সহকর্মীর ঘরে হানা রুমির, ধৃত তিন হামলাকারী
ত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থর বিধায়ক আবাসনের ঘরে ‘হানা’ দিলেন বরখোলার বিধায়ক রুমি নাথ। সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামী ও তাঁর দেহরক্ষীর দল। কমলাক্ষবাবুর রক্ষীদের রীতিমতো মারধর করে, দরজা খুলিয়ে কমলাক্ষর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন তাঁরা। এরপর সেখান থেকে তিন যুবককে পাকড়াও করে রুমি পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাঁর দাবি, ২৯ জুন রাতে করিমগঞ্জের হোটেলে তাঁকে ও তাঁর দ্বিতীয় স্বামী জাকিরকে যারা আক্রমণ করেছিল, এই তিনজন তাদের মধ্যে ছিল। এই ঘটনায় কংগ্রেসের অন্তর্কলহ আরও প্রকাশ্যে চলে এল।
২৯ জুন রাতে, দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে করিমগঞ্জের একটি হোটেলে প্রায় শ’পাঁচেক জনতা হানা দিয়ে রুমি ও জাকিরকে বেধড়ক মারে। প্রথম স্বামীকে আইনত বিচ্ছেদ না দিয়েই, এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করায় বরাক উপত্যকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। রুমির প্রথম স্বামী ও স্থানীয় কংগ্রসের একাংশ একে ‘স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ’ বললেও ঘটনাটি নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দা হয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাটি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার পরে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। বরখাস্ত হয়েছে রুমির দেহরক্ষীরাও।
সেই ঘটনার জেরে, গত কাল রাতে রুমি জানতে পারেন, তাঁকে আক্রমণ করেছে এমন তিন ব্যক্তি কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থর ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। এই শুনেই তিনি জাকির ও দেহরক্ষীদের নিয়ে কমলাক্ষর আবাসে হাজির হন। কমলাক্ষর শোওয়ার ঘর বসে এই তিনজন তখন রাতের খাওয়া সারছিল। রুমি তাঁদের নাম জানতে চান। ঘরে হাজির প্রণব ভৌমিক, রাজা ভৌমিক ও রূপম দের নাম হাতে থাকা ‘আক্রমণকারীদের তালিকা’-য় রয়েছে দেখেই তিনজনকে ঘরে আটকে পুলিশ ডাকেন রুমি। পরে পুলিশ সকলকে নিয়ে থানায় আসে।
রুমি বলেন, “কোনও মতে সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম। এখনও দেহে কাচ দিয়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। এই আক্রমণকারীদের ছাড়ব না। আমার উপরে আক্রমণ চালানো ব্যক্তিরা কেন কমলাক্ষর ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হোক।” তাঁর অভিযোগ, পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে কমলাক্ষ তাদের আগাম জামিনের ব্যবস্থা করে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। ঘটনার জন্য প্রথমে বরাকের দুই মন্ত্রী গৌতম রায় ও সিদ্দেক আহমেদের নাম উল্লেখ করেছিলেন রুমি। এ বার খোদ কংগ্রেসের বিধায়ক কমলাক্ষর ঘর থেকে নিজে হাতে আক্রমণকারী পাকড়াও করে দিয়ে ঘরোয়া কোঁদল ও ঘটনার পিছনে বরাকের কংগ্রেসে নেতা-মন্ত্রীদের ‘মনোভাব’ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিলেন রুমি নাথ।
যুব বিধায়ক কমলাক্ষ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে রুমিরই নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “আমার এলাকার মানুষ কাজের জন্য আমার কাছে আসতেই পারে। আমি ছিলাম না। তাই ওদের আমার আবাসে থাকতে বলি। ওরা জামিন নিতে আসেনি। রুমিকে মারধরের ঘটনায় যদি ওরা জড়িত থাকে আইন নিয়মমতো ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আমার অবর্তমানে সরকারি আবাসে হামলা করে রুমি ঠিক করেননি।” জোর করে আবাসে ঢোকা, রক্ষীকে মারধর করে, আসবাব ভাঙা-সহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলে কমলাক্ষবাবুও রুমির নামে পুলিশের কাছে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.