বিষয়: ভারতীয় রেল
গামী ২৭ জুলাই লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে জ্বলে উঠবে অলিম্পিকের আগুন। একই সঙ্গে সূচনা হবে খেলার দুনিয়ার সবচেয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ‘গেমস অব দি XXX অলিম্পিয়াড’ বা লন্ডন অলিম্পিক্স ২০১২-র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অস্কার বিজয়ী চিত্রপরিচালক ড্যানি বয়েল নাকি তৈরি করবেন এক অপূর্ব মায়াজাল। প্রায় ২০৪টি দেশের সাড়ে দশ হাজার প্রতিযোগী ২৬টি খেলার ৩০২টি বিভাগে অংশগ্রহণ করবেন। এই নিয়ে তৃতীয় বার লন্ডন অলিম্পিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করল। এটি একটি রেকর্ড। দু’সপ্তাহের একটু বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠেয় এই প্রতিযোগিতায় অনেক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে। মানুষ চেষ্টা করবে আরও জোরে দৌড়তে, লাফাতে, ছুঁড়তে সহনশক্তির নতুন মাত্রা তৈরি করবে তারা। এটাই হল অলিম্পিক প্রতিযোগিতার মূল মন্ত্র ক্ষমতা ও চারিত্রিক দৃঢ়তার সত্যিকারের পরখ হবে এখানে। যেখানে প্রকৃত খেলোয়াড়রা সমস্ত বাধাবিপত্তিকে তুচ্ছ করে জেতার জন্য ঝাঁপাবেন, অসম্ভবকে সম্ভব করার বার্তা এনে দেবেন আগামী প্রজন্মের কাছে।
জেসি ওয়েন্স
অলিম্পিকে এক জন অংশ নিতে যাচ্ছেন। তাঁর যাতায়াতের জন্য স্থানীয় এক কলেজের অধ্যক্ষ
বাড়ি বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করে দিচ্ছেন! এমন কথা শুনেছ কখনও? শুধু তা-ই নয়, সেই অঞ্চলের
দোকানদাররাও বিনা পয়সায় খাবারদাবার ও যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাঁর সঙ্গে দিয়ে দিয়েছিলেন।
সেই ব্যক্তিটি কে জানো? খাসাবা দাদাসাহেব যাদব। ১৯৫২ সালের হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে ইনিই স্বাধীন
ভারতের প্রথম অলিম্পিক পদক বিজয়ী। ফ্রি-স্টাইল কুস্তিতে ইনি ভারতকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দেন।
জানো কি
অলিম্পিকের ইতিহাসে ‘জেসি’ ওয়েন্স-এর নাম অমর হয়ে রয়েছে। ১৯৩৬ সালে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্স-এ তিনি অংশগ্রহণ করেন। জার্মানির তৎকালীন চ্যান্সেলর অ্যাডল্ফ হিটলার এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গোটা দুনিয়াকে নাতসি জার্মানির পুনরুত্থানের বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। ‘আর্য’ জাতিই শ্রেষ্ঠ, বাকিরা (বিশেষত ইহুদি বা কৃষ্ণাঙ্গ) তুচ্ছ এটাই প্রচার করতে চেয়েছিল তাঁর সরকার। হিটলার এবং তাঁর আধিকারিকদের বিশ্বাস ছিল যে অলিম্পিকের প্রত্যেকটি খেলায় জার্মান প্রতিযোগীরাই প্রথম হবে। কিন্তু অনেককেই স্তম্ভিত করে চার-চারটি স্বর্ণপদক জিতলেন এই মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ। একটি ১০০ মিটার দৌড়ে, একটি ২০০ মিটার দৌড়ে, একটি লং জাম্প-এ এবং অন্যটি ৪x১০০ মিটার রিলে রেস-এ। এই সূত্রে জানিয়ে রাখি, জেসি ওয়েন্স-এর আসল নাম জেমস ক্লিভল্যান্ড ওয়েন্স। ছোট করে জে. সি. ওয়েন্স। তাঁর উচ্চারণের ধরনের ফলে লোকে মনে করত তাঁর প্রথম নামটাই বুঝি ‘জেসি’।

• চার বছর বয়সে উইলমা রুডলফ ইনফ্যান্টাইল প্যারালিসিস-এ আক্রান্ত হন। ১৯৫২ সালে যখন তাঁর বারো বছর বয়স তখন ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠলেন উইলমা। বড় দিদি সেই সময় স্কুলের বাস্কেট বল দলে খেলতেন। দিদির পথ অনুসরণ করে বাস্কেটবলে নাম লেখালেন বোন। টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে খেলাকালীন স্কুলের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড বিভাগের কোচ এড টেম্পল-এর নজরে পড়ে যান। এড বুঝতে পারেন যে ঠিক ঠিক প্রশিক্ষণ পেলে উইলমা এক দিন বড় অ্যাথলিট হতে পারবেন। ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকগামী মার্কিন দলে সুযোগ পেলেন ষোড়শবর্ষী উইলমা। দেশে ফিরলেন ৪x১০০ মিটার রিলে রেসে ব্রোঞ্জ পদক জিতে। এর পরে ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার এবং ৪x১০০ মিটার রিলে দৌড়ে স্বর্ণপদক পেলেন। সেই অলিম্পিকে তিনিই ছিলেন প্রথম মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা যিনি একই অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড-এর তিনটি বিভাগে সোনা জয় করলেন। এবং অভিহিত হলেন ‘বিশ্বের দ্রুততম মহিলা’ হিসেবে।

• ডেম কেলি হোমস ছিলেন ব্রিটিশ মাঝারি পাল্লার (৮০০ এবং ১৫০০ মিটার) অ্যাথলিট। ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিকে তিনি এই দু’টি খেলাতেই সোনা জেতেন। স্কুল ছাড়ার দু’বছর পর ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনায় যোগ দেন। পরে সেখানে ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্ট্রাকটর হন। বেশ কয়েক বছর ধরে কেলি ধীরে ধীরে অর্থ সংগ্রহ করতে থাকেন যাতে এক দিন পূর্ণ সময়ের অ্যাথলিট হতে পারেন। এবং এক সময় তাঁর এই মনোবাঞ্ছা পূর্ণও হল। ১৯৯৬ সালের অ্যাটলান্টা অলিম্পিকে ৮০০ মিটার প্রতিযোগিতায় ভাগ নিলেও স্ট্রেস ফ্র্যাকচার (এক ধরনের হাড়ের ফ্র্যাকচার)-এর জন্য চতুর্থ স্থান পেলেন। ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে ৮০০ মিটার প্রতিযোগিতায় তিনি বোঞ্জ পদক পেলেন। এর পরও তিনি সফল হন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। ২০০৩ সালে পরের বছরের এথেন্স অলিম্পিক্স-এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হঠাৎ পায়ে চোট লাগল তাঁর। বিষণ্ণ হয়ে পড়লেন কেলি। এক বার আত্মহত্যারও চেষ্টা করলেন। কিন্তু মনের জোরে আবার ফিরে এলেন। ২০০৪ সালের অলিম্পিকে মাঠে নামলেন কেলি। এবং ৮০০ এবং ১৫০০ মিটার, দুটো বিভাগেই সোনা জয় করলেন। ১৯২০ সালের পর তিনিই প্রথম ব্রিটিশ অ্যাথলিট যিনি একই অলিম্পিকে দুটো সোনা জয় করলেন।

• যে সব প্রতিযোগী প্যারালিম্পিক্সে অংশ নেন তাঁরা প্রত্যেকেই এক এক জন হিরো। কারণ এই প্রতিযোগিতায় ভাগ নিতে তাঁদের কোনও না কোনও অক্ষমতা অতিক্রম করে আসতে হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার অস্কার পিস্টোরিয়াস এই ক্ষেত্রে যোগ করলেন নতুন মাত্রা। তাঁর দু’টি পা-ই কাটা গিয়েছে। কার্বন ফাইবারের তৈরি কৃত্রিম প্রত্যঙ্গের সাহায্যেই তিনি প্যারালিম্পিক্সে ১০০, ২০০ এবং ৪০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ড করেছেন। ‘ব্লেড রানার’ ও ‘পা ছাড়াই দ্রুততম ব্যক্তি’ বলা হয় তাঁকে। ২০০৭ সাল থেকেই হরেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম লোকেদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন অস্কার। ২০০৮ সালের অলিম্পিকে ভাগ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেও জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। সম্প্রতি ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ৪x৪০০ মিটার দৌড়ে যোগ দেওয়ার জন্য কোয়ালিফাইং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু কোয়ালিফাইং সময়ের সঙ্গে পিছিয়ে পড়লেও এ বারের লন্ডন অলিম্পিকেও দৌড়তে দেখা যাবে ‘ব্লেড রানার’-কে।

• ক্রিস্টি ইয়ামাগুচি এবং মিয়া হাম। দু’জনেই মার্কিন। অলিম্পিকে সোনা পেয়েছেন। ইয়ামাগুচি ১৯৯২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে ফিগার স্কেটিং-এ সোনা পান। মিয়া হাম মার্কিন ফুটবলার হিসেবে এক জোড়া অলিম্পিক সোনা পেয়েছেন। দু’জনের খেলা আলাদা। কিন্তু দুজনেই একটি শারীরিক বিকৃতি নিয়ে জন্মেছিলেন যার নাম ‘ক্লাব ফুট’। এই বিকৃতি তাঁদের দমাতে পারেনি। প্রসঙ্গত, ইয়ামাগুচি নাকি তাঁর ‘ক্লাব ফুট’ সারাতেই স্কেটিং করা শুরু করেন।

• রহুল্লা নিকপাই-এর জন্ম আফগানিস্তানে। দশ বছর বয়স থেকেই তিনি তাইকন্ডোতে (মার্শাল আর্ট-এর একটি শাখা) প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। তালিবান শাসন এবং পরবর্তী কালে বিপর্যস্ত কাবুল থেকে রহুল্লা ও তাঁর পরিবার ইরানের একটি উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এবং কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি সেখানকার আফগান রিফিউজি তাইকন্ডো দলে যোগ দেন। দেশের অবস্থার উন্নতি হলে বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই রহুল্লারা ফিরে আসেন কাবুলে। সেখানে সরকার আয়োজিত একটি অলিম্পিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জোরদার প্র্যাক্টিস চালাতে লাগলেন তিনি। ২০০৬ সালে দোহা এশিয়ান গেমস-এর তাইকন্ডো খেলায় অংশ নিলেও প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নেন। কিন্তু ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকে ৫৮ কেজি বিভাগে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন-এর হুয়ান আন্তোনিয়ো রামোস-কে হারিয়ে সাড়া ফেলে দিলেন রহুল্লা। সংশ্লিষ্ট বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী রহুল্লাই আফগানিস্তানের প্রথম খেলোয়াড় যিনি অলিম্পিকে পদক জয় করেছেন।

• ইয়োলান্ডা গেল ডেভার্স। প্রাক্তন মার্কিন অ্যাথলিট। ইনি অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড বিভাগে তিন বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে গেল-এর গ্রেভস্ রোগ (এই রোগে অত্যধিক থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়) ধরা পড়ে। এই রোগ সারাতে তাঁকে রেডিয়োঅ্যাকটিভ আয়োডিন ট্রিটমেন্ট এবং সেই সঙ্গে থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিও করাতে হয়। আশ্চর্যজনক ভাবে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন গেল। আবার অ্যাথলেটিক্স-এ প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ১৯৯১ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার হার্ডলস-এ তিনি রুপো পান। পরের বছর বার্সেলোনা অলিম্পিকে ১০০ মিটারে সোনা জেতেন। ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকে ১০০ মিটারে খেতাব বজায় রাখেন, ৪x৪০০ মিটার রিলে রেসেও চ্যাম্পিয়ন হন।

• জেমস ফ্রান্সিস থর্প বা ‘জিম’ থর্প-এর যমজ ভাই চার্লি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় যখন তাদের ন’বছর বয়স। এর দু’বছরের মাথায় সন্তান প্রসবের সময় কিছু জটিলতার ফলে জিম-এর মা-ও মারা গেলেন। প্রিয়জন বিয়োগের আঘাতে বিষণ্ণ জিম বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছাড়লেন। কাজ নিলেন আস্তাবলে। বেশ কয়েক বছর পর বাইরে বাইরে কাটিয়ে জিম বাড়ি ফিরলেন ও আবার স্কুলে যোগ দিলেন। স্কুলে থাকাকালীনই বোঝা গেল জিম-এর ভাল খেলোয়াড় হওয়ার প্রতিভা রয়েছে। এক সময়ে তিনি অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল, বেসবল, ল্যাক্রোস এমনকী বলরুম নাচেরও প্রশিক্ষণ নিলেন। ১৯১২ সালের গ্রীষ্মকালীন স্টকহোম অলিম্পিকে দু’টি নতুন মাল্টিডিসিপ্লিনারি খেলা যুক্ত করা হল। এক, পেন্টাথেলন এবং অন্যটি, ডেকাথেলন। পেন্টাথলনে সেই সময় ছিল লং জাম্প, জ্যাভেলিন থ্রো, ২০০ মিটার ড্যাস, ডিসকাস থ্রো এবং ১৫০০ মিটার দৌড়। আর ডেকাথলনটি ছিল তৎকালীন মর্ডান অ্যাথলেটিক্সেরই অংশবিশেষ। পেন্টাথলন এবং ডেকাথলন মিলিয়ে মোট ১৫টি খেলার আটটি খেলাতেই জেতেন থর্প। হাই জাম্পে তিনি চতুর্থ এবং লং জাম্পে সপ্তম হয়েও পেন্টাথলন এবং ডেকাথলন, দু’টি ইভেন্টেই তিনি সোনা জয় করেন।
বলো তো
এই কানাডিয়ান রোয়ার ১৯৯১ সালে একটি দুর্ঘটনায় আহত হন, তাঁর পাঁচটা অস্ত্রোপচার হয়। তবুও ১৯৯২ সালের অলিম্পিকে তিনি পদক জয় করেন। কে তিনি?
ছোটবেলার কোন অসুখকে জয়করে ব্রুশ জেনার ১৯৭৬ সালের মন্ট্রিয়ল অলিম্পিকের ডেকাথলন বিভাগে স্বর্ণপদক পান?
এই ইয়োরোপীয় মিডল ডিস্ট্যান্সে একধিক বার সোনা বিজয়ী খেলোয়াড়। নিজের পেট চালাতে ষোলো বছর বয়স থেকে বাটা শু কোম্পানির একটি কারখানায় কাজ করেন। কে তিনি?
ভারতীয় বক্সার। পাঁচ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করেন, কাঠ কাটেন, কাঠকয়লা তৈরি করেন, মাছ ধরেন। এ বছর লন্ডন অলিম্পিকে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন। কে ইনি?
এই অলিম্পিকে মেডেল বিজয়ীর বাবা এক সময়ে প্রতি দিন তাঁর জন্য সাইকেলে করে দুধ বয়ে নিয়ে যেতেন। কে এই ভারতীয় খেলোয়াড়?
উত্তর
১) সিল্কেন লুয়ামান, ২) ডিসলেক্সিয়া, ৩) এমিল জ্যাটোপেক, ৪) এমসি মেরি কম, ৫) সুশীল কুমার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.