|
|
|
|
|
গন্তব্যের কাছাকাছি |
ই-কাউন্সেলিংয়ের পরে এ বার ভর্তির পালা। লিখছেন কৌলিক ঘোষ। |
জয়েন্ট দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির নতুন পদ্ধতি ই-কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে প্রথম দফার আসন বণ্টনের ফলাফল জানা হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ২৯ জুন পর্যন্ত জয়েন্টে সফল ছাত্রছাত্রীরা পছন্দের কলেজ এবং বিষয় ক্রমানুযায়ী যে ভাবে সাজিয়ে লক করেছিলেন, এ বার তাঁরা জানতে পেরেছেন, সেই কলেজ বা বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ মিলেছে কি না। যা স্থির হয়েছে প্রার্থীর মেধা তালিকায় প্রাপ্ত স্থানের ভিত্তিতে। যাঁদের কপালে পছন্দের কলেজ জুটেছে, তাঁরা এ বার ভর্তি হবেন। আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যের ২৫টি রিপোর্টিং সেন্টারে গিয়ে এই পর্ব সারতে হবে। রাজ্যের বাইরেও ত্রিপুরাতে একটি রিপোর্টিং সেন্টার রয়েছে।
অন্য দিকে, যাঁরা এ দফায় পছন্দের কলেজ বা শাখায় ভর্তি হতে পারলেন না, তাঁদের এখনই ভেঙে পড়ার কিছু নেই। কারণ সামনে আরও কয়েকটি সুযোগ আছে। যেমন, ‘আপগ্রেডেশন’ পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু প্রার্থীকে রিপোর্টিং সেন্টারে অবশ্যই হাজির হতে হবে। আপগ্রেডেশেনের মাধ্যমে প্রার্থীরা পরবর্তী পর্যায়ের আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাবে পছন্দ-তালিকায় উপরের দিকের কলেজগুলিতে আসন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন। |
|
আসলে ই-কাউন্সেলিং এ বছর প্রথম হওয়ার দরুন বহু জয়েন্ট-সফল ছাত্রছাত্রীই ‘চয়েস লকিং’-এর সময় কয়েকটি মাত্র কলেজের হাতে গোনা বিষয়কেই বেছে নিয়েছেন। অথচ জয়েন্টের মেধা তালিকায় পাওয়া স্থান অনুযায়ী হয়তো সেই কলেজ বা শাখায় পড়ার সুযোগ পাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এই রকম পরিস্থিতি যে দেখা দিতে পারে, সে কথা মাথায় রেখেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড তাদের বিজ্ঞপ্তিতে এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বারবার প্রার্থীদের পরামর্শ দিয়েছিল যে, ‘চয়েস লকিং’-এর সময় যত বেশি সংখ্যক পারা যায়, তত আসনই ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে লক্ করতে। আপগ্রেডেশন বলতে ঠিক কী বোঝায়, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলজি-র কর্তা জগন্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রথম দফায় পছন্দ মতো সরকারি এবং বেসরকারি কলেজে আসন পাওয়া সত্ত্বেও দেখা যাবে বহু প্রার্থীই ভর্তি হচ্ছেন না কিংবা পরবর্তী পর্যায়ে নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এগুলিকে বলা হয় ‘ড্রপ আউট’ আসন। এই বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ইন্টারনেট মারফত কাউন্সেলিংয়ের পদ্ধতি শুরু হওয়ার ফলে এই ‘ড্রপ আউট’ আসনের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। আর এই ভাবে তৈরি হওয়া ফাঁকা আসনগুলি যুক্ত হবে পরবর্তী পর্যায়ে অর্থাৎ দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং-এ। এর ফলে প্রথমে যাঁরা পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেন না, পরের পর্যায়ে এসে তাঁদের সামনে সেই সুযোগ খুলে যেতে পারে। এটাই আপগ্রেডেশন। এই বিষয়টি ক্রমাগত চলতে পারে বেশ কয়েক দফায়। |
মাথায় রাখুন |
|
• প্রথম বা দ্বিতীয় পছন্দের কলেজে সুযোগ না পেলে অবশ্যই আপগ্রেডেশনের সুযোগ নিন
• আপগ্রেডেশনের ফল মনোমত না হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্টিং সেন্টারে
গিয়ে নাম প্রত্যাহার করুন। ডিমান্ড ড্রাফট ফেরত পাবেন
• এক বার আপগ্রেডেশনের সুযোগ অনুযায়ী পছন্দের কলেজ বা আসন পেলে আর প্রথম দফার পছন্দে ফিরে আসা যাবে না
• আপগ্রেডেশনের সুযোগও মিলবে ‘চয়েস লকিং’-এর ভিত্তিতে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ে ওই ‘লকিং’ খোলা যাবে না। মেধা তালিকায় প্রার্থীর স্থান অনুযায়ী তা আপগ্রেডেশন হবে তাঁর ক্রমানুযায়ী পছন্দের ভিত্তিতেই
• আপগ্রেডেশনের সুযোগ মিলবে একবারই, অর্র্থাৎ প্রথম দফার আসন বণ্টনের পর
• আপগ্রেডেশনের সুযোগ নিলে শেষ পর্যায় পর্যন্ত বণ্টিত আসন দখলের লড়াইয়ে থাকা যাবে। ই-মেল, এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রার্থী জানতে পারবেন, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে আসন বণ্টনের সময় পছন্দমত আসন
তিনি পেলেন কিনা
• প্রথম দফায় আসন বণ্টনের সময় রিপোর্টিং সেন্টারে উপস্থিত না থাকলে বা নাম প্রত্যাহার করে নিলে আপগ্রেডেশনের সুযোগ মিলবে না |
|
জগন্নাথবাবুর মতে, যাঁরা পছন্দের কলেজ বা বিষয় না পাওয়ার কারণে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হবেন না বলে ভাবছেন, প্রথমে তাঁদের অবশ্যই আপগ্রেডেশনের দিকে এগোনো উচিত। এতে শেষ পর্যন্ত অনেক প্রার্থীই পছন্দের কলেজ এবং বিষয় পেয়ে যেতে পারেন। আপনার প্রথম পছন্দেরটি যদি না-ও পান, অন্তত ভাল কোনও কলেজে পড়ার সুযোগ পেতেই পারেন।
এ ছাড়া, আর একটি বিষয়ও মনে রাখা দরকার যে, ‘এআইইইই’ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য নির্দিষ্ট আসনগুলি শেষ পর্যন্ত পূরণ না হলে, সেগুলি চলে আসবে জয়েন্টের আওতায়। আবার তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রেও এ রকম হতে পারে। ফলে আপগ্রেডেশনের সুযোগ না নিলে হাতছাড়া হয়ে যাবে এই সুযোগগুলি। প্রসঙ্গত, এই বছর এ রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজারের মতো। কিন্তু জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এই সংখ্যক আসন পূরণ করার জন্য প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে। অথচ নতুন ই-কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে ভর্তির জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে প্রায় ৪২ হাজার ছেলেমেয়ে। |
গ্রাফিক্স: প্রবাল ধর |
|
|
খেয়াল রাখুন |
|
দ্বাদশ পাশ করেছেন বা পড়ছেন যাঁরা, তাঁদের কেন্দ্রীয় পর্যটন দফতরের অধীন ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কেটারিং টেকনোলজি (এনসিএইচএমসিটি) আয়োজিত সর্বভারতীয় হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রবেশিকার প্রস্তুতি দিতে আট মাসের পাঠ্যক্রম আনল ক্যারি অন। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেও যদি ২০১৩-এ এনসিএইচএমসিটি স্বীকৃত কোনও কলেজে কেউ জায়গা করে নিতে না পারেন, তবে কোর্স ফি-এর অধিকাংশটাই ফেরত দেওয়া হবে। ভর্তির শেষ দিন ১৭ জুলাই। ফোন নম্বর: ৯৬৭৪৪-৮৮০১৪।
|
|
এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ইডিআই) এ বার নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে তিনটি পাঠ্যক্রম এনেছে। এগুলি হল, অন্ত্রেপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্মল বিজনেস ম্যানেজমেন্টে এক বছরের ডিপ্লোমা, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমে এক বছরের ডিপ্লোমা ও এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ম্যানেজমেন্টে এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্লাস হবে শুধু রবিবারে। আবেদন করার শেষ দিন ১৫ জুলাই। যোগাযোগ করে নিতে পারেন সল্টলেক সেক্টর থ্রি-র আইবি-১৯৪ ঠিকানায় অবস্থিত ইডিআইয়ের দফতরে। ফোন নম্বর: ০৩৩-২৩৩৬-৭২৫৮/৯০০৭৯৮০৮২৬।
|
বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম সম্পূর্ণ করার পর কিংবা বি-টেক ডিগ্রির পর যাঁরা এম-টেক পড়তে চান, তাঁদের বসতে হয় গেট প্রবেশিকা পরীক্ষায়। সেই গেট-এরই প্রস্তুতি পাঠ্যক্রম শুরু করতে চলেছে কলকাতার অ্যাকাডেমিক্স। প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে জুলাইয়ের মাঝামাঝি। ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ফোন করে নিতে পারেন ২৩২১-৯৩৯৪ নম্বরে।
|
দেশের বিভিন্ন আইআইটি-তে এম এসসি পড়ার জন্য যাঁরা জ্যাম দিতে চান এবং যাঁরা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্বাইন্ড এন্ট্রাস এগজামিনেশন ফর বায়োটেকনোলজি পরীক্ষায় বসতে চান, সল্টলেকের দ্য এজ ইনস্টিটিউটে তাঁদের জন্য আনা দু’টি পাঠ্যক্রমে ভর্তি শুরু হল। চলবে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত। বিস্তারিত তথ্য জানবার জন্য ৯৮৩০১-৩২৪৬৩ নম্বরে ফোন করতে পারেন। |
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
প্রশ্ন: দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ফুটওয়্যার ডিজাইন নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। কোথায় পড়া যেতে পারে?
সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়, চুঁচুড়া
উত্তর: রাজ্যে ও রাজ্যের বাইরের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে ফুটওয়্যার ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ক পাঠ্যক্রম। আবার লেদার ডিজাইন বা লেদার টেকনোলজি পাঠ্যক্রমটি করলেও ভবিষ্যতে এই শিল্পে পা রাখা যায়।
এই ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরের অন্যতম প্রতিষ্ঠানটি হল কেন্দ্রের অধীন ফুটওয়্যার ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এফডিডিআই)। স্নাতক স্তরে অর্থাৎ ১০+২ পেরিয়ে এখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি ইন ফুটওয়্যার টেকনোলজি পড়া যায়। সাতটি শাখা রয়েছে কলকাতা, ফুরসতগঞ্জ, নয়ডা, চেন্নাই, রোহতক, ছিন্দওয়াড়া এবং যোধপুরে। ভর্তি করতে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়।
দ্বিতীয়ত, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেক- নোলজি (এন আই এফ টি)-র লেদার ডিজাইনিং কোর্সটিও আপনার পক্ষে উপযুক্ত হতে পারে। এনআইএফটি-এর কলকাতা, চেন্নাই, নয়াদিল্লি ও রায়বেরিলি-র শাখায় এই পাঠ্যক্রমটি চালু রয়েছে। এখানেও সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছা হয়। তৃতীয়ত, রাজ্যে ডিপ্লোমা স্তরেও ফুটওয়্যার টেকনোলজি পড়া সম্ভব জেক্সপো পরীক্ষাটি দিয়ে। বজবজের সেন্ট্রাল ফুটওয়্যার ট্রেনিং সেন্টার-এ তিন বছরের ডিপ্লোমা পড়ানো হয় ফুটওয়্যার টেকনোলজিতে। |
|
প্রশ্ন: আমি এ বছর রসায়ন নিয়ে সাম্মানিক স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত বছরের পরীক্ষা দিয়েছি। এর পর আমি কারিগরি ও প্রযুক্তি শাখায় পড়তে আগ্রহী। জানতে চাই যে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোন বিষয়ে আমি কারিগরি ও প্রযুক্তি শাখায় স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমে যোগ দিতে পারি?
যোগেশ দাস, হিন্দমোটর
উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পোস্ট বি এসসি বি-টেক কোর্সে রয়েছে ৪০টি আসন। পোস্ট বি এসসি বি-টেক কেমিক্যাল টেকনোলজি (সেরামিক টেকনোলজি)-তে আসন রয়েছে নয়টি। পোস্ট বি এসসি বি-টেক ইন কেমিক্যাল টেকনোলজি (অয়েল টেকনোলজি)-তে আসন নয়টি। পোস্ট বি এসসি বি-টেক ইন কেমিক্যাল টেকনোলজি (ফার্মাসিউটিক্যালস অ্যান্ড ফাইন কেমিক্যাল টেকনোলজি)-তে ন’টি। বি-টেক ইন কেমিক্যাল টেকনোলজি (পেট্রোকেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি ইঞ্জিনিয়ারিং)-তে নয়টি। বি-টেক ইন পলিমার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-তে ৩০টি। সাম্মানিক স্নাতকস্তরে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয় এই পাঠ্যক্রমগুলিতে। |
|
প্রশ্ন: আমার মেয়ে এ বছর মাধ্যমিক দিয়েছে। ওর ইচ্ছে সাইকোলজি নিয়ে পড়ার। আমার প্রশ্ন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সায়েন্স না কি আর্টস, কোন শাখায় পড়লে সাইকোলজি নিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে হাঁটতে সুবিধা হয়? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি সাইকোলজি পড়া সম্ভব স্নাতকোত্তর স্তরে?
অংশুমান দত্ত, আসানসোল
উত্তর: এত দিন তো উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আর্টস বা সায়েন্স, যে কোনও বিষয় নিয়ে পড়লেই ভবিষ্যতে সাইকোলজি নিয়ে পড়া যেত। তবে এখন বেশির ভাগ কলেজেই সাইকোলজিকে বিজ্ঞান শাখার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ডিগ্রি মেলে বি এসসি ইন সাইকোলজি। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে এম এ ইন অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি এবং এম এসসি অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি পাঠ্যক্রম ছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ/এম এসসি ইন সাইকোলজি পড়ানো হয়। তাই স্নাতক স্তরে সাইকোলজিকে সাম্মানিক বিষয় নিয়ে সঙ্গে বিজ্ঞান বিষয়ক বিষয়গুলিকে পাশ সাবজেক্ট হিসেবে নেওয়াটাই ভাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশ্ন: অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং রাজ্যে কোথায় কোথায় পড়ানো হয়, জানালে উপকৃত হব।
দিলীপকুমার দাস, কাঁচরাপাড়া
উত্তর: মাধ্যমিক পেরিয়ে যেমন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়া যায়, তেমনই আবার উচ্চ মাধ্যমিক বা ১০+২ পাশ করার পরও বিষয়টি পড়ার সুযোগ রয়েছে। মাধ্যমিক দেওয়ার পর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অফ টেকনোলজি এডুকেশন স্বীকৃত অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পড়ানো হয় ন’টি পলিটেকনিক কলেজে। এর জন্য জেক্সপো দিতে হয়। জেক্সপো দিয়ে যে সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যায় সেগুলি হল
১) মালদহ পলিটেকনিক,
২) এস সি মৈত্র ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি,
৩) আর পি বি এম,
৪) জিয়াগঞ্জ কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (মুর্শিদাবাদ),
৫) রায়গঞ্জ পলিটেকনিক (উত্তর দিনাজপুর),
৬) কোচবিহার পলিটেকনিক (কোচবিহার),
৭) দ্য নিউ হরাইজন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (দুর্গাপুর),
৮) এলিট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (মগরা),
৯) এলিট ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট।
অন্য দিকে, ১০+২-এর পর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্যে দু’টি প্রতিষ্ঠানে বি-টেক পড়তে পারেন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। এই দু’টি হল দমদমের সুধীরচন্দ্র শূর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং এম সি কে ভি (লিলুয়া)। |
|
|
|
|
|