মঙ্গলবার বিকেলে হুগলির ডানকুনির খড়িয়ালে ফার্নেস অয়েলের একটি গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। দমকলের অন্তত ১৪টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। হতাহতের কোনও খবর নেই। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “পুলিশ ও দমকল যৌথ ভাবে ডানকুনির কলকারখানাগুলির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে।” এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ডানকুনি কোল কমপ্লেক্সের গেটের উল্টোদিকে ‘মুখার্জি ট্রেডার্স’ নামে একটি কারখানার গুদামে ওই আগুন লাগে। গুদামে প্রচুর ফার্নেস অয়েল মজুত ছিল। ফলে, আগুন ব্যাপক আকার নেয়। কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়। সামনেই ডানকুনি থানা। সেখান থেকে পুলিশ আসে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। আশপাশের কারখানা থেকেও লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাত ৮টা নাগাদ দমকলের এক কর্তা বলেন, “মনে হচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যাবে।” পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ওই গুদামের ছাদে টিনের শেড লাগানো হচ্ছিল। টিন ঝালাইয়ের সময় আগুনের ফুলকি তেলের মধ্যে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। গুদামে অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
হুগলির বৈঁচির হিমঘরগুলিতে আলুর বাছনদারদের মজুরি বাড়ল। তাঁদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চলছিল। ওই দাবিতে গত সোমবার থেকে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের শ্রমিক সংগঠন এআইসিসিটিইউ-র নেতৃত্বে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন এখানকার ৮টি হিমঘরের আলু বাছনদারেরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পাণ্ডুয়ার বিডিও নবনীপা সেনগুপ্তের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিয়ে হিমঘর কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানেই ভাড়া বাড়াতে সম্মত হন মালিকেরা। বৈঁচিতে হাজার খানেক মানুষ আলু বাছাইয়ের কাজ করেন। এক প্যাকেট (৫০ কিলোগ্রাম) আলু বাছাইতে ৬ টাকা ২৫ পয়সা করে পাচ্ছিলেন তাঁরা। এ বার থেকে তাঁরা সম-পরিমাণ আলু বাছাইয়ে ৭ টাকা ৯০ পয়সা পাবেন। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ওই ৮টি হিমঘরের পাশাপাশি এখানকার সমবায় পরিচালিত ৩টি হিমঘরেও বাছনদারেরা একই মজুরি পাবেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
|
বাইকের ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের পশ্চিম গোপীনাথপুরে অহল্যাবাঈ রোডে। মৃতের নাম সঞ্জয় মালিক (৫৫)। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি হেঁটে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই বাইকটি ধাক্কা দেয় তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। বাইকটি আটক করা হয়েছে। অন্য দিকে, বাইকের সঙ্গে লরির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল বাইক আরোহীর। পুলিশ জানিয়েছে তাঁর নাম নাম বসুদেব ভক্ত (৫০)। জখম হয়েছেন তাঁর ছেলে। তাকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের সামতায়। বসুদেববাবু ওই এলাকারই গোলামচকের বাসিন্দা। বাবা-ছেলে এ দিন বাইকে তারকেশ্বরের দিকে যাচ্ছিলেন।
|
বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক দম্পতির। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুড়াপের কানাজুলি গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃত দম্পতির নাম কানাইলাল (৩০) এবং সন্ধ্যা মালিক (২৬)। পুলিশের অনুমান, বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন কানাইবাবু। স্ত্রী ছুটে এসে স্বামীকে জাপটে ধরতেই একই অবস্থা হয় তাঁরও। বেশ কিছু ক্ষণ পরে এক প্রতিবেশী মালিক-বাড়িতে গিয়ে ওই দম্পতির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায় ময়না-তদন্তের জন্য। |