বিরোধী আরজেডি এবং লোকজনশক্তি-র পর এবার নিজেদেরই জোট-শরিক বিজেপিতে ভাঙন ধরাল জেডিইউ। রাজ্য বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য তথা বিজেপি নেতা সঞ্জয় ঝা দল ছেড়ে যোগ দিল নীতীশের জেডিইউ দলে। জাতীয় রাজনীতিতে অরুণ জেটলির ঘনিষ্ঠ এই নেতা বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে দলে স্বাগত জানান নীতীশ স্বয়ং।
এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি নেতারা প্রবল অসন্তুষ্ট। দলের প্রবীণ নেতা তথা নীতীশ সরকারের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেন, ‘‘সঞ্জয়ের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক জোটের পরিপন্থী। এটা দুর্ভাগ্যজনক।” নীতীশ কুমার বিজেপিকে ভাঙার চেষ্টা করছেন, এই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিজেপি-র মধ্যেই। বিজেপি বিধায়ক বিজয় কুমার মিশ্রর বক্তব্য, “বিজেপি কোনও ব্যক্তি কেন্দ্রিক দল নয়। এই দলকে কেউ ভাঙার চেষ্টা করতেই পারেন, কিন্তু সফল হবেন না।” বিজেপি ছেড়ে জেডিইউ-এ যোগ দেওয়ার ঘটনা রাজ্যে এই প্রথম বলে বিজেপি জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত বিজেপি-র সঞ্জয় ঝা। বিজেপিতে থেকেও তিনি সরকারের প্রধান শরিক জেডিইউ-এর হয়ে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, শেষ পর্যন্ত যে তিনি একেবারে সরাসরি দল ছেড়ে জেডিইউ-এ নাম লেখাবেন তা হয়তো রাজ্য বিজেপি নেতারা বুঝতে পারেননি। আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জেডিইউ-এর রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহের সঙ্গে সঞ্জয় ঝা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান। সেখানে অন্য মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে সঞ্জয় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে জেডিইউ-এর সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
জেডিইউ-এ যোগদান বিষয়ে সঞ্জয় জানিয়েছেন, “এই দল ছাড়ার বিষয়ে আমি অরুণ জেটলির সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বিজেপি ছেড়ে জেডিইউ-এ যোগ দেওয়ায় রাজ্যের শাসক জোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।” কেন দল ছাড়লেন? সঞ্জয়ের জবাব, “এটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।” জেডিইউ-এর মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, “দল তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে। এতে দল মজবুত হল।” তবে এই ঘটনা রাজ্যে জেডিইউ-বিজেপি জোটে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে জেডিইউ মুখপাত্রও মনে করেন। |