ভিন গ্রহে প্রাণের সন্ধান আসলে ভূরি ভূরি অজানার সমুদ্রমন্থন, কবে মিলবে ‘এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল’দের খোঁজ, তা কেউ জানে না, তবুও সন্ধান বন্ধ করা উচিত নয়। এমনটা মনে করেন আমেরিকায় ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরিক হার্বস্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সত্যেন্দ্রনাথ বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস-আয়োজিত সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখর স্মৃতি বক্তৃতা দিয়ে হার্বস্ট বললেন, উদ্যোগের জটিলতা ভেবে ভয় পেলে চলবে না, মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধান চালিয়ে যেতে হবে।
ভিন গ্রহে প্রাণের সন্ধানে জানা এবং অজানা দিকগুলি কী ভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছে, তা ব্যাখ্যা করলেন হার্বস্ট। বললেন, “সমস্যাগুলিকে আমরা ভাগ করতে পারি তিন ভাগে। জানা-জানা ফ্যাক্টর। জানা-অজানা ফ্যাক্টর। অজানা-অজানা ফ্যাক্টর। প্রাণ সৃষ্টির মূলে উপাদান কী কী, তা আমরা জানি। সেগুলো ব্রহ্মাণ্ডে কোথায় কোথায় মিলছে, তা-ও আমরা জানি। সুতরাং সে সব এলাকায় প্রাণের সন্ধান মানে জানা ফ্যাক্টরের খোঁজ। প্রাণ সৃষ্টিতে যে সব উপাদান প্রয়োজন তার বাইরেও আরও কিছু প্রয়োজনীয় কি না, তা না-জেনে সন্ধান মানে জানা অজানার খোঁজ। আর আমরা যে পথে সন্ধান চালাচ্ছি, তা আদৌ সাফল্য আনতে পারে কি না, তা না জেনে খোঁজ চালানো মানে অজানা অজানার সংমিশ্রণ।” |
সৌরমণ্ডলের বাইরে এমন ৮০০ গ্রহের সন্ধান মিলেছে, যেখানে প্রাণী থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান। এ কথা জানিয়ে হার্বস্ট বললেন, আপাতত ভিন গ্রহে প্রাণের খোঁজ চলেছে নানা পথে। প্রাণিদেহে যে সব যৌগ পদার্থ রয়েছে, সেগুলো কি তৈরি হয়েছে ব্রহ্মাণ্ডের অন্য কোনও জায়গায়? ভিন গ্রহ থেকে এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়ালরা কি বিপ-বিপ করে কোনও সিগন্যাল পাঠাচ্ছে? কোনও গ্রহের আবহমণ্ডলে কি অক্সিজেনের চিহ্ন মিলছে, যা থেকে বোঝা যায় ওখানে রয়েছে গাছপালা? কোনও গ্রহে কি আছে এমন জৈব অণু, যার ডান-বাম দিক আছে, ঠিক যেমনটা আছে এই পৃথিবীর জৈব অণুতে? দূর থেকে দেখলে কোনও গ্রহের চারপাশটা কি লাল, যাতে ধারণা হয় ওখানে চলেছে কৃষিকাজ?
এতগুলি পদ্ধতিতে প্রাণের সন্ধান চললেও কোনওটিই যে নিচ্ছিদ্র পন্থা নয়, তা কবুল করলেন হার্বস্ট। আর সেই প্রসঙ্গে বললেন, “চেষ্টা যতই করা হোক, কখনও আমরা ভিন গ্রহে প্রাণের সন্ধান পাব কি না, তা-ও বলতে পারছি না।” এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, কার্বন মৌলের বদলে সিলিকন মৌল-নির্ভর প্রাণিজগৎ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তিনি মানেন না।
হার্বস্টের বক্তৃতার শিরোনাম ছিল ‘দ্য ইউনিভার্স অ্যাজ আ জায়ান্ট ল্যাবরেটরি: দ্য মেকিং অব কমপ্লেক্স মলিকিউলস ফ্রম সিম্পল অ্যাটমস’। কিন্তু বক্তৃতার শুরুতে তিনি বিষয় সংক্ষিপ্ত করে শিরোনাম পাল্টে দেন‘কেমিস্ট্রি মিটস অ্যাস্ট্রনমি’। হার্বস্ট গবেষক হিসেবে পেয়েছেন বহু পুরস্কার। কাজ করেন রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের সমস্যা নিয়ে। এ দিনের বক্তৃতায় জানালেন সে সব কাজের ফলাফল। দেখালেন ১৯৭০ সালের পর থেকে কী ভাবে ব্রহ্মাণ্ডের নানা দিকে খোঁজা হয়েছে জটিল অণু। সাধারণ পরমাণু থেকে কী ভাবে তৈরি হয় সে সব অণু, জটিল থেকে জটিলতর আকারে কী ভাবে পৌঁছয় তারা, আর কী ভাবেই বা সে সব অণু উপাদানে গড়ে উঠতে পারে প্রাণ, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে যে সব গবেষণা, সে সব ব্যাখ্যা করলেন হার্বস্ট।
|
হ্যাক ইয়াহুর সাড়ে চার লাখ অ্যাকাউন্ট
সংবাদসংস্থা • সিঙ্গাপুর |
ইয়াহুর সাড়ে চার লাখ সদস্যের অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য ও পাসওয়ার্ড ফাঁস করে দিল এক হ্যাকার গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, ওই হ্যাকার গোষ্ঠীর নাম ডি৩৩ডিএস। তাঁরা এ দিন নিজেদের ওয়েবসাইটে তথ্য হ্যাক করার কথা ঘোষণা করলেও, পরে অবশ্য ওয়েবসাইটটির আর হদিশ পাওয়া যায়নি। ইয়াহুর তরফে অবশ্য গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করা হয়েছে। |