লাইনে ফাটল, চালক বাঁচালেন এক্সপ্রেসকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রবিবার লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটির দিকে আঙুল উঠেছিল। তার জেরে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিপর্যস্ত গিয়েছিল ট্রেন চলাচল। দু’দিনের মধ্যেই লাইনে ফাটল ধরা পড়ায় আটকে গেল মা তারা এক্সপ্রেস। তবে দক্ষিণ শাখায় নয়। মঙ্গলবার ওই ঘটনা ঘটে শিয়ালদহ মেন লাইনে। চালকের তৎপরতায় রক্ষা পায় মা তারা এক্সপ্রেস। ওই এক্সপ্রেস ছাড়াও তার পিছনে আসা আটটি লোকাল ট্রেন আটকে যায়। গড়ে ১৫ মিনিট দেরিতে চলে সেগুলি। আর এ বারেও প্রশ্ন উঠল রেলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েই।
রেল সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বিধাননগর ও দমদম স্টেশনের মাঝখানে দক্ষিণদাঁড়ির কাছে আপ মেন লাইনে একটি ফাটল ধরা পড়ে। তখন ওই লাইনে আসছিল মা তারা এক্সপ্রেস। চালক লাইনের ফাটল দেখতে পেয়েই ট্রেন থামিয়ে দেন। বিষয়টি জানান গার্ডকে। গার্ড খবর পাঠান কন্ট্রোলে। তার পরে কর্মীরা এসে লাইন মেরামতির কাজে হাত লাগান। এই ঘটনার জেরে আপ লাইনে প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে মেন লাইনের অন্য তিনটি লাইন দিয়ে তখন ট্রেন চলাচল করেছে। কিন্তু ওই লাইনে মা তারা এক্সপ্রেস থমকে তো যায়ই। তার পিছনেই ছিল আটটি লোকাল ট্রেন। সেগুলিও থমকে যায়। রেলকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ওই ফাটল মা তারা এক্সপ্রেসের ট্রেনচালকের চোখ এড়িয়ে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।
লাইনে এই ধরনের ফাটল হল কী ভাবে? লাইন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীদের সেটা চোখ এড়িয়ে গেলই বা কী করে? রেলকর্তারা জানান, ইস্পাতের আকস্মিক সঙ্কোচন ও প্রসারণের কারণে লাইনে ফাটল ধরতে পারে। কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া আচমকাই বদলে যাচ্ছে। তাপমাত্রাও ওঠানামা করছে। তার ফলে রেললাইনে এই ধরনের ফাটল ধরা স্বাভাবিক। সম্ভবত এই কারণেই এ দিন ওই লাইনে ফাটল ধরেছিল।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ফাটল তো ধরতেই পারে। কিন্তু লাইন দেখভাল করার জন্য পিডব্লিউআই (পাথওয়ে ইনস্পেক্টর) এবং গ্যাংম্যান রয়েছেন। সকাল-সন্ধ্যা লাইনে তাঁদের নজরদারি চালানোর কথা। ওই ফাটল তাঁদের চোখ এড়িয়ে গেল কী করে? তবে কি লাইনে টহল হচ্ছে না? রেল-কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, এটিও ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’। |