাছে লিখিত ভাবে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডস বা বিজিবি। তার পরই বিজয়পুরের কৃষকদের চরের জমিতে নামতে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ। দিন কয়েক আগে বিএসএফের সেই নিষেধ অমান্য করে কয়েক স্থানীয় কৃষকেরা জমিতে ফসল তুলতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপরেও তারা জমির দিকে পা বাড়িয়েছিল। কিন্তু এ বার তাদের চরে নামতেই দেয়নি বিএসএফ। চাষিরা জানান, বহু টাকা খরচ করে, ঋণ নিয়ে জমিতে চাষ করে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই ফসল ঘরেই তুলতে পারেননি এ বার। ফলে তা মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। বিজয়পুরের বাসিন্দা শুভঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “বংশানুক্রমে আমরা ওই জমিতে চাষ করি। প্রায় ৪০ একর জমি রয়েছে। ওই জমি আমাদের। বিজিবি আপত্তি করায় বিএসএফ একরকম জোর করেই আমাদের ওই জমিতে চাষ তো দূরের কথা, নামতে পর্যন্ত দেয়নি। ফলে সব ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।”
পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, “কৃষকদের মাঠে নামতে বাধা দেওয়া অন্যায়।” তবে এবারই প্রথম নয়, মাস কয়েক আগে এখই রকম আপত্তি তুলে বিজয়পুর গ্রামে একটি ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল বিএসএফ। যুক্তি ছিল, সীমান্তে রাস্তা তৈরি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারে। এবং তা নিয়ে প্রথম আপত্তি তুলেছিল বিজিবি-ই। |