টুকরো খবর
শহর সাজাতে দায়িত্ব উদ্যান পালন দফতরকে
রাজ্যে সরকার বদলের পরে কাজের ধারাতেও পরিবর্তন এল বন দফতরের পার্কস অ্যান্ড গার্ডেনস বিভাগে। এতদিন দফতরের নির্দিষ্ট কিছু পার্কের দেখভালও করতেন এই দফতরের কর্মীরা। নয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সংশোধনাগার থেকে স্কুল, কলেজ, ডিভাইডার, রাস্তা মোড়, হাসপাতাল সাজার কাজে নেমেছে। ইতিমধ্যেই বালুরঘাট ও মালবাজারের দুটি স্কুল, গঙ্গারামপুর হাসপাতাল, ইসলামপুর, বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলা সংশোধনাগার সাজার কাজ শুরু হয়েছে। শিলিগুড়িতেও ফুলবাড়ি ও মাটিগাড়ার পরিবহণ নগরীতে সৌন্দর্যায়নের কাজ হাতে নিয়েছে ওই দফতর। পার্কস অ্যান্ড গার্ডেনস দফতরের ডিএফও রানা দত্ত বলেন, “বনমন্ত্রীই আমাদের দফতরের কাজের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই কাজে নেমেছি।” রাজ্যে নয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল কলকাতা-সহ সমস্ত শহর সাজা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পরেই গত বছর ঠিক হয় উদ্যান পালন বিভাগের কাজের পরিধি বাড়ানো হবে। উত্তরবঙ্গের সমস্ত বিধায়কদের কাছে প্রকল্প চেয়ে পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতে কাজে নেমেছে পার্কস অ্যান্ড গার্ডেনস বিভাগ। পাশাপাশি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) তরফেও বিশেষ বৈঠক করে শিলিগুড়ি শহর সাজার পরিকল্পনা হয়। সেখানে পূর্ত দফতর, পুরসভা এবং বন দফতরের পার্কস অ্যান্ড গার্ডেনস বিভাগকে শিলিগুড়ি শহর সাজার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা গোটা শহরকে গাছ ও ফুলে ভরিয়ে দিতে চাই। সেই কাজে পার্কস অ্যান্ড গার্ডেনসকে ছোট্ট একটি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মহানন্দার দু’পাড় সাজা-সহ এমন আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” সংশোধনাগার সাজার কাজ দফতরের কর্মীরা করলেও তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ অবশ্য করছেন জেল বন্দিরাই। এ ব্যাপারে বন্দিদের দু’দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গত বছর প্রথম দফা প্রশিক্ষণের পরে চলতি বছর ফের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।

সমস্যা বিএসএনএলে, ‘কল ড্রপ’জেলা জুড়েই
কখনও ১৫ সেকেন্ড। কখনও ৩০-৪০ সেকেন্ড। এর থেকে বেশি সময় কথা বলার সাধ্য নেই। আবার নতুন করে ‘কল’ করে কথা বলতে হচ্ছে। বারবার এই ‘লাইন কাটা’ এবং ‘লাইন জোড়ার’ জেরে বাড়তি খরচও বাড়ছে। বিভিন্ন সময়ে দার্জিলিং জেলার নানা এলাকা জুড়ে এমন সমস্যায় জেরবার হতে হচ্ছে ভারত সঞ্চার নিগমের লিমিটেডের (বিএসএনএল) মোবাইল গ্রাহকদের। সংস্থার পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘কলড্রপ’। পাশাপাশি, ‘কলফেল’-র সমস্যাও রয়েছে। অনেক সময়ই ৩-৪ বার চেষ্টার পর একটি কলের সংযোগস্থাপন করা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিএসএনএল সূত্রের খবর, মূলত বেস ট্রান্সসিভর সেন্টার (বিটিএস) বা টাওয়ার কম, যান্ত্রিক ত্রুটি, ঝড়বৃষ্টি-বাজের জন্য টাওয়ারের তার বা যন্ত্রাংশ পুড়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ট্রান্সমিশন সেন্টারের সঙ্গে অনেক সময় সংযোগ কেটে যাওয়াতেও সমস্যা হচ্ছে। শহরে হায়দারপাড়া, হাকিমপাড়া, সুভাষপল্লি, বর্ধমান রোড, সেবক রোড, এনজেপি ছাড়াও বেংডুবি, খাপারাইল, শিবমন্দির, নকশালবাড়ি, গরুবাথান-মত এলাকায় সমস্যা রয়েছে। সমস্যা রয়েছে পাহাড়ের তিনটি মহকুমাতেও। বিএসএনএলের শিলিগুড়ির কলেজপাড়ার দফতরের মধ্যেও মাঝেমধ্যে ওই সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে নিগমের কয়েকজন অফিসার জানিয়েছেন। বিএসএনএলের শিলিগুড়ি টেলিকম ডিস্ট্রিক্ট-র সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (মোবাইল) অমলেন্দু সরকার অবশ্য বলেন, “অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত সমস্যার কারণ খুঁজে বার করে তার সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে পুরোটাই যেহেতু অত্যাধুনিক যান্ত্রিক বিষয়, কোথাও কখন কীভাবে খারাপ বা সমস্যা হবে তা বলা যায় না।” ব্যবসাায়িক সংগঠনগুলির তরফে ইতিমধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সংস্থা আধিকারিকদের অনুরোধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “ব্যবসার কাজে লোকাল তো বটেই বাইরে কথা বলতে গিয়ে বারবার লাইন কেটে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।” শিলিগুড়ি টেলিকম ডিস্ট্রিক্টের (এসটিডি) অধীনে পাহাড়ে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং তিনটি মহকুমা এবং শিলিগুড়ি মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে। গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার। ২৭৮টি টাওয়ার রয়েছে। তা চাহিদার তুলনায় কিছুটা কম বলে সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারেরা জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, প্রশাসনিক নির্দেশিকা মেনে অনেক জায়গায় টাওয়ার বসানো সম্ভব নয়।

আন্দোলনে পুরোহিতরা
ভাতা এবং স্বাস্থ্যবিমার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তরবঙ্গ পুরোহিত উন্নয়ন সমিতি। সম্প্রতি সরকার মৌলবীদের ভাতা চালুর কথা ঘোষণার পরে আন্দোলনে নামছেন পুরোহিতরাও। ২ জুলাই এই ব্যাপারে শিলিগুড়ির মহকুমাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়ে দাবি পেশ করা হয়। সমিতির সম্পাদক বিকাশ রায় বলেন, “উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় কমিটি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পুরোহিতদের সংগঠনগুলির সঙ্গেও কথা চলছে। সরকার পুরোহিতদের পরিবারগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা না-করলে প্রয়োজনে কলকাতায় গিয়ে ধর্না আন্দোলন হবে। প্রয়োজনে রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে মন্দির ও বাড়িতে যাজনের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হবে।” সমিতির অভিযোগ, ভারতীয় সমাজে পুরোহিতরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করলেও সরকারি পৃষ্ণপোষকতা থেকে বঞ্চিত। সংস্কৃতি শিক্ষাও অবহেলিত। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে সংস্কৃত টোল এবং পুরোহিত পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য চাকরিতে সংরক্ষণ চালুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্য জুড়ে যে সমস্ত মন্দিরের ভগ্মদশা সেগুলির সংস্কারের দাবিতেও লাগাতার আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে সমিতি।

নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ
তোলাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রাক চালকরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের বীরপাড়া থানা এলাকার লঙ্কা রোডে। সকাল ১০টা থেকে পথ অবরোধ করে রাখায় ভুটানের গমটু শহরে যাতায়াতকারী বহু গাড়ি রাস্তায় আটকে পড়ে। বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘালিয়া বলেন, “দুষ্কৃতীদের ধরতে আগে দু’বার তল্লাশি হলেও তাদের কেউ ধরা পড়েনি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে স্পেশাল টিম গড়ে অভিযান হবে।” অবরোধকারী ট্রাক চালক ও কর্মীদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে লঙ্কাপাড়া রোডে এক দল যুবক দিন দুপুরে ভুটান যাতায়াতকারী ট্রাক গুলির চালকদের থেকে তোলা আদায় করছে। উত্তরবঙ্গ মোটর কর্মী ইউনিয়নের মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের সভাপতি দিলীপ সুরি বলেন, “১৫-২০ জনের একটি দল সকলা থেকে গমটু ও পাগলি ভুটান যাতায়াতকারী ট্রাকের থেকে মোটা টাকা আদায় করছে। টাকা না পেলে রীতিমত অত্যাচার করছে। পুলিশ তাদের ধরছে না। শীঘ্রই ধরা না পড়লে বড় ধরণের আন্দোলনে নামব আমরা।”

শহরে জলের সমস্যা মেটাবে পুরসভা
শহরে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। নতুন জলাধার নির্মাণের পাশাপাশি পাইপ লাইনের কাজ শুরু করা হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের তরফে। পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে পুরসভার সমস্ত এলাকায় ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দিতে পারব আমরা। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। একটি জলাধার নির্মাণের কাজ শেষ। পাইপ লাইনের কাজ হচ্ছে। নতুন একটি জলাধার নির্মাণ করা হবে।” এ ছাড়া তিনি জানান, জলের স্ট্যান্ড পোস্টগুলিতে নম্বর দেওয়া হবে। তালিকা থাকবে পুরসভার কাছে। তাতে কোনও স্ট্যান্ড পোস্ট খারাপ হলে তা চিহ্নিত করে দ্রুত ঠিক করা সহজ হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। ৪৫, ৪৬, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছয়নি। বেশ কিছু এলাকায় চাহিদা অনুসারে স্ট্যান্ড পোস্ট নেই। ১ নম্বর ওয়ার্ড সহ কয়েকটি এলাকায় লাইনের কাজ হয়নি। কয়েকটি ওয়ার্ডে পানীয় জল অত্যন্ত শ্লথ গতিতে স্ট্যান্ড পোস্ট দিয়ে বের হয়। মহানন্দা সেতু লাগোয়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে পাইপ লাইনের একটি অংশ দিয়ে জল বেরোচ্ছে। সেটি ঠিক করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিন বাস্তুকারকে বরো অফিসে বদলি
শিলিগুড়ি পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ৩ জন বাস্তুকারকে বরো অফিসে বদলি করা হল। বুধবার তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “রুটিন মাফিক বদলি হয়েছে। অন্য কোনও কারণ নেই।” তবে সম্প্রতি বিল্ডিং বিভাগের কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠায় এই বদলি প্রক্রিয়া বলে মনে করছেন পুরসভার কর্মী আধিকারিকদের একাংশ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৩ জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (এএসই)-কে প্রধান অফিস থেকে বিভিন্ন বরোতে বদলি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ধ্রুব চক্রবর্তী, অলক সরকার এবং সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। চুক্তিভিত্তিতে থাকা বস্তি উন্নয়নের কাজে যুক্ত ২ জন বাস্তকারকে বিল্ডিং বিভাগে বদলি করা হয়েছে। সম্প্রতি বোর্ড মিটিংয়ে অনিয়ম রয়েছে এমন বাড়ির নকশা পাশ করানো নিয়ে অভিযোগ ওঠে। বুধবার সে ব্যাপারে পুর কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে ওই সমস্ত নকশা পাশ করানোর বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ জানান বিরোধী বামেরা।

বোমাতঙ্ক, তল্লাশি
একটি শপিং মলের সামনে রাখা বাইকে বোমা রয়েছে, এই গুজবে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শিলিগুড়ি থানার পুলিশের একটি দল হিলকার্ট রোডে রুটিন তল্লাশি করছিল। সঙ্গে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল ছিল। সেই সময় তারা খবর পায়, বর্ধমান রোডের একটি মলের সামনে থাকা একটি বাইকে বোমা রাখা আছে। সিআইডির বম্ব স্কোয়াড, রেল পুলিশের (জিআরপি) বম্ব স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে যায়। গোটা বর্ধমান রোড এলাকাতেই তল্লাশি চলে। তবে কিছু পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ
স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাতে স্ত্রী’কে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাপের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ১ এপ্রিল ওই অভিযোগ নিয়ে পুলিশে যান আলিপুরদুয়ারের এক যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, “সৌরভ ঘোষ নামে এক যুবক অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী শতরূপাকে বাপের বাড়ির লোক কিছু দিন আগে নিয়ে যায়। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। শতরূপার বাবা-মা ফোনে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না।

নতুন বাড়ি
শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের (এসএসকে) নতুন ভবন তৈরির জন্য ৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে সর্বশিক্ষা মিশন। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মধ্যে থাকা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির মধ্যে ওই টাকা বিলি করা হয়েছে। মহকুমা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের নিজস্ব শ্রেণি কক্ষ নেই। বিধাননগরে একটি এসএসকে গাছতলায় চলছে। এ ছাড়া খড়িবাড়িতে কিছু এসএসকে ভাঙাচোরা ঘরে চলছে। ভবন তৈরির জন্য ৭ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়।
লুঠের চেষ্টা
এটিএম মেশিন ভেঙে লুঠের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার শহরের মাধব মোড় এলাকায়। থানার আইসি স্বপন ঘোষ বলেন, “এটিএম কাউন্টারে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। মেশিন খোলার চেষ্টা হয়েছে। টিভির ফুটেজের জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”

বেহাল শিশু শিক্ষা কেন্দ্র
ছবি: কার্তিক দাস
একটি মাত্র শ্রেণি কক্ষ। সেখানে ৯৬ জন ছাত্রছাত্রীর বসার ব্যবস্থা। শৌচাগারের দরজা ভেঙে গিয়েছে বহুদিন। কুঁয়োর দূর্গন্ধে ভরা জল খেয়ে দিন কাটাতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। অল্প বৃষ্টিতেই জলে ভরে যায় গোটা চত্বর। শিলিগুড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পঞ্চনই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ওই বেহাল দশা। স্কুলের শিক্ষিকা ৩ জন। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি মিডডে মিল সামলাতে যাদের নাজেহাল অবস্থা। শিক্ষিকা বন্দনা শর্মা বলেন, “মিডডে মিলের পর ছাত্রছাত্রীদের জল তেষ্টা পায়। পানীয় জলের বন্দোবস্ত না থাকায় ওই কুঁয়োর জল খেতে হয় তাদের। আমরা স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি।” শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি পাসকেল মিন্জ বলেন, “শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না। ওই কেন্দ্রের কেন বেহাল অবস্থা তা নিয়ে খোঁজ নেব। পানীয় জলের জন্য গভীর নলকূপ বসানোর সুযোগ রয়েছে। তা সেখানে করা যায় কি না তা দেখা হবে।”

কর সংগ্রহে নোটিশ
ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ভ্যালুয়েশন বোর্ডের নতুন সমীক্ষা মতো পুর কর সংগ্রহ করতে বাসিন্দাদের নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল শিলিগুড়ি পুরসভা। বুধবার মেয়র, ডেপুটি মেয়র-সহ মেয়র পারিষদদের নিয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক হয়। কার, কত পুরকর দিতে হবে তা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। বাসিন্দাদের কারও কোনও আপত্তি থাকলে তাঁরা পুরসভায় আবেদন করতে পারবেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.