শহরের সৌন্দর্যায়নে এ বার বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে লালদিঘি। রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কেন্দ্র মহাকরণ। তার ঠিক সামনেই ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিকে উপযুক্ত মর্যাদা দিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা। রবিবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লালদিঘি নতুন করে সাজানোর কাজ শুরু হবে অগস্টে।
বি-বা-দী বাগ চত্বরকে আগেই হেরিটেজ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরেই গোটা এলাকা সাজিয়ে তোলা হয় সুদৃশ্য বাতিস্তম্ভ দিয়ে। বি-বা-দী বাগ (ডালহৌসি স্কোয়ার) ঘিরে থাকা সব রেলিং-ও সেজেছে নীল আর সাদা রঙে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকাটিকে সাজিয়ে তোলার কাজে মূল ভূমিকা নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
শোভনবাবুর বক্তব্য, “শহরের প্রাণকেন্দ্র এই জায়গাটি দীর্ঘকাল অবিন্যস্ত, অপরিষ্কার অবস্থায় পড়ে ছিল। ঠিক ভাবে নজর দেওয়া হয়নি। ওই চত্বরকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে দিতে চায় সরকার।” তিনি জানান, সবটাই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এবং পরামর্শ অনুযায়ী। গত সপ্তাহেই লালদিঘির পরিকল্পনার রূপায়ণ নিয়ে পুরসভায় বৈঠক করেছেন মেয়র। দরপত্র নেওয়ার কাজও শেষ। জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে কাজটি হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। |
সাজ যে রকম |
|
• দিঘিতে ভাসমান মঞ্চ
• মঞ্চে ব্যান্ডের বাজনা
• শিশুদের জন্য নৌকাবিহার
• ফোয়ারায় রঙিন আলো
• আলোয় মোড়া পথফুডকোর্ট, কফি-স্টল |
|
ইতিমধ্যেই বি-বা-দী বাগ এলাকা সাজিয়ে তোলার কাজ প্রায় শেষ। তবু নিশ্চিন্তে নেই পুরসভার আধিকারিকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, বি-বা-দী বাগের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রচণ্ড সংবেদনশীল। মহাকরণে যাতায়াতের পথে প্রতিদিনই নজর রাখেন বাতিস্তম্ভগুলির দিকে। খেয়াল রাখেন, কোথাও কোনও খুঁত হয়েছে কি না। আর চোখে কিছু ‘অসুন্দর’ ঠেকলেই তৎক্ষণাৎ তা সারিয়ে তোলার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
কেমন হবে লালদিঘির নব কলেবর?
মেয়র জানিয়েছেন, পুরো এলাকার আয়তন সাড়ে পাঁচ একরেরও বেশি। এর মধ্যে তিন একর জমি। বাকি জলাশয়। লালদিঘির মাঝে তৈরি হবে আলোর ফোয়ারা। থাকবে ভাসমান মঞ্চ। দিঘিটি ঘিরে ফেলা হবে নানা বর্ণের আলোচ্ছটায়। তিনি জানান, শুধু রাজ্য নয়, দেশ বিদেশের অনেকেই এখানে আসেন। সকলের মনোরঞ্জনের কথা ভেবে সাজিয়ে তোলা হবে লালদিঘি। মেয়রের দাবি, আগামী ন’মাসের মধ্যেই শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠবে ঐতিহাসিক এই দিঘিটি। |