টানা কয়েক দিনের গরমের পরে শনিবারের বিকেলের ঝড়ে স্বস্তি পেল পুরুলিয়ার একাংশ। কংসাবতী লাগোয়া গ্রামগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির পরে তাপমাত্রার পারদ খানিকটা নেমে যায়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হলেও কেন্দা, হুড়া ও পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার কংসাবতী নদী তীরের গ্রামগুলিতে ঝড়ের দাপট ছিল তীব্র। ঝড়ে নদী তীরের ভরতডি, সুরথডি, পানিপাথর, মাকড়কা, চরণডি, চাঁদড়া-সহ আশপাশের গ্রামগুলির একাধিক ঘরের চালা উড়ে যায়। |
ক্ষতিপূরণের জন্য বিডিওকে জানানো হয়েছে। পুরুলিয়া শহরের উপকন্ঠে শিল্পাশ্রমের কয়েকটি ঘরের অ্যাসবেস্টাসের চাল ঝড়ে উড়ে যায়। লোকসেবক সঙ্ঘের সচিব সুশীল মাহাতো জানিয়েছেন, চাল উড়ে আশ্রমের সামনে পড়লেও কেউ হতাহত হননি। ঝড়ের জেরে শনিবার অনেক এলাকা ছিল বিদ্যুৎহীন। কোথাও রবিবার সকালে কোথাও দুপুরে বিদ্যুৎ আসে। পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক (সদর) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “কিছু জায়গা থেকে বাড়ির চালা উড়ে যাওয়ার খবর মিলেছে। পুঞ্চার বিডিওকে বলা হয়েছে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে ত্রিপল পৌঁছে দিতে।”
|
কোথাও উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল, কোথাও ভেঙেছে পাঁচিল। ছবি: সুজিত মাহাতো ও প্রদীপ মাহাতো। |