সেরেনার র‌্যাকেটে
ফের উইলিয়ামস-যুগ

টেনিসে উইলিয়ামস-যুগ শেষ কে বলল? যতক্ষণ সেরেনা উইলিয়ামস অবসর না নিচ্ছেন! সদ্য ফরাসি ওপেনে প্রথম রাউন্ডে ছিটকে গিয়েছিলেন। জীবনের ৪৩ গ্র্যান্ড স্লামে সেই প্রথম। ভেনাস আবার চলতি উইম্বলডনে প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেন। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের ঘাসের কোর্টে ১৫ বারের মধ্যে তাঁর কুৎসিততম পারফরম্যান্স। কথা উঠে গিয়েছিল, উইলিয়ামসের দিন শেষ। জবাবটা খুব দ্রুতই দিয়ে দিলেন সেরেনা। যাঁর কিনা ভেনাস যে টুর্নামেন্টে দ্রুত হেরে যান, সেখানে আরও ভাল কিছু করে দেখাতে বেশি ইচ্ছে করে! উইম্বলডনে যার করুণ সাক্ষী হয়ে থাকতে হল গত বারের চ্যাম্পিয়ন কিভিতোভাকে। শারাপোভার বিদায়ে গত কালই যাঁকে বিশেষজ্ঞরা এক নম্বর ফেভারিট ভাবছিলেন। চব্বিশ ঘণ্টা না কাটতেই ‘ফেভারিট’ কোয়ার্টার ফাইনালেই কুপোকাত সেরেনার কাছে স্ট্রেট সেটে। ৩-৬, ৫-৭।
“উইম্বলডন সত্যিই আমার কাছে অদ্ভুত! এখানকার প্র্যাক্টিস কোর্টের ঘাসে পা রাখলেই মনে হয়, পিছলে পড়ে যাব। কিন্তু এক বার ম্যাচ কোর্টে ঢুকলেই সমস্ত আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে”, সেরেনার খুব পরিচিত মন্তব্য। দু’বছর আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাতে বলরুমে নাচতে গিয়ে কাঁচের টুকরোয় পা কেটে প্রায় এক বছর কোর্টের বাইরে চলে যান। অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি জীবন সংশয়কারী রক্ত জমাট বেঁধে টেনিস কেরিয়ারই তুমুল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। গত বার উইম্বলডনে নামেন তার আগের এগারো মাসে মাত্র একটা টুর্নামেন্ট খেলে। চতুর্থ রাউন্ডে বার্তোলির কাছে হেরেছিলেন আগের বারের চ্যাম্পিয়ন। বছরই ঘুরতেই সেরেনাই ছিটকে দিলেন আগের বারের চ্যাম্পিয়নকে।
সেরেনা: সেমিফাইনালে উঠে।
সেরেনার তেরোটা গ্র্যান্ড স্লামের পাশে বাকি সাত কোয়ার্টার ফাইনালিস্টের মিলিত গ্র্যান্ড স্লামের সংখ্যা মাত্র দুই। এর চেয়েও তাৎপর্যের, তিরিশ পেরনো সেরেনা দিব্যি সফল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বয়সে সাত-আট বছরের জুনিয়রদের সঙ্গে। বাকি কোয়ার্টার ফাইনালিস্টদের কেউ এখনও চব্বিশ পেরোননি। সমালোচকদের তাঁর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলাকেও এ দিন প্রচণ্ড ভলিতে উড়িয়ে দিলেন সেরেনা। যেটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১০-এ দীর্ঘ চোটের জন্য হাজারের ওপর ক্রমপর্যায় চলে যাওয়া সেরেনা অস্ট্রেলীয় ওপেনের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট হোবার্ট ওপেনে প্রথম রাউন্ডে হেরে সারা রাত পাগলের মতো গাড়ি চালিয়েছিলেন। বারবার ভেবেছিলেন পরের সকালেই অবসর ঘোষণা করে দেবেন কি না। পরের তিন সপ্তাহের মধ্যে অবাছাই হিসেবে নিজের পঞ্চম অস্ট্রেলীয় খেতাব জিতে জ্বালা জুড়িয়েছিলেন ফ্লোরিডার কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে। আর এ বার উইম্বলডনে তো সেরেনা ষষ্ঠ বাছাই। তবে মঙ্গলবারের পর তিনিই ফেভারিট নম্বর ওয়ান। আর দুই জার্মান-কন্যার কোয়ার্টার ফাইনাল লড়াইয়ে ক্রেবার চূড়ান্ত সেটে ৩-৫ পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে হারালেন শারাপোভা-বধকারী লিসিকি-কে।
পুরুষদের কোয়ার্টার ফাইনালে লাইনআপ দাঁড়াল, জকোভিচ-মেয়ার, ফেডেরার-ইউজনি, মারে-ফেরার, সঙ্গা-কোলসক্রেবার। আট জনের মধ্যে বয়স্কতম ফেডেরার (৩১)। সবচেয়ে কনিষ্ঠ মারে ও জকোভিচ (২৫)। ক্রমপর্যায়ে সবার পিছনে ইউজনি (৩৩)। তিনি ছাড়াও ফেরার এবং কোলসক্রেবারের প্রথম উইম্বলডন কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে বিশ্বের পাঁচ নম্বর স্প্যানিশ ফেরার এ বছর গ্র্যান্ড স্লামে তার আগে হারেননি। মেয়ার আট বছর পরে উইম্বলডনে ফের শেষ আটে। আট কোয়ার্টার ফাইনালিস্টের মধ্যে পাঁচজনই তিরিশ পেরনো বা তিরিশ ছুঁইছুঁই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ঘাসের কোর্টে তরুণ রক্তের চেয়ে কি অভিজ্ঞতার কার্যকারিতাই বেশি?

লি-র বিদায় মহেশেরও
একই দিনে উইম্বলডন ডাবলস থেকে বিদায় নিলেন লিয়েন্ডার পেজ, মহেশ ভূপতি। মহেশের দোসর হিসেবে রোহন বোপান্নাও। অলিম্পিক টেনিস নিয়ে যুযুধান তিন ভারতীয়ের খেলার ফোকাস যে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মঙ্গলবার উইম্বলডনের ৭ এবং ১৭ নম্বর কোর্টে তা স্পষ্ট হয়ে গেল। সপ্তম বাছাই ভূপতি-বোপান্না অবাছাই জুটি ইস্তোমিন-এলগিনের কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডেই স্ট্রেট সেটে হারলেন ৫-৭, ৬-৭ (৪-৭), ৩-৬। মহেশ এখানে ডাবলস-মিক্সড ডাবলস মিলিয়ে তিনটে ম্যাচ খেলে মাত্র একটা জিতেছেন। চতুর্থ বাছাই লিয়েন্ডার-স্তেপানেক বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় রাউন্ড ম্যাচ দু’দিন ধরে খেলে হারলেন পাঁচ সেটে। পঞ্চদশ বাছাই মেলো-ডডিগ লিয়েন্ডারদের হারান ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪, ৬-৭ (২-৭), ৮-৬।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.