ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়
হাওড়া বাউড়িয়া স্টেশন রোডে গার্লস হাইস্কুলের ঠিক ঢিল-ছোড়া দূরত্বে রাস্তার পাশে জনবহুল এলাকায় দীর্ঘ দিন ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা অবস্থায় আছে। এলাকার মানুষ, পথচারী, দুটি জুট মিলের হাজার হাজার শ্রমিক, দুটি ফেরিঘাটের যাত্রী, পোস্ট অফিস ছাড়াও স্কুলের ছাত্রীরা ও একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করে। এ ছাড়া, উলুবেড়িয়া বাজারপাড়ার কাছে কটক রোডের ধারে জনবহুল এলাকায় আর একটি ম্যানহোলের স্ল্যাব ভেঙে বিপজ্জনক অবস্থায় দীর্ঘ দিন আছে। এরই পাশ দিয়ে অহরহ পথচারী যাতায়াত করছেন। পুরপিতা এ দিকে একটু নজর দেবেন কি?
বীরভূমের জোপলাই গ্রাম এখন চরম জলসঙ্কটে। গ্রামের পাশে একমাত্র নদী হিংলো সম্পূর্ণ জলশূন্য। অধিকাংশ পুকুর শুকিয়ে কাঠ। একটি মাত্র পুকুরের জলে গবাদি পশুর স্নান, বাসন মাজা, কাপড় কাচা, গ্রামবাসীদের স্নানের ফলে জল ক্রমাগত অব্যবহার্য হয়ে উঠছে। গ্রামবাসীরা নানা চর্মরোগের শিকার হচ্ছেন। নলকূপ আছে, তবে অধিকাংশই অচল। কোনও কোনওটাতে এত আয়রন যে জল কোনও কাজে লাগে না। পঞ্চায়েত নির্বিকার।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের সামনে একটি পানীয় জলের আধার বেশ কয়েক মাস ধরে বেহাল। একটু দূরেই তমলুক হাসপাতাল। অসংখ্য রোগী ও আত্মীয়-পরিজনের পানীয় জলের জন্য এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটতে হয়। সময়-অসময়ে টাকা দিয়ে জল কিনতে হয়। ধারেকাছে বিকল্প জলাধারও নেই।
শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া দীর্ঘ রুটে যানবাহন খুবই কম। মহকুমা শহর শ্রীরামপুরে আসতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষজনকে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় নিত্যদিন। বাস, ট্রেকারগুলি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে গিয়ে নানা দুর্ঘটনায় পড়ে। যাত্রীদের দীর্ঘ পথে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে হয় দিনের ব্যস্ত সময়ে। এই রুটে যাত্রাপথে যানবাহনের সংখ্যাবৃদ্ধি জরুরি।
সংবাদে প্রকাশ (৮-৪) রেলে নাকি যাত্রী সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে আরও বেশি করে নজর থাকবে কর্তৃপক্ষের। বিনীত ভাবে জানাই, লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে কেউ মাথা ঘামাননি। লোকাল ট্রেনে দিনে-দুপুরে কত চুরি-ছিনতাই ঘটছে, তা নিত্যযাত্রীরা প্রায় দিনই স্বচক্ষে দেখছি বা সংবাদপত্র পড়ে জানতে পারছি।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নিত্যযাত্রী আমি। প্রতিদিন থিকথিকে ভিড় ঠেলে দশটা-পাঁচটার অফিস। বোর্ডিং স্টেশনে ট্রেন ঢুকলে দেখা যায়, আগের তিনটি স্টেশন থেকে প্রায় অর্ধেক লোক বসে এসেছেন। বাকি সিটগুলোতে যে যার মতো ছাতা, ব্যাগ, রুমাল ইত্যাদি দিয়ে জায়গা দখল করে রাখছেন। ফলে, সময়মতো এসেও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বৃদ্ধ, অসুস্থ কিংবা সাধারণ মানুষকে। কিছু বলতে গেলেই গালিগালাজ, ধমক, চোখরাঙানি, এমনকী মারধরও খেতে হচ্ছে। প্রতিবাদ নিষ্ফল।
আমি তারকেশ্বরের বাসিন্দা। প্রতি বছর শ্রাবণ ও গাজন মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের আগমন হয় এখানে। তারকেশ্বরের রাস্তাঘাট বিশেষ করে মন্দির এলাকায় খুবই অপ্রশস্ত। তার উপর দু’ধার থেকে অস্থায়ী ভাবে গড়ে ওঠা দোকান মেলার সময় যাতায়াতের রাস্তাকে রুদ্ধ করে দেয়। ইদানীং বহু পুণ্যার্থী তারকনাথের কাছে মানতস্বরূপ ষাঁড় ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছেন। ষাঁড়গুলি বড় হচ্ছে এবং সংকীর্ণ রাস্তার মধ্যে দল বেঁধে ঘোরাঘুরি করছে। বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। স্থানীয় বিধায়ক এবং পুরসভার চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর রায়গঞ্জে রাত ৮টা বাজতে না-বাজতেই ট্রাফিক পুলিশ (এখানে হোমগার্ড) ডিউটি শেষ করে বিদায় নেয়। আমরা জানি, রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শহরের রাস্তায় তীব্রগতি এবং হর্ন নিষিদ্ধ। কিন্তু গতি এবং শব্দের প্রতিযোগিতা রাত যত গভীর হয়,বিনা বাধায় তত তীব্র হয়। প্রবীণ, শিশু এবং রোগীদের রাতের পর রাত আধো-ঘুমে কাটাতে হয়। কারণ, শতাব্দীপ্রাচীন বসতবাড়িগুলো রাস্তার দু’পাশে অবস্থিত।
কৃষ্ণনগর রোড স্টেশন থেকে নবদ্বীপ টাউনগামী রাস্তাটি নৃসিংহ দেবতলা পর্যন্ত দীর্ঘ দিন বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা নিত্য পথযাত্রীদের আশঙ্কার কারণ।
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে চুঁচুড়া স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার্থে আপ ও ডাউন প্ল্যাটফর্মে বড় লম্বা শেড তৈরি হচ্ছে। কিন্তু একমাত্র টিকিট ঘরটি ডাউন প্ল্যাটফর্মে অবস্থিত। আপ প্ল্যাটফর্মের যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য ওভার ব্রিজ পার হয়ে বা লাইন টপকে গিয়ে টিকিট কাটতে যেতে হয়। তাড়াহুড়োয় অনেকে বিনা টিকিটে যাত্রা করার ঝুঁকি নেয়। আপ প্ল্যাটফর্মের সামনে একটি টিকিট কাউন্টার খোলা হোক।
প্রায় দু’মাস হল, সাঁকরাইল স্টেশনের দু’পাশে লেভেল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তা একেবারে যাচ্ছেতাই। পূর্ব দিকে তবু রক্ষা, গর্তগুলি ছোটখাটো। কিন্তু পশ্চিম দিকে তিনটি বিশাল গহ্বর। আন্দাজ ১৬ ফুট বাই ১০ ফুট হবে। চারচাকা গাড়ির পক্ষে অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল। বিশেষ করে পণ্যবাহী গাড়ির পক্ষে। অবিলম্বে রাস্তাটি সারানো হোক।
পুরশুড়া থেকে ডিহিভুরসুট সাত কিলোমিটার রাস্তাটি তারকেশ্বর থেকে ডিহিভুরসুট হয়ে উদয়নারায়ণপুর, আমতা, হাওড়া, গাদিয়াড়া যাওয়ার একমাত্র পথ। পিচ-রাস্তায় পিচের লেশমাত্র নেই। বর্ষাকালে ভয়াবহ অবস্থা। তার উপর চাঁদার জুলুম। পুরশুড়া এবং সংলগ্ন গ্রামগুলি থেকে সবজি শহরে পাঠাতে এই রাস্তাই ভরসা। রাস্তাটি সারাতে উদ্যোগ চাই।
আমরা আসানসোলের রেলপাড় অঞ্চলের বাসিন্দা। বিশাল এলাকায় বহুসংখ্যক মানুষের বাস। এই মানুষজনের নিত্য ভোগান্তি হল ব্রিটিশ আমলের তৈরি সরু টানেল দিয়ে আসানসোলের মূল কেন্দ্রে যেতে হয় নানা দরকারি কাজে। তাই এখানে নিত্য জ্যাম, দুর্ঘটনা লেগেই আছে। এর সমাধানে নতুন টানেল বা ওভারব্রিজ তৈরি করা হোক।
উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ভবানীপুর ঘোষপাড়া মোড় থেকে বিধিচন্দ্রপুর জমিদার বাটি পর্যন্ত যে পিচের রাস্তাটি আছে, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংলগ্ন দুটি গ্রামপঞ্চায়েতের সংযোগকারী রাস্তা। বর্তমানে রাস্তাটিতে পিচ উঠে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই রাস্তার পাশেই অবস্থিত একটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি উপ-ডাকঘর, একটি উচ্চমাধ্যমিক, একটি মাধ্যমিক, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সহ ছোট বড় দোকান বাজার। দ্রুত রাস্তাটি সারানোর জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.