গোলকিপার কোচ বিতর্ক তুঙ্গে লাল হলুদে |
অতনুকেই চাই, বললেন মর্গ্যান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অন্য কোনও গোলকিপার কোচ নয়, অতনু ভট্টাচার্যকেই চাই। মঙ্গলবার অনুশীলনের শেষে সাফ জানিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর মর্গ্যান।
প্র্যাক্টিস শেষে ক্লাব মাঠে দাঁড়িয়ে তাঁর সাফ কথা, “অন্য কোনও গোলকিপার হলে চলবে না। অতনু দু’বছর গোলকিপারদের ভাল তৈরি করেছিল। ওকেই চাই।” ব্রিটিশ কোচের কথায়, “এই যে এখন গোলকিপারগুলো নিজেরাই প্র্যাক্টিস করছে। এটা তো ঠিক নয়।” গত দু’-এক দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল লাল-হলুদ কর্তারা জাতীয় যুব দলের গোলকিপার কোচ তনুময় বসুর কথা ভাবছেন। যা শুনে মর্গ্যান অবাক! বলেন, “আমি তো এই প্রথম শুনছি।”
ইস্টবেঙ্গলে পুরোনো চোট নিয়ে খেলতে এসে খেলতে পারবেন না জগপ্রীত সিংহ। সুশান্ত ম্যাথুরও চোট। যা শুনে মর্গ্যানের মন্তব্য, “পেশাদার ক্লাবে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড থাকা উচিত। যেখানে কোনও ফুটবলারকে সই করানোর আগে দেখে নেওয়া যাবে তার কোনও চোট আছে কি না।”
|
অনুশীলন শেষে বাড়ির পথে মর্গ্যান। মঙ্গলবার
সকালে ক্লাব তাঁবুর সামনে। -নিজস্ব চিত্র |
শুধু গোলকিপার কোচ নয়, জাতীয় দলের শিবিরে ফুটবলার ছাড়া নিয়েও নিজের অবস্থানে অনড় মর্গ্যান। বলছিলেন, “এত জন ফুটবলার জাতীয় শিবিরে চলে গেলে তো দলের ক্ষতিই হবে। প্রাক-মরসুমে যেখানে ফুটবলারদের ফিটনেস তৈরি হয়, সেটাই তো ঠিকমতো হবে না।” ভারতের জাতীয় কোচ হয়ে এসে ডাচ উইম কোভারম্যান্স বলেছিলেন, তৃণমূল স্তর থেকে দেশের সব পর্যায়ে একই ফর্মেশনে খেললে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা আসবে। মর্গ্যান এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, “জাতীয় দলের কোচের কথা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে এটা বলতে পারি, ব্যাপারটা করা খুব কঠিন।” সেই সঙ্গে বলেন, “আমি একটা ক্লাবের পেশাদার কোচ। আমি তো চাইব এমন ফর্মেশনে খেলাতে যাতে দল ভাল খেলে। ডেম্পোর কোচও তাই করে থাকেন।” তারপর মজা করে বলেন, “আমি তো ফুটবলারই ছাড়তে রাজি নই, আবার ওই ফর্মেশনে খেলাব কী!” তবে মর্গ্যান জানান, তাঁর ইচ্ছা আছে কোভারম্যান্সের সঙ্গে একবার দেখা করার।
বুধবার সকালে লাল-হলুদ কোচের অনুশীলন মাঠে নয়। গোটা দল নিয়ে যাবেন সাঁতার কাটতে। কল্যাণীর আবাসিক শিবিরে দু’বেলা অনুশীলন করাবেন তিনি। শিবিরে যাওয়ার দিনরবিবার বিকালে সিসিএফসি-র সঙ্গে একটি অনুশীলন ম্যাচও খেলবে ইস্টবেঙ্গল। শিবির শেষে আরও দু’টি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে কল্যাণীতে। |