মালয়েশিয়ার ট্রেনার এলেন মোহনবাগানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রথম দিনের অনুশীলনেই নতুন ফিজিক্যাল ট্রেনার নিয়ে নামছে মোহনবাগান। মালয়েশিয়ার নতুন ফিজিক্যাল ট্রেনার জোসেফ রোনাল্ড দি’আর্গুস এসে গিয়েছেন। মালয়েশিয়ার লোক হলেও তিনি থাকেন সিঙ্গাপুরেই। সেখানে ফুটবল ছাড়া সিঙ্গাপুরের জাতীয় হকি, অ্যাথলেটিক্স দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। বুধবার মোহনবাগান অনুশীলনেও তাঁকে দেখা যাবে। ইস্টবেঙ্গলে গোলকিপার কোচ সমস্যা না মিটলেও মোহনবাগানে নতুন কোচ সন্তোষ কাশ্যপ প্রথম দিন তাঁর তিন বিদেশি সহকারী ও কিপার কোচ হেমন্ত ডোরাকে পেয়ে যাচ্ছেন। রোনাল্ডের সঙ্গে রিহ্যাব স্পেশালিস্ট জোনাথন ও সহকারী কোচ বার্নার্ড থাকছেন। টোলগে ও সন্তোষ কাশ্যপ মঙ্গলবার রাতে প্রায় একই সময়ে বিমানবন্দরে নামছেন। এর আগে হোসে ব্যারেটো কয়েক বার বলেছিলেন, ফুটবলারদের ফিটনেস ধরে রাখতে এক জন ফিজিক্যাল ট্রেনার দরকার। ব্যারেটো না থাকলেও সেই ট্রেনার এ বার হাজির।
|
ফুটবলারের মৃত্যুতে চাপানউতোর চলছেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
খেলতে খেলতে ফুটবলার মহেশ থাপার মৃত্যুর ঘটনার পরে অভিনব সিদ্ধান্ত নিলেন জলপাইগুড়ি রেফারি সংস্থার কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, মাঠে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকলে কোনও খেলা খেলাতে যাবেন না। এই অবস্থায় জলপাইগুড়ি লিগের খেলা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কেননা সেখানেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে না। মহেশের মৃত্যু ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও রেফারি সংস্থার। ক্রীড়া সংস্থার সচিব অঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “রেফারিরা এ ধরনের ম্যাচ খেলাতে যান বলেই টুর্নামেন্ট হয়।” রেফারি সংস্থার সচিব অশোক সান্যালের সাফ কথা, “এ রকম টুর্নামেন্টে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারাই তো অতিথির আসনে বসে থাকেন।” তরুণ মহেশের মৃত্যুতে সোরগোল পড়েছে সারা দেশের ফুটবল মহলে। আই এফ এ বা এ আই এফ এফের তরফে কিন্তু এখনও কোনও বাড়তি সতর্কতার কথা শোনা যায়নি। তবে ফেডারেশন ভাইসপ্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বললেন, “ভবিষ্যতে বাংলায় রেফারিদের আহত ফুটবলারদের কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচানোর শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেব।”
|
প্রাক্তন ক্রীড়াবিদরা থেকে শুরু করে তাঁর গ্রামের স্কুলের পড়ুয়ারা পিঙ্কি প্রামাণিকের ‘পাশে থাকা’র বার্তা এল সব দিক থেকেই। মঙ্গলবার মিছিল করে বারাসত জেলা আদালতের সামনে পৌঁছন জ্যোর্তিময়ী শিকদার, কুন্তলা ঘোষদস্তিদার, শান্তি মল্লিক-সহ বেশ কিছু প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ। জ্যোতির্ময়ী পরে বলেন, “জামিন আগে দেওয়াই যেত। এত বড় এক জন অ্যাথলিটকে মিথ্যে অভিযোগে এত দিন আটকে রেখে মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হল।” পিঙ্কির বাবা দুর্গাচরণ প্রামাণিক বলেন, “ওই মহিলা (অভিযোগকারিণী) আর পুলিশ মিলে আমার মেয়েকে ফাঁসিয়েছে। এর বিচার চাই।” তাঁর কথায়, “ও ছেলে হলে কি সে খবর চেপে রাখতাম? হলফ করে বলছি, পিঙ্কি মেয়ে।” রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়-সহ কয়েক জন সদস্য এ দিন জেলে গিয়ে পিঙ্কির সঙ্গে দেখা করেন। সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন। পিঙ্কির মুক্তির দাবিতে এ দিন পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির তিলকডি গ্রামে মিছিল হয়েছে। পুরুলিয়া জেলার ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়েরা ছাড়াও মিছিলে পা মেলায় পিঙ্কির স্কুল তুন্তুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপের অভিযোগ, “ধর্ষণের মামলায় ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারিণীর তা হয়নি। অথচ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই পিঙ্কির চাকরি কেড়ে নেওয়া হল!”
|
গত মরসুমের জন্য মোহনবাগনের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন রহিম নবি। ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে তাঁকে করুণাশঙ্কর ভট্টাচার্য স্মৃতি ট্রফি দেওয়া হবে। বুধবার অনুশীলনে অবশ্য টোলগে বাদে কোনও বিদেশিই থাকছেন না। তবে ওডাফা ওকোলি অগস্টের শুরুতে আসলেও, স্ট্যানসি ও ইচে দু’একদিনের মধ্যে চলে আসছেন।
মোহনবাগানের তিন নাইজিরিয়ান এখনও আসেননি। তাই সেরা আকর্ষণ হতে চলেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। যিনি শেষ বার মোহনবাগানে খেলেছেন ২০০৬-০৭ মরসুমে। টোলগে ওজবের আগে সই হওয়ায়, এ বার দীপেন্দুর কপালে দশ নম্বর জার্সি জোটেনি। তাই তাঁকে খেলতে হবে এগারো নম্বর জার্সি পরে। স্ট্যানলির আট নম্বর। নিজের দীর্ঘ ফুটবল জীবনে আগে যা পরে কখনও খেলেননি তিনি। |