বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন ওই বাড়িরই ‘পেয়িং গেস্ট’ এক তরুণী। চেতলা থানা এলাকার আলিপুর রোডের ঘটনা। সোমবার রাতে স্থানীয় থানায় ওই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইন্দ্রমাধব বসুর ‘খোঁজ’ নেই। তাঁর সন্ধান চলছে। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। এ দিনই আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে গোপন স্বীকারোক্তির আবেদন জানান তিনি।
বছর তেইশের ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৮ জুন আলিপুর রোডের ওই বাড়িতে তিনি পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতে শুরু করেন। তিনতলা বাড়িটির একতলায় সপরিবার থাকেন ইন্দ্রবাবু। অন্য দু’টি তলে আরও আট-দশ জন মহিলা থাকেন। ওই তরুণীর দাবি, দোতলায় তাঁর ঘরের দরজার ছিটকিনি খারাপ ছিল। সে কথা তিনি বাড়ির মালিককে জানান। কিন্তু সেটি মেরামত করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ ওই ঘরেই ইন্দ্রবাবু তাঁর উপরে চড়াও হন বলে ওই তরুণীর অভিযোগ।
এ দিন লালবাজারে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, দোতলার ওই ঘরটিতে আরও তিন জনের থাকার জায়গা রয়েছে। কিন্তু সেই রাতে অন্য কেউ সেখানে ছিলেন না। ঘরের ছিটকিনিও খারাপ ছিল। দোতলার অন্য ঘরগুলিতে সে সময়ে উপস্থিত মহিলাদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। পল্লববাবু জানিয়েছেন, ওই তরুণী বর্তমানে একটি সংস্থায় কাজ করেন।
অভিযুক্তের স্ত্রী রত্না বসু অবশ্য তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইন্দ্রবাবুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর। রত্নাদেবীর বক্তব্য, দেড় বছর ধরে অনেক মহিলাই ওই বাড়িতে পেয়িং গেস্ট থেকেছেন। এ ধরনের অভিযোগ কেউ করেননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওই মেয়েটির আচরণ ঠিক ছিল না। সে আমাদের জানিয়েছিল, হরিদেবপুরের তার বাড়ি। মা-বাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে এসেছে।”
|