বরখোলার বিধায়ক রুমি নাথ নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে বনধ ও পাল্টা বনধ ঘিরে বরাকের কিছু এলাকা এখনও উত্তপ্ত। বরাকে আজ বন্ধ ডেকেছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এ দিনের বন্ধে মিশ্র সাড়া মেলে। বনধ সমর্থকেরা রেল ও সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে। করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি, নিলামবাজার, বদরপুর, হাইলাকান্দি জেলার হাইলাকান্দি, বদরপুর এবং কাছাড় জেলার শ্রীকোলা, বরখোলা প্রভৃতি অঞ্চলে পুলিশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও বন্ধ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে কাছাড় জেলার কাটিগড়া থানার অধীন কালাইনে। সংঘর্ষে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা-সহ অন্তত ১৮ জন জখম হন। আহত ৬ জনকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। উত্তেজনা প্রশমনে কাটিগড়া থানা এলাকা জুড়ে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। উপত্যকার অন্যত্র অবশ্য হিংসার খবর নেই।
বিধায়ক রুমি নাথের উপরে হামলার প্রতিবাদে ক’দিন থেকেই বরাকের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ চলছিল। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ এনে আজ পাল্টা বরাক বন্ধ ডাকে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। শিলচর রেলস্টেশনে বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে বসে পড়লে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। পরে শিলচর-আগরতলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন রওনা হয়। কিন্তু বদরপুরে গিয়ে ফের বিক্ষোভে আটকা পড়ে। ফলে অন্য কোনও ট্রেনও চালানো যায়নি। করিমগঞ্জেও ট্রেন অবরোধ করা হয়।
কাছাড়ের কালাইনে বিক্ষোভকারীরা সকাল থেকে জাতীয় সড়ক জুড়ে বসে থাকে। বনধ-বিরোধীরা সড়ক ছেড়ে দিতে বললে দু’তরফে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘষের সমর্য় ৮টি গাড়ি, ৪টি সাইকেল এবং ৩টি মোটরসাইকেলও জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা ও অতিরিক্ত জেলাশাসক বরেণ্য দাস সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পরে লাঠি চালায়। এরপর উত্তেজনা প্রশমনে কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। |