ওড়িশা সীমানাসংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের সিমডেগার ওরগা জঙ্গলে কাল রাতে দুই রাজ্যের পুলিশের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে রাজেন (২২) নামে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএলএফআই) এক জঙ্গি। এ ছাড়াও গুলিতে জখম হয়েছে আরও চার জঙ্গি। জখম জঙ্গিদের রৌরকেলার ইস্পাত জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষস্থল থেকে পরে উদ্ধার করা হয় একটি এ কে ৪৭ রাইফেল, একটি কারবাইন, দেশি রিভলভার এবং ১৬৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছে জিলেটিন স্টিক, ৬টি মোবাইল ফোন, একটি বাইনাকুলার ও দু’টি মোটর সাইকেল। ওই এলাকায় মঞ্জুরগড়া গ্রামের কাছে জঙ্গলে জঙ্গিদের ঘাঁটির খবর গোপন সূত্রে পেয়েছিল পুলিশ। সেই খবরের সূত্রেই কাল রাতে পুলিশের যৌথ অভিযান। |
সিমডেগার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গির নাম রাজেন। এ ছাড়া গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে আছে ওই জঙ্গি সংগঠনের প্রথম সারির নেতা শ্রীনিউস ওরফে সাকা টাইগার ওরফে ডিল্লি সিংহ। ধরা পড়া ও জখম অন্য তিন জঙ্গি হলসুনীল সিংহ (২০), স্যামুয়েল মুন্ডা (১৯) ও জনসন মুন্ডা (২০)। পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশা সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সিমডেগার ওরগার গভীর জঙ্গলকে ব্যবহার করে সম্প্রতি অপরাধমূলক কাজকর্ম শুরু করেছিল ওই জঙ্গি সংগঠন। বিষয়টি ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা দুই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনেরই নজরে আসে। সেই মতো কাল রাতে ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার পুলিশ যৌথ ভাবে ওরগা জঙ্গলে অভিযান চালায়। পিএলএফআই জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল গুলির লড়াই চলে। |
গুলিবিদ্ধ হয়ে দলের জঙ্গি নেতা রাজেন লুটিয়ে পড়তেই পিএলএফআইয়ের সশস্ত্র বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। গুলিতে গুরুতর জখম হওয়ায় সাকা আর পালাতে পারেনি। পুলিশ ধাওয়া করে ওকে পাকড়াও করে। তবে পুলিশের গুলিতে আহত কয়েক জন জঙ্গিও রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে গা-ঢাকা দেয়।
|
রৌরকেলায় উত্তমকুমার পালের তোলা ছবি। |