এক ধাক্কায় ২২৬ পয়েন্ট বেড়ে মঙ্গলবার চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শিখর ছুঁল সেনসেক্স। আর, সেনসেক্সের এই দৌড়ই চার দিনের পতনে ছেদ টেনে ডলারে টাকার দাম বাড়ায় ইন্ধন জোগালো। পাশাপাশি ছিল স্পেনের অর্থনীতির হাল ফেরার সম্ভাবনায় ইউরোপীয় বাজারের উত্থান। ফলে সোমবারের পতন পুরোপুরি কাটিয়ে টাকা বাড়ল ৫৩ পয়সা। প্রতি ডলারের দাম দিনের শেষে দাঁড়াল ৫৫.৩৯ টাকা।
এশীয় বাজারের পতন সত্ত্বেও মঙ্গলবার বাড়ে সেনসেক্স। তা থামে ১৭,৬১৮.৩৫ পয়েন্টে। এ দিন মূলত বাড়ে ব্যাঙ্ক, গাড়ি ও বিভিন্ন মূলধনী পণ্যের শেয়ার দর। তবে জুন মাসে চিনে আমদানি কমেছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হারে (৮.৯%)। রফতানি বৃদ্ধির হার ১১.৩%। ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে তাদের উদ্বৃত্ত বাড়লেও আন্তর্জাতিক মহলে চিনা অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা আরও ঘোরালো হয়েছে। আমদানি এত বেশি হারে কমায় শেয়ার বাজার মহল ধরে নিয়েছে, বিশ্বের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি অবধারিত ভাবেই মন্দার গ্রাসে পড়তে চলেছে। এই আতঙ্কের জেরেই এ দিন পড়ে যায় এশিয়ার প্রধান প্রধান সূচক। তবে ভারতের অর্থনীতি ও শেয়ার বাজারের ভিত বেশ পোক্ত বলেই তার আঁচ এখানে পড়েনি বলে জানান বাজার বিশেষজ্ঞেরা।
আসলে এশীয় বাজারের পতনের মধ্যেও রুপোলি রেখা ছিল স্পেনের ব্যাঙ্কগুলির স্বাস্থ্য ফেরাতে আর্থিক ত্রাণ প্যাকেজে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থমন্ত্রীদের সায়। এর প্রত্যক্ষ প্রভাবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ইত্যাদি ইউরোপীয় বাজার বেড়ে যায় ১% করে। ভারতের বাজারও এর ফলে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলিও ফিরে আসে মুম্বই বাজারে। শুধু মঙ্গলবারেই তারা শেয়ার কিনেছে ৬০৬ কোটি টাকার। শেয়ার বাজারের পাশাপাশি তা চাঙ্গা করেছে টাকাকেও। পাশাপাশি, রফতানিকারীদের ডলার বিক্রি এবং ইউরোর দাম বাড়ার ফলেও বাড়তে থাকে টাকা। বিভিন্ন শিল্প সংস্থা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভাল ফল করবে বলে আশা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। সে ক্ষেত্রে সেনসেক্স কতটা উপরে ওঠে, সে দিকেই তাকিয়ে তাঁরা। |