নয়া পাঠ্যক্রমে প্রশ্ন, বিপন্ন পড়ুয়াদের ধর্না
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পুরনো পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতেই পরীক্ষার প্রস্তুতি চালিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। পরীক্ষায় বসে নতুন পাঠ্যক্রমের প্রশ্ন দেখে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁদের। প্রথম বর্ষের রসায়নে গত বার ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল মঙ্গলবার। বনহুগলি প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ কলেজের পরীক্ষার্থীরাই এ বার এই ভুলের শিকার বলে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কোনও রকমে পরীক্ষা শেষ করেই নিজেদের কলেজে ফিরে ধর্নায় বসেন ওই ছাত্রছাত্রীরা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কৌশিক গুপ্ত বলেন, “কাউন্সিলের বৈঠক ছিল বলে এ দিন এই বিষয়ে নজর দিতে পারিনি। কলেজের ভুলেই এমনটা ঘটেছে। বুধবার পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গে আলোচনা করব।” ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজ-কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাতেই নতুন পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে পরীক্ষার কথা জানতে পারেননি তাঁরা। কলেজের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের নেতা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “অধ্যক্ষ ও রসায়ন বিভাগের প্রধান ভুল স্বীকার করে বিষয়টি সহমর্মিতার সঙ্গে দেখবেন বলে লিখে দিয়েছেন। কোনও ব্যবস্থা না-হলে অনশনে বসব।” অধ্যক্ষ স্বপনকুমার কর জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, ওয়েবসাইটে নতুন পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা কেউ খেয়াল করেনি।
|
পঞ্চায়েত দেখতে রাজস্থানের দল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় কী ভাবে কাজ হয়, সে ব্যাপারে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ ঘুরে দেখছেন রাজস্থানের এক প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধিদের তালিকায় আছেন রাজস্থানের হনুমানগড়, জয়পুর, যোধপুর, ভরতপুর, কোটা-সহ বারোটি জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতিরা। সঙ্গে আছেন পঞ্চায়েত দফতরের সহ-সচিব বাবুলাল গোয়েল। মঙ্গলবার তাঁরা নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতি এবং ধুবুলিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত ঘুরে দেখেন। কথা বলেন সভাপতি, প্রধান-সহ বিভিন্ন লোকের সঙ্গে। বুধবার তাঁরা যাবেন বর্ধমান জেলায়। সেখানে তাঁরা ঘুরে দেখবেন জেলা পরিষদ এবং সম্পূর্ণভাবে মহিলা পরিচালিত কৈওর গ্রাম পঞ্চায়েত। তারপর তাঁরা শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং যাবেন। সফরের আয়োজক ইউএনডিপি বা ইউনাইটেড নেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম।
|
১০০ দিনের কাজ, আজ বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ কেমন হচ্ছে, তা জানতে আজ, বুধবার থেকে দু’দিনের বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়চকে এই বৈঠকে রাজ্যের পঞ্চায়েতসচিব ও অন্যদের সঙ্গে থাকছেন বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবেরা। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরে মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প (রেগা)-এ বরাদ্দ টাকায় চার রাজ্য কতটা কাজ করতে পেরেছে, কোথাও কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে কি না, কী কী স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে পর্যালোচনা করাই বৈঠকের উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশই দিল্লির বাইরে রাজ্য বা আঞ্চলিক স্তরে এই ধরনের পর্যলোচনা বৈঠক করার পরিকল্পনা করেন। এর আগে দক্ষিণ ভারতে প্রথম আঞ্চলিক বৈঠক হয়। দ্বিতীয় বৈঠকটি হচ্ছে এ রাজ্যে।
|
বাংলাদেশিদের মুক্তির নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আদালত তাঁদের ছেড়ে দিতে বলেছে আগেই। তা সত্ত্বেও ৩০১ জন বাংলাদেশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলে আটকে আছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৭ জন মহিলা। ওই বিদেশিদের বন্দিদশা ঘোচাতে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের যুগ্মসচিব সুজয় হালদার জানান, এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে তা জানাতে বলা হয়েছে।
|
কর্মসংস্থান কৃষি বিকাশ শিল্পকেন্দ্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্রের বিশ দফা কর্মসূচীর অধীনে স্বাস্থ্য, কৃষি ও ভূমি সংস্কার, সেচ, পানীয় জল, দুর্বলতর শ্রেণির উন্নয়ন, ক্রেতা সুরক্ষা, পরিবেশ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর নির্দেশে এই কর্মসূচী গৃহীত হয়। এর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে চলেছে। |