দু’টি ট্রেন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ধানবাদগামী যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, আদ্রা-খানুডি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ভাঁওরা স্টেশনে প্রায় একঘন্টা আটকে রেখে অন্য ট্রেন পার করানো হচ্ছে। তারপরের বাঁকুড়া-ধানবাদ প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকেও ধানবাদের পরিবর্তে ভোজুডি পর্যন্ত চালানো হচ্ছে। ফলে ধানবাদে পৌঁছতে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার নিত্যযাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার অবশ্য সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন।
আদ্রা-খানুডি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ ও লাগোয়া এলাকায় প্রতিদিনই বিসিসিএলের কর্মী, কলেজ পড়ুয়া থেকে দিনমজুরের মতো বহু যাত্রী যাতায়াত করেন। ভাগা ও করকেন্দ স্টেশনে নেমে তাঁরা বাস-ট্রেকারে গন্তব্যে যান। সকালের এই ট্রেনটি তাঁদের ভরসা হলেও ভাগার ঢের আগেই ভাঁওরা স্টেশনের মুখে ট্রেনটি আটকে দেওয়া হচ্ছে। আদ্রা-ভাগা শাখার নিত্যযাত্রী সমিতির সম্পাদক তপন মজুমদার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ভাঁওরা স্টেশনে ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রেখে আদ্রামুখী গোমো-খড়গপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি পার করানো হচ্ছে। ফলে ভাগা ও করকেন্দ স্টেশনে আমাদের পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।” অন্য দিকে, সম্প্রতি শুরু হওয়া বাঁকুড়া-ধানবাদ প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ধানবাদের বদলে ভোজুডি পর্যন্ত চালানোয় ক্ষোভ ছড়িয়েছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য, “আদ্রা-খানুডি প্যসেঞ্জার ট্রেনটি রওনার এক ঘণ্টা পরেই আদ্রা থেকে ওই ট্রেনটি ছাড়ে। কিন্তু ট্রেনটি ধানবাদের বদলে ভোজুডি পর্যন্ত চালানোয় ওই ট্রেনটির সুবিধাও আমরা পাচ্ছি না।” আদ্রা-ভাগা শাখার নিত্যযাত্রী সমিতি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে গোমো-খড়গপুর প্যাসেঞ্জারের সময় বদল করা ও ভাগা স্টেশনে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল। এ ছাড়া আদ্রা-খানুডি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির সময় বদলেরও দাবি জানানো হয়। রেল জানিয়েছে, গোমো-খড়গপুর প্যাসেঞ্জারের সঙ্গে আদ্রায় কিছু ট্রেনের সময়ের যোগ থাকায় ওই ট্রেনটি তুলনামূলক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওই ট্রেনটি পার করানোর উপরে জোর দেওয়া হয়। ডিআরএম বলেন, “আদ্রা-খানুডি প্যাসেঞ্জারের যাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবে গোমো-খড়গপুর ট্রেনটিকে ধানবাদের পরিবর্তে গোমো থেকে চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। রেলবোর্ড তা মঞ্জুর করায় ‘ক্রসিংয়ে’ যাত্রীদের আটকে থাকার সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে।” তিনি জানান, ভাগা স্টেশনে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। বাঁকুড়া-ধানবাদ প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ভজুডি ছাড়িয়ে ধানবাদ পর্যন্ত চালানোর জন্য রেল মন্ত্রকের নির্দেশও আসেনি। তা এলেই কার্যকর করা হবে। |